ফিরে দেখা বাংলাদেশের অভিষেক টেস্ট-৬

উৎপল শুভ্র

২০ মার্চ ২০২১

ফিরে দেখা বাংলাদেশের অভিষেক টেস্ট-৬

স্বপ্ন পূরণের পথে প্রথম ধাপ ১৯৯৭ আইসিসি ট্রফি জয়। সেদিস থেকেই রং লেগেছিল টেস্ট খেলার স্বপ্নে। যে স্বপ্ন পূরণ হলো ২০০০ সালের নভেম্বরে। সূচনা বাংলাদেশের ক্রিকেটের নতুন অধ্যায়ের। দল নির্বাচন নিয়ে নাটক থেকে শুরু করে সেই টেস্টের ম্যাচ রিপোর্টও তাই বারবার পড়ার মতোই এক সুখস্মৃতি।

প্রথম প্রকাশ: ১৪ নভেম্বর ২০০০

টেস্টের পঞ্চম দিন অর্থাৎ আজ বিকেলে কলকাতার এক শিল্পপতির পার্টিতে সৌরভ গাঙ্গুলীর যে ‘নেমন্তন্ন’ ছিল, সেটি তিনি রক্ষা করতে পারছেন। বাংলাদেশ দল যদি প্রথম তিন দিন তাকে বিস্ময়ের পর বিস্ময় উপহার দিয়ে থাকে, তাহলে শেষ পর্যন্ত এই নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে পারাটাও ভারতীয় অধিনায়কের কাছে একটু বিস্ময় হয়েই এসেছে। গত পরশু তৃতীয় দিন শেষে অনেক রকম সম্ভাবনা নিয়েই কথা হয়েছে, কিন্তু পরদিনই ম্যাচ শেষ হয়ে যাবে-এটি ভাবতে পারেননি কেউই!

কিন্তু ‘ভালো’র দিক থেকে যদি অভাবনীয় সব ঘটনা ঘটিয়ে ফেলতে পারে নাঈমুর রহমানের দল, তাহলে ‘খারাপ’-এর দিক থেকেই বা তা পারবে না কেন? প্রথম ইনিংসে ৪০০ রান করা দলটি তাই দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ৯১ রানেই অলআউট! ১৫৩.৩ ওভার ব্যাট করা দলটি এবার ওয়ানডের মতো ৪৬.৩ ওভারেই শেষ! প্রথম ইনিংসে আমিনুল ইসলাম একাই ব্যাট করেছিলেন ৫৩৫ মিনিট, এবার পুরো ইনিংসের আয়ুই ২১৩ মিনিট। টানা তিন দিন স্বপ্নের মধ্য দিয়ে হেঁটে যাওয়া বাংলাদেশ সহসাই যেন বুঝতে পারল, যা ঘটছিল তা বড় বেশি সুন্দর। এত সুন্দর যে, তা খুব বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে পারে না। আহ্‌, স্বপ্নটা শেষ পর্যন্ত ভেঙেই গেল!

দ্বিতীয় ইনিংস বড় নিষ্ঠুর হয়ে দেখা দিয়েছিল বাংলাদেশের জন্য। ছবি: শামসুল হক টেংকু

স্বপ্নটা জয়ের স্বপ্ন নয়। অতি উৎসাহী কেউ কেউ এ রকম সম্ভাবনার কথা আলোচনা করলেও বাংলাদেশ দলের বাস্তবোচিত স্বপ্নটা ছিল ‘যদি কোনোমতে ড্র করা যায়!’ ড্র করতে না পারলেও খেলাটা যদি পঞ্চম দিন শেষ বিকেল পর্যন্ত ভারতকে একটা অনিশ্চয়তার দোলাচলে দোলাতে পারত, তাতেও খুশি হওয়ার কারণ থাকত যথেষ্ট। কিন্তু টেস্ট ক্রিকেট যেন অভিষেক লগ্নেই আনন্দ-হতাশার বিপরীত দুই অনুভূতির সঙ্গেই পরিচয় করিয়ে দিতে চাইল বাংলাদেশকে! ‘দেখো, তোমরা যে জগতে পা রেখেছ, তা বড়ই কঠিন এক জায়গা। আরো অনেক কিছু শিখতে হবে তোমাদের, যেতে হবে আরো বহুদূর’-প্রথম ইনিংসে ৪০০ রানের কীর্তি, এরপর ভারতকে মাত্র ২৯ রানের লিড নিতে দেওয়ার পর হঠাৎই টেস্ট ক্রিকেটটাকে তেমন কঠিন মনে করতে না থাকা নাঈমুরের দলকে এ কথাটা বলে দেওয়া জরুরি বলে মনে হতেই পারে ক্রিকেট-বিধাতার। অভিষেক টেস্টটি তাই সত্যিকার অর্থেই এক শিক্ষা হয়ে রইল বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের জন্য।

