কারণ, বাসিল ডি`অলিভেইরা `সাদা` ছিলেন না

মোহাম্মদ খাইরুল আমিন

৫ অক্টোবর ২০২১

কারণ, বাসিল ডি`অলিভেইরা `সাদা` ছিলেন না

বাসিল ডি`অলিভেইরা

সিএলআর জেমস বলেছিলেন, `তারা ক্রিকেটের কী জানে, যারা শুধু ক্রিকেটই জানে!` কেবল ক্রিকেট জানলেই যে ক্রিকেটের সবটুকু জানা যায় না, বাসিল ডি`অলিভেইরা সম্ভবত এর সবচেয়ে আদর্শ উদাহরণ। তাঁর গল্পটা বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াই করার এক অনুপ্রেরণাও।

ক্রিকেটের বিতর্ক নিয়ে যদি কথা ওঠে, তাহলে বাসিল ডি'অলিভেইরা নামটা হয়তো শুরুর দিকেই আসবে। দক্ষিণ আফ্রিকা যে ২১ বছর নির্বাসিত ছিল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে, তার কারণ তো ডি'অলিভেইরাই।

দক্ষিণ আফ্রিকায় জন্ম। যেখানে গায়ের রঙের কারণে ক্রিকেটের মূল ধারায় ছিলেন নিষিদ্ধ। ইংলিশ ধারাভাষ্যকার জন আরলটের সহযোগিতায় সুযোগ পেয়ে পান ইংল্যান্ডের মাইনর লিগে। সেখান থেকে উস্টারশায়ারের পক্ষে কাউন্টি খেলার সুযোগ, ইংল্যান্ডের নাগরিকত্ব পেয়ে যাওয়ায় এক সময় ইংল্যান্ডের পক্ষে টেস্ট ক্রিকেটেও পদচারণা শুরু হয়ে যায় ডি'অলিভেইরার। কিন্তু যতটা নাম তাঁর ক্রিকেটার হিসেবে, তার চেয়ে লক্ষ গুণ আলোচনা হয় তাঁকে নিয়ে অক্রিকেটীয় কারণে। এই যে এখন দক্ষিণ আফ্রিকা দলে অশ্বেতাঙ্গ এবং মিশ্র বর্ণের ক্রিকেটারদের খেলতে দেখছেন, তা তো ডি'অলিভেইরার লেখা রোমাঞ্চকর গল্পের কারণেই।

ওই গল্পে পরে আসা যাক, আগে ডি'অলিভেইরার সঙ্গে পরিচয় হোক। ১৯৩১ সালের এই দিনে দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউনে জন্মেছিলেন ভারতীয়-পর্তুগিজ এক দম্পতির ঘরে। জন আরলটের কারণে ইংল্যান্ড দলে সুযোগ পেয়েছিলেন, সেটা তো আগেই বলা হয়েছে, ১৯৬৬ থেকে ১৯৭২ পর্যন্ত ব্যপ্তি পেয়েছিল তাঁর আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার। ৪৪ টেস্টে ৫টি সেঞ্চুরি ও ১৫টি ফিফটিসহ ৪০.০৫ গড়ে ২৪৮৪ রান। সঙ্গে মিডিয়াম পেস বোলিংয়ে ৪৪ উইকেট অলরাউন্ডার হিসেবেই চিনিয়ে দেয় তাঁকে। তবে ৮০ বছর বয়সে জীবনের মায়া কাটিয়ে অজানা জগতে পাড়ি দেওয়ার আগে নিজের নামটি প্রতিষ্ঠা করে গেছেন অন্য এক লড়াইয়ের ‘কারণ’ হয়ে। যে লড়াই করতে গিয়েই নেলসন ম্যান্ডেলাকে ২৭ বছর জেলে কাটাতে হয়েছিল।বাবা-মা এবং ভাইয়ের সাথে বাসিল ডি`অলিভেইরা (বাঁয়ে)

