`আমি আজহারের কাছ থেকে ক্যাপ্টেনসি কেড়ে নিতে চাই না`

উৎপল শুভ্র

৯ এপ্রিল ২০২১

`আমি আজহারের কাছ থেকে ক্যাপ্টেনসি কেড়ে নিতে চাই না`

‘বিস্ময়বালক’ তত দিনে ২২ বছরের তরুণ। অমিত প্রতিশ্রুতিকে সত্যি প্রমাণিত করার পথেও এগােচ্ছেন দুরন্ত গতিতে। তবে তখনাে মুখে লেগে কৈশােরের সারল্য এবং কথাবার্তায় সেটিকেই সত্যি বলে ভুল করানাের মতাে বিনয়। ইন্টারভিউ পাওয়াটা কিন্তু তখনাে সহজ ছিল না। টেন্ডুলকারের খুব ঘনিষ্ঠ মুম্বাইয়ের এক মারাঠি সাংবাদিক তার বন্ধু বলে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার পর তা সহজতর হলেও ঘুরতে হয়েছিল কয়েক দিন। শেষ পর্যন্ত ইন্টারভিউটা হয়েছিল শচীন টেন্ডুলকারের হােটেল রুমেই। যাতে উঠে এসেছিল ব্যাটসম্যান শচীনের খুঁটিনাটি, সঙ্গে চেনা গিয়েছিল মানুষ শচীনকেও।

প্রথম প্রকাশ: ১০ এপ্রিল ১৯৯৬। ভোরের কাগজ।

উৎপল শুভ্র: আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাে সাত বছর হয়ে গেল। এখন পর্যন্ত আপনার ক্যারিয়ারকে কীভাবে মূল্যায়ন করেন আপনি?

শচীন টেন্ডুলকার: প্রথমেই আমি বলব, এই সময়টা খুবই উপভােগ করেছি আমি। এই পর্যায়ের ক্রিকেট যা খুবই কম্পিটিটিভ, আমাকে দারুণ আনন্দ দিয়েছে। বলতে পারেন, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এখন পর্যন্ত সাত বছরের প্রতিটি মুহূর্ত আমি উপভােগ করেছি। আরেকটা কথাও আমি জানি, আমার জীবনে এখনাে অনেক কিছু ঘটতে বাকি। তাই আমি মনে করি, কোনাে কিছুতেই মাথা ঘুরে গেলে চলবে না, এটা মনে রেখে খেলে যাওয়াটাই আমার কাজ।

শুভ্র: এত অল্প বয়সে এত কিছু পাওয়া হয়ে গেছে। তবু আপনাকে খুব স্থিতধী মনে হয়। বয়সের তুলনায় ব্যাপারটা একটু অবাক করার মতাে।

টেন্ডুলকার: এর জন্য আমি মূল কৃতিত্বটা দেব আমার পরিবারকে। তারা আমাকে যেভাবে বড় করে তুলেছে, সেটাই এর কারণ। আমার খেলার ব্যাপারেও পরিবারের ভূমিকা অনেক। আমার বাবা আমাকে সব সময় বলতেন, বড় ভাইও বলতেন একই কথা, তুমি যদি রান পাও, ভালাে। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলাে, তােমাকে কন্সিস্ট্যান্ট হতে হবে। হঠাৎ করে একদিন যেকোনাে ব্যাটসম্যানই রান পেতে পারে। তবে তােমাকে নিয়মিত রান পেয়ে যেতে হবে। এই ধারাবাহিকতাই বাকিদের থেকে নির্দিষ্ট একজনকে আলাদা করে দেয়। আমি বাবা ও দাদার এই কথা কখনাে ভুলি না।

শুভ্র: সাত বছর আগে যখন দলে এসেছিলেন, তখন আপনি টিনএজার। আর এখন বিশ্বের সেরা ব্যাটসম্যানদের একজন, অনেকের মতে সেরাই। এই সময়ে ব্যাটসম্যান টেন্ডুলকারের মতাে মানুষ টেন্ডুলকারেরও নিশ্চয়ই অনেক পরিবর্তন হয়েছে। 