প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ যে উইকেটে ব্যাটিং করেছিল, প্রথম দুদিনের সেই উইকেট ছিল অনেকটা ওয়ানডের মতোই। ‘দ্বিতীয় ইনিংস’ ব্যাপারটির সঙ্গেই বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের সেভাবে পরিচয় নেই, একই কারণে চতুর্থ দিনের উইকেটের সঙ্গেও নয়। সবাইকে যখন আত্মতৃপ্ত দেখা‌চ্ছে, তখনো তাই কোচ সরওয়ার ইমরান বারবার বলছিলেন, ‘এখনো খুশি হওয়ার মতো কিছু হয়নি। দ্বিতীয় ইনিংসে হবে আমাদের আসল পরীক্ষা।’

সেই ‘আসল পরীক্ষা’য় বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা শুধু অকৃতকার্যই হয়নি, নম্বর যা পেয়েছে সেটিও লজ্জাজনক এবং সে জন্য উইকেটকে দোষ দিয়ে অপরাধ লাঘব করতে পারছেন না ব্যাটসম্যানরা। চাইলে এই উইকেটেও যে টিকে থাকা যায়, খালেদ মাসুদ পাইলটই দিয়েছেন তার প্রমাণ। বলতে গেলে একাই লড়ে গেছেন এই উইকেটকিপার। ৯২ মিনিট নিশ্ছিদ্র ব্যাটিং করে শেষ পর্যন্ত ২১ রানে অপরাজিত থাকা তার ইনিংসটিই চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে বাকি ব্যাটসম্যানদের প্রয়োগ ক্ষমতার অভাবকে। প্রথম ইনিংসে ওয়ানডে খেলতে খেলতেই বেড়ে ওঠা বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের ব্যাটে টেস্ট মেজাজ বিস্মিত করেছিল অনেককে, এবার ঘটনা পুরো বিপরীত। একের পর এক ব্যাটসম্যান আত্মহত্যা করে এলেন, লড়াই করে টিকে থাকার ই‌চ্ছাটাই যেন দেখা গেল না কারো মধ্যে। প্রথম ইনিংসের বীরত্বের পর কি টেস্ট ক্রিকেটটাকে বেশ সহজ বলে ভাবতে শুরু করেছিলেন কেউ কেউ? 

বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস শেষে নানারকম টিপ্পনি সইতে হওয়ায় একটু বেশিই উজ্জীবিত ছিলেন ভারতীয় বোলাররা। টুঁটো-ফাটা উইকেটে ভারতের দুই বাঁহাতি স্পিনারকে সামলানো সহজ হবে না, এটি নিয়েই ছিল বাংলাদেশের মূল দুশ্চিন্তা। অথচ তাদের একজন, মুরালি কার্তিক বলই করলেন মাত্র দেড় ওভার। সেটিও উইকেটে যখন শেষ জুটি; বিকাশকে আউট করে বাংলাদেশ ইনিংসের সমাপ্তিও টেনেছেন তিনি। আরেকজন, সুনীল যোশি প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেটের পর এবার পেয়েছেন ৩ উইকেট। তবে দুই পেসার জাভাগাল শ্রীনাথ ও অজিত আগারকারই করেছেন বাংলাদেশের মূল সর্বনাশটা। আগারকারের নামটিই বলতে হবে আগে। ৫ ওভারের প্রথম স্পেলে উইকেটশূন্য থাকা শ্রীনাথ ৬ ওভারের দ্বিতীয় স্পেল করতে ফিরে নিয়েছেন নাঈমুর, রফিক ও হাসিবুলের উইকেট ৩টি। তবে এর আগে প্রথম ইনিংসের দুই ‘হিরো’ আমিনুল ইসলাম ও হাবিবুল বাশারকে তুলে নিয়ে আগারকারই ভেঙে দিয়েছেন বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের মেরুদণ্ডটা। ভুল লাইনে খেলে এলবিডব্লু হয়েছেন আমিনুল আর হাবিবুল বাশার প্রমাণ করেছেন, মুখে যতই বলুন, পুল-হুক ছাড়া ব্যাটিং করা তার পক্ষে সম্ভব নয়।

ক্ষণিকের ঝলকানি নয়, বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানদের মধ্যে অন্তত একজনের লম্বা একটি ইনিংস। প্রথম ইনিংসে আমিনুল ইসলাম তা খেলেছিলেন। দ্বিতীয় ইনিংসে সেটাই কেউ পারলেন না।