ডি'অলিভেইরাকেও যেমন স্বদেশ ছাড়তে হয়েছিল এই বৈষম্যের বলি হয়ে। তবে ভিন দেশে গিয়েও স্বদেশের সেই প্রথা পিছু ছাড়েনি ডি'অলিভেইরার। খুলেই বলা যাক। ডি'অলিভেইরা এমন একটা সময়ে ক্রিকেটে বেড়ে ওঠেন, যখন তাঁর মতো মানুষের দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটে জায়গা নেই। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট তাঁরা ব্রাত্য। দেশটির টেস্ট ক্রিকেট দল তখন অল হোয়াইট। ঘরে বাইরে সবখানে সাদাদের সঙ্গে অন্যদের বৈষম্য।

১৯৪৮ সালে ন্যাশনাল পার্টি সাধারণ নির্বাচনে জয় পায়। বর্ণবৈষম্যমূলক আইনের প্রণেতা তারাই। এই আইনের কারণে সাদাদের সঙ্গে অন্য সব বর্ণের মানুষের ছিল আইনগত ভেদাভেদ। জীবনের সব ক্ষেত্রে শ্বেতাঙ্গরা শাসক এবং অন্য বর্ণের মানুষরা শোষিত।

সেই সময় দক্ষিণ আফ্রিকান দল টেস্ট ক্রিকেট খেলত শুধু ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। ভারত, পাকিস্তান আর ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে খেলার প্রশ্নই ওঠে না। অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড রাজনৈতিক কারণে মেনে নিয়েছিল এই বৈষম্য। আইসিসিতে ভারত এর ঘোর বিরোধিতা করেও কিছু করতে পারেনি।

১৯৫০-এর দশকটা ভালোভাবে পার করতে পারলেও দক্ষিণ আফ্রিকা ১৯৬০-এর পর বিশ্ব ফুটবলে জায়গা হারাতে থাকে। ১৯৬৬ বিশ্বকাপে তাদের খেলতে দেওয়া হয়নি। ১৯৬৪ অলিম্পিক থেকে পরেরগুলোতেও নিষিদ্ধ ছিল। কিন্তু শরীরের রঙের আভিজাত্যে এমন বিভোর হয়ে ছিল যে, কমনওয়েলথ ছাড়তেও দ্বিধা করেনি। দক্ষিণ আফ্রিকার সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা রাগবি থেকেও শেষ পর্যন্ত নির্বাসিত হতে হয়।

বর্ণবৈষম্যের ওই সময়ে সকল ধরণের সুবিধা বঞ্চিত ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার অশ্বেতাঙ্গ কিংবা মিশ্র বর্ণের মানুষ। কিন্তু যা ঘৃণিত, তা কি আর চিরকাল টেকে! দক্ষিণ আফ্রিকাতেও বর্ণবৈষম্য টেকেনি, যার পেছনে ডি'অলিভেইরারও একটা ভূমিকা আছে। ডি'অলিভেইরারর গল্পের পরের অংশটুকু থেকে ওই মিথ্যে, অকল্যাণকর অংশটুকু ছুড়ে ফেলারই প্রেরণা মিলবে।

দক্ষিণ আফ্রিকা ঘুরে বৈষম্যের বিরুদ্ধে লেখা এক সাংবাদিককে মাধ্যম করে ১৯৬০ সালে ইংল্যান্ডের একটি মাইনর লিগে খেলার সুযোগ মেলে ডি'অলিভেইরার। ভাগ্যের চাকা ঘুরে যায় ১৯৬৪ সালে উস্টারশায়ার কাউন্টি ক্রিকেট দলে জায়গা মিললে। সেখানে ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের কারণে ১৯৬৬ সালে ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলেও ঢুকে যান।

ইংল্যান্ড দলে ডি'অলিভেইরার অন্তর্ভূক্তি বিশ্ব ক্রিকেটের দৃশ্যপটও বদলে দেয়। তীব্র রাজনৈতিক সংকটের জন্ম দেয