টেন্ডুলকার: আমার মনে হয়, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সব মানুষই কিছু না কিছু বদলায়। আমার যে পরিবর্তনগুলাে হয়েছে, তা আমি ভারতের পক্ষে খেলছি বলে হয়নি। সাধারণভাবেই এগুলাে হয়েছে। আমি আগের চেয়ে অনেক শান্ত ও ধীরস্থির হয়ে গেছি। আর এমনিতেই চিনি না, এমন মানুষদের সঙ্গে আন্তরিকভাবে মিশতে আমার কিছুটা সময় লাগে। হয়তাে এ কারণেই কখনাে কখনাে আমাকে নাক-উচু বা উদ্ধত বলে লােকে ভুল বােঝে। কিন্তু আসল ব্যাপারটা হলাে, চিনি না এমন কাউকে আমি হ্যালো বলতে পারি না। মিশতে আমার সময় লাগে, এটাই আমার স্বভাব। এতে মানুষ ভুল বােঝে আমাকে। আমি নিজেকে বদলানাের চেষ্টা করেছি, কিন্তু পারিনি। ক্রিকেটের কথা বললে, গত সাত বছরে আমার খেলায় বেশ উন্নতি হয়েছে। এ জন্য আমি খুব খুশি। তবে আমার সব সাক্ষাৎকারে যা বলি তাই বলছি আবারও, আমি যা-ই করি না কেন, তাতে সন্তুষ্ট হই না কখনােই। আমি আজ যা করি, পরদিন তার চেয়ে ভালাে করার চেষ্টা করি।

শুভ্র: খেলায় যে উন্নতির কথা বলছিলেন, সেটা কী রকম?

টেন্ডুলকার: আমি যখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শুরুর দিকে পেছন ফিরে তাকাই, স্পষ্ট বুঝতে পারি, আমি মােটেই বাছবিচার করে খেলতাম না। প্রতিটি বলেই মারতে চাইতাম। এখন টেস্ট ম্যাচে আমি অনেক বেশি বল বেছে খেলি। ওয়ানডের কথা আলাদা। সব বলেই মারার চেষ্টা করতে হয় ওতে। তবে টেস্ট ম্যাচে আমি এখন খুবই সিলেক্টিভ, আগের চেয়ে পরিণত, সাত বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার পর আগের চেয়ে অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসীও। আমার দেশের জন্য আমি ভালাে খেলে যেতে চাই, যা আমি সব সময়ই চেয়েছি।

শুভ্র: কোনাে ইনিংস খেলার পর আপনি কি সেটির ভিডিও দেখেন?

টেন্ডুলকার; আমি নিয়মিতই তাই দেখি। দেখি সব ইনিংসই। সেটা খারাপ করলেও, সেঞ্চুরি করলেও। সেঞ্চুরি করার অর্থ এই নয় যে, আমি কোনাে ভুল করিনি। বরং লম্বা ইনিংস থেকেই বেশি শেখার থাকে। যেটি দেখলে হয়তাে মনে হয়, ইনিংসের একটা পর্যায়ে, ধরা যাক ১০ থেকে ২৫ ওভারের সময়, আমার এটা না করে ওটা করা উচিত ছিল। এসব ছােটখাটো জিনিসগুলাে সব সময়ই শেখার থাকে। আমার মনে হয়, কেউ যদি নিজের খেলার টেপ বারবার দেখে, তাহলে সে অনেক বেশি তাড়াতাড়ি শিখতে পারে।

শুভ্র: ভিডিওতে নিজের খেলা কি একাই দেখেন, নাকি সঙ্গে কেউ থাকে?