প্রথম ইনিংসে হুক করতে গিয়েই আউট হওয়া হাবিবুল সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, বারবার এভাবে আউট হ‌চ্ছেন বলে এই শটটি আর খেলবেন না। অথচ মাঠে নেমেই ভুলে গেলেন সব। অজিত আগারকারের সঙ্গে তার একটা লড়াই চলছিল। শুধু ব্যাটে-বলে নয়, মুখও চলছিল আগারকারের। তাকে জবাব দেওয়ার ইচ্ছাটাও হয়তো প্ররোচিত করেছে হাবিবুল বাশারকে। কারণ যা-ই হোক, এই শট খেলায় তার নিজের দুর্বলতা এবং ম্যাচের পরিস্থিতি মিলিয়ে ওই সময়ে এই শট খেলার জন্য রীতিমতো কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে তাকে। অথচ কী দারুণই না খেলছিলেন তিনি! যে ১০০ মিনিট উইকেটে ছিলেন, ব্যাটিংটাকে মনে হয়েছে পৃথিবীর সবচেয়ে সহজ কাজ। অজিত আগারকারকে মারা স্ট্রেট ড্রাইভটিকে তো বলতে হবে পুরো দিনেরই সেরা শট।

কিন্তু তাতে কী লাভ, ক্ষণিকের ঝলকানি নয়, বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানদের মধ্যে অন্তত একজনের লম্বা একটি ইনিংস। প্রথম ইনিংসে আমিনুল ইসলাম তা খেলেছিলেন বলেই তাকে ঘিরে অন্যদের টুকটাক অবদানেও এমন ফুলে-ফেঁপে উঠেছিল বাংলাদেশের রান। দ্বিতীয় ইনিংসে সেটাই কেউ পারলেন না। মেহরাব হোসেন অপি আবারও ওয়ানডে মেজাজে ব্যাট চালিয়ে আউট, তারও আগে শ্রীনাথের বলে বাঁ হাতের ওপর দিকে চোট পেয়ে শাহরিয়ার হোসেন বিদ্যুৎ অবসর নিয়ে ফেলায় শুরুতেই হোঁচট খেয়েছে বাংলাদেশের ইনিংস। ব্যাটিং অর্ডারে অপ্রত্যাশিত প্রমোশন পাওয়া আল-শাহরিয়ার সুনীল যোশিকে ডাউন দ্য উইকেট মারতে গিয়ে দিয়েছেন রিটার্ন ক্যাচ।বাংলাদেশ ৩ উইকেটে ৪৩। খুব তাড়াতাড়িই তা হয়ে গেল ৪ উইকেটে ৫৩, হাবিবুল বাশার আউট হওয়ার পরের বলেই আম্পায়ারের সংশয়যুক্ত সিদ্ধান্তে নেই আকরামও, বাংলাদেশ ৫ উইকেটে ৫৩। নাঈমুরের বিদায়ের মাধ্যমে ৬৯ রানে ৬ উইকেট পড়ার পর শাহরিয়ার হোসেন আবার নেমেছেন, নেমে যোশির আর্মার পড়তে না পেরে এলবিডব্লু হওয়ার আগে খেলছিলেনও ভালো। তবে প্রথমে মাঠ থেকে বেরিয়ে আসতে চাওয়ার সময়ই তাকে বলা উচিত ছিল-এটা টেস্ট ক্রিকেট। এটা পুরুষ মানুষের খেলা। একটু চোট লাগলেই উঠে যাওয়া মানে বোলারকে বিনা যুদ্ধেই প্রথম রাউন্ডটা দিয়ে দেওয়া।

টেস্ট শুরুর আগে প্রয়োজন হলে খেলার সময় আধঘণ্টা বাড়িয়ে ফ্লাড লাইটের আলোতে ম্যাচ শেষ করার ব্যাপারে মতৈক্যে পৌঁছেছিল দুদল। সেটিই ম্যাচটিকে পঞ্চম দিনে নিয়ে যাওয়ার সান্ত্বনাটুকুও পেতে দিল না বাংলাদেশকে।