টেন্ডুলকার: সাধারণত আমার খেলার ক্যাসেট আমি দাদার সঙ্গে বসে দেখি। যদি কোনাে সমস্যা পাই, তাহলে দুজনে আলােচনা করি। এখনাে সে-ই আমার সবচেয়ে বড় গাইড।

ভাই অজিতকেই নিজের সবচেয়ে বড় গাইড মানেন শচীন। ছবি: গেটি ইমেজেস

শুভ্র: আপনার জীবন নিশ্চয়ই আর দশটা ২২ বছরের ছেলের মতাে নয়। ১৬ বছর বয়সে যখন শুরু করেছিলেন, তখনই প্রায় তারকা। এখন তাে খ্যাতি আরও বেড়েছে। ভারতের মতাে ক্রিকেট-পাগল একটি দেশে মাঠ এবং মাঠের বাইরে আপনার ওপর যে অসম্ভব চাপ, সেটা আপনি কীভাবে সামলান?

টেন্ডুলকার: একজন ক্রিকেটারের জীবন কখনােই সহজ নয়। আমার কাছে এই খেলাটাও কখনােই সহজ মনে হয়নি, বরং সব সময়ই মনে হয়েছে কঠিন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে টিকে থাকার প্রথম শর্ত হলাে, মানসিকভাবে আপনাকে শক্ত হতে হবে। প্রস্তুত থাকতে হবে প্রশংসা-সমালােচনা সবকিছু গ্রহণ করার জন্য। চাপ তাে আছেই, সেটিকে জয় করতে হবে। এ ছাড়া আর কোনাে পথ নেই। দেশের পক্ষে খেলছেন, মানুষ সব সময়ই ভালাে কিছু প্রত্যাশা করছে, আপনাকে ভালাে করতেই হবে। দেশের জন্যই আপনাকে ভালাে করতে হবে।

শুভ্র: পুরাে দল আপনার ওপর নির্ভর করছে এবং আপনি প্রায় সব সময়ই ভালাে করে যাচ্ছেন। তার পরও দু-একটা ব্যর্থতার জন্য যখন আপনার সমালােচনা হয়, আপনাকে কি হতাশা বা অভিমান আঁকড়ে ধরে না?

টেন্ডুলকার: নট রিয়েলি। কারণ প্রথম কথা হলাে পুরাে দল শুধু আমার ওপর নির্ভর করে, আমি এটা মানতে রাজি নই। দলে আরও দশজন খেলােয়াড় আছে এবং আমি যখন ভালাে খেলি তাতে তাদেরও অবদান থাকে। যেমন অন্য প্রান্তে কেউ থাকলেই আমি ব্যাট করতে পারি, নইলে নয়। আর আমি মােটেই এমন মনে করি না যে, আমিই দলের সব। আরও অনেক ভালাে খেলােয়াড় আছে দলে। আজহার, সিধু, মাঞ্জরেকার, জাদেজা, মঙ্গিয়া-এরা সবাই ভালাে খেলােয়াড়। বােলিংয়ে অনিল কুম্বলে, শ্রীনাথ, ভেঙ্কটেশ প্রসাদ, আশীষ কাপুর আছে। আমার তাে মনে হয় না, 'আমিই সব' এই ভেবে কোনাে দুশ্চিন্তা করার আছে।

শুভ্র: নিজের দৃষ্টিতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আপনার সেরা ইনিংস কোনটি?

টেন্ডুলকার: বেশ কয়েকটি আছে। যেমন ভারতের পক্ষে ওপেনার হিসেবে খেলা আমার প্রথম ইনিংসটি। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আমি ৪৯ বলে ৮২ রান করেছিলাম। সেই ইনিংসটি আমি সত্যিই খুব এনজয় করেছিলাম। এর পরপরই শারজায় গিয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৬৪ বলে ৭৩। সেই ইনিংসটিও ভালাে ছিল।

শুভ্র: সেই ইনিংসে ওয়াসিম আকরামের বলে বিস্ময়কর একটি শট খেলেছিলেন আপনি। ভালাে একটি বলে ছক্কা মেরেছিলেন স্কয়ার লেগের ওপর দিয়ে।

টেন্ডুলকার: ওটা আমি স্বতঃস্ফূর্তভাবে খেলেছি, পূর্বপরিকল্পিত কোনাে স্ট্রোক ছিল না। কখনাে কখনাে বােলার ভালাে বল করে, কখনাে বা মার খায়। এটা পার্ট অব দ্য গেম।

শুভ্র: বােলারদের মধ্যে সবচেয়ে যন্ত্রণা করেছে কে?

টেন্ডুলকার: সেভাবে নির্দিষ্ট কারও কথা বলা যাবে না। কোনাে নির্দিষ্ট দিনে যেকোনাে বােলার বিধ্বংসী হয়ে উঠতে পারে, যেকোনাে বােলারকে খেলতে সমস্যা হতে পারে। নির্দিষ্ট কোনাে বােলারকে কখনাে বিপজ্জনক মনে হয়নি আমার ।

শুভ্র: এই প্রসঙ্গ শুনতে শুনতে হয়তাে আপনি বিরক্ত হয়ে গেছেন। তার পরও এতে আসছি। ব্রায়ান লারার সঙ্গে শচীন টেন্ডুলকারের তুলনা...

টেন্ডুলকার: আমি তাে মনে করি, আমাদের মধ্যে কোনাে তুলনাই হওয়া উচিত নয়। কারণ লারা তার প্রায় পুরাে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারই তিন নম্বরে ব্যাট করেছে। কোনাে সন্দেহ নেই, ভালাে করেছে, খুবই ভালাে করেছে। আমার ব্যাপারে বলতে গেলে আমি ক্যারিয়ারের অর্ধেকটা সময়, প্রায় তিন বছর, ৬-৭ নম্বরে ব্যাট করেছি। এরপর আমি নিজেকে টপ-মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করি এবং প্রায় দু বছর হলাে ওয়ানডেতে ওপেন করছি। আমি মনে করি, ভালােই করছি। যদিও আমার ব্যক্তিগত মত হচ্ছে, এটা আরও ভালাে হতে পারে। আমি আগেই বলেছি, এখনাে আমার জীবনে অনেক কিছু ঘটতে বাকি। আমার পক্ষে দেশের জন্য যতটুকু ভালাে করা সম্ভব, তা করার চেষ্টা করে যাব আমি এবং তা করতে পারব বলেও আমি আত্মবিশ্বাসী।

শুভ্র: লারার দুটো বিশ্ব রেকর্ডের কথায় আসা যাক। এক মৌসুমে এই দুটি রেকর্ড করেই তাে ও এগিয়ে গেল আপনার চেয়ে। এর আগে তাে আপনিই এগিয়ে ছিলেন।

টেন্ডুলকার: সব ক্রিকেটারের জীবনেই এমন একটা ভালাে সময় আসে । লারা এই সময়টার সবচেয়ে বেশি সদ্ব্যবহার করেছে। সে সত্যিই দারুণ ব্যাটিং করেছে। কোনাে সাধারণ খেলােয়াড় তিন শ রান করতে পারে না। ও এমন এক খেলোেয়াড়, যার কাছ থেকে মানুষ সব সময়ই বড় কিছু আশা করে। লারার ওপর তাই এখন অনেক চাপ। আমার মতে, একজন খেলােয়াড় সবচেয়ে বেশি যা চাইতে পারে তা হলাে টিমমেটরা যেন তাকে মিস করে। একজন খেলােয়াড়ের কাছে এর চেয়ে বড় কিছু আর হতে পারে না। লারার ক্ষেত্রে তা-ই হয়েছে। অস্ট্রেলিয়া সফরে ও ছিল না, ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলকে মােটেই সম্পূর্ণ মনে হয়নি। ব্রায়ান লারা দলে থাকলেই ওয়েস্ট ইন্ডিজকে সম্পূর্ণ বলে মনে হয়। ফুল মার্কস টু হিম।

শুভ্র : লারার রেকর্ড ভেঙে দেওয়ার স্বপ্ন দেখেন না?