দুই ইনিংস মিলিয়ে প্রতিপক্ষের প্রথম ইনিংসের চেয়ে ৬২ রান এগিয়ে থাকা শুধু ভারতকে আবার ব্যাট করতে নামানোটাই নিশ্চিত করতে পেরেছিল, আর কিছু নয়। ম্যাচটি পঞ্চম দিনে যাবে কিনা, ভারতীয় ইনিংসের ২ ওভার বাকি থাকতে ফ্লাড লাইট জ্বলে উঠে শেষ করে দেয় সেই অনিশ্চয়তাও। টেস্ট শুরুর আগে প্রয়োজন হলে খেলার সময় আধঘণ্টা বাড়িয়ে ফ্লাড লাইটের আলোতে ম্যাচ শেষ করার ব্যাপারে মতৈক্যে পৌঁছেছিল দুদল। সেটিই ম্যাচটিকে পঞ্চম দিনে নিয়ে যাওয়ার সান্ত্বনাটুকুও পেতে দিল না বাংলাদেশকে। ৬৩ রানের টার্গেটে পৌঁছতে ঠিক ১৫ ওভার লেগেছে ভারতের। রাহুল দ্রাবিড়ের ব্যাটে (৪৯ বলে ৪১) যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ম্যাচ শেষ করার প্রতিজ্ঞা ছাড়া উল্লেখ করার মতো একটিই দিক, বাংলাদেশের প্রধানতম পেস বোলার হাসিবুল হোসেনের টেস্ট উইকেটের স্বাদ পাওয়া। ঠিক প্রথম ইনিংসের ঢঙেই অফ স্টাম্পের বাইরের বল স্টাম্পে টেনে এনে বোল্ড হয়েছেন সদগোপন রমেশ। সেবার বোলার ছিলেন বিকাশ, এবার হাসিবুল-পার্থক্য এটুকুই। অভিষেক টেস্টে উইকেটের বৈরিতা আর স্পিনারদের দাপটে বলতে গেলে উপেক্ষিত বাংলাদেশের দুই পেসারকে প্রথম টেস্ট উইকেট উপহার দিতেই যেন রমেশের ঢাকায় আসা!

হাসিবুল অবশ্য দ্বিতীয় উইকেটটিও পেয়ে গিয়েছিলেন প্রায়, কিন্তু দ্বিতীয় স্লিপে শিভ সুন্দর দাসের দেওয়া কঠিন ক্যাচটি নিতে পারেননি আল-শাহরিয়ার, সকালে যিনি মিড অনে দারুণ এক ক্যাচ নিয়ে সেঞ্চুরিবঞ্চিত করেছেন সুনীল যোশিকে। লাঞ্চের ঠিক আগে আগের দিনের ৭ উইকেটে ৩৬৬ রানের সঙ্গে আরো ৬৩ যোগ করে অলআউট হয়েছে ভারত। ৩ উইকেটের প্রথম দুটি নিয়েছেন মোহাম্মদ রফিক। শেষ উইকেটটি নিয়ে নাঈমুরও জায়গা পেয়ে গেছেন রেকর্ড বুকে। অভিষেক টেস্টে ৬ উইকেট পাওয়াটাই বড় এক কৃতিত্ব, নাঈমুর আবার তা পেলেন নিজের দেশেরও টেস্ট অভিষেকে। আমিনুল ইসলামের ১৪৫ রানের ইনিংস চার্লস ব্যানারম্যানের প্রসঙ্গে টেনে এনেছিল ইতিহাসের প্রথম টেস্টকে। এখানেও তা-ই। ১৮৭৭ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেই মেলবোর্ন টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার বাঁহাতি স্পিনার টমাস কেনডাল নিয়েছিলেন ৭ উইকেট। এরপরই বাংলাদেশ অধিনায়ক। নাঈমুরের ৬ উইকেট নিজ দেশের অভিষেক টেস্টে দ্বিতীয় সেরা বোলিং পারফরম্যান্স।নানা আনুষ্ঠানিকতায় অভিষেক টেস্টের আগে বাংলাদেশ দলের গ্রুপ ছবিই তোলা হয়নি। তা তোলা হলোা চতুর্থ দিনেই টেস্ট শেষ হয়ে যাওয়ার পর।  বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে তখন ফ্লাডলাইট জ্বলছে। ছবি: শামসুল হক টেংকুম্যাচ শেষে ফ্লাড লাইটের উজ্জ্বল আলোতেও বিষণ্ন হয়ে থাকা বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামকে এসবেই খুঁজে পেতে হয়েছে সামান্য সান্ত্বনা। এই টেস্টে সর্বোচ্চ রান আর সেরা বোলিং-দুটি পুরস্কারই বাংলাদেশের। আমিনুল ইসলাম আর নাঈমুর রহমান অভিষেক টেস্টে মনে রাখার মতো কিছু একটা তো উপহার দিয়েছেন বাংলাদেশকে। এটাই বা কম কী! পূর্বসূরি নয় দেশের অভিষেক টেস্টের রেকর্ড ঘাঁটুন। এ রকম কোনো সুখস্মৃতিও নেই অনেকের!

ফিরে দেখা বাংলাদেশের অভিষেক টেস্ট-১
ফিরে দেখা বাংলাদেশের অভিষেক টেস্ট-২
ফিরে দেখা বাংলাদেশের অভিষেক টেস্ট-৩
ফিরে দেখা বাংলাদেশের অভিষেক টেস্ট-৪
ফিরে দেখা বাংলাদেশের অভিষেক টেস্ট-৫

সম্পর্কিত বিষয়:

শেয়ার করুনঃ
আপনার মন্তব্য
আরও পড়ুন
×