টেন্ডুলকার : সেভাবে নয়। রেকর্ডের সৃষ্টিই ভেঙে যাওয়ার জন্য। তবে এটা নিয়ে আমার সেভাবে চিন্তা করার কিছু নেই। আমি শুধু চেষ্টা করে যেতে পারি। সেটা রেকর্ড ভাঙার চেষ্টা নয়, রান করে যাওয়ার চেষ্টা। আমার মনে হয় না, লারা ইংল্যান্ডের বিপক্ষে রেকর্ড করার লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করতে নেমেছিল। রেকর্ড এসেছে এবং সে সেটাকে বরণ করে নিয়েছে।

`৯৬ বিশ্বকাপ ব্যর্থতার পরও অধিনায়ক আজহারে দারুণ মুগ্ধ ছিলেন শচীন। ছবি: গেটি ইমেজেস

শুভ্র: ঠিক আছে, বিশ্ব রেকর্ডের কথা থাক। খেলা ছাড়ার আগে পুরণ করে যেতে চান, এমন নির্দিষ্ট কোনাে স্বপ্ন আছে?

টেন্ডুলকার: আমার একটাই স্বপ্ন। অবসর নেওয়ার আগে ভারতকে বিশ্বের সেরা দল হিসেবে দেখে যেতে চাই । আজহারের নেতৃত্বে সে লক্ষ্যেই পরিশ্রম করে যাচ্ছি আমরা।

শুভ্র: নেতৃত্বের প্রসঙ্গ তুলে ভালােই করলেন। বিশ্বকাপ ব্যর্থতার পর অনেকেই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল, আজহারের দিন শেষ, অধিনায়ক হতে যাচ্ছেন আপনি।

টেন্ডুলকার: আমার কথা যদি বলেন, আমি কখনােই তা ভাবিনি। দেখুন, শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ওই ম্যাচটার (৯৬ বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল) আগে কেউই আজহারের সমালােচনা করেনি। একটা ম্যাচ হারার কারণেই আপনি কীভাবে একজন অধিনায়কের সমালােচনা করতে পারেন? আমার কাছে এটা বিস্ময়কর মনে হয় । এমনকি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচের অর্ধেকটা পর্যন্তও সবাই ভেবেছিল, ভারত জিততে যাচ্ছে। দুর্ভাগ্যবশত উইকেট অনেক খারাপ হয়ে যায়। আমাদের খুব বেশি কিছু করার ছিল না। আমি মনে করি না, ওই একটি পরাজয়ই আজহারের ক্যাপ্টেন্সি কেড়ে নিতে পারে। অধিনায়ক হিসেবে আজহার খুবই ভালাে করেছে।

শুভ্র: কিন্তু ভারতীয় দলের ক্যাপ্টেন্সি নিয়ে আপনার ভাবনাটা কী? সবাই জানে আপনি ভবিষ্যৎ অধিনায়ক, অপেক্ষাও তাে অনেক দিন হয়ে গেল!

টেন্ডুলকার: আমি সব সময়ই বলেছি, আমি এটা আজহারের কাছ থেকে কেড়ে নিতে চাই না। যদি এটা আমার কাছে আসে, যদি নির্বাচকরা মনে করেন দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা আমার আছে, তাহলে আমি তা গ্রহণ করব। নইলে আমি বলব, অধিনায়ক হিসেবে দারুণ করছে আজহার।

শুভ্র: শেষ প্রশ্ন। সেই শুরু থেকে অনেক প্রশংসাই তাে ঝরেছে আপনার ওপর। সবচেয়ে স্মরণীয় কমপ্লিমেন্ট হয়ে আছে কোনটি?

টেন্ডুলকার: মনে করা খুব কঠিন। এটাকেই মনে হচ্ছে সবচেয়ে কঠিন প্রশ্ন। আসলে কেউ কোনাে প্রশংসা করলে হয়তাে কয়েক সেকেন্ড তা ভাবি। ভালাে লাগে। তার পরই আমি তা ভুলে যাই।

শেয়ার করুনঃ
আপনার মন্তব্য
আরও পড়ুন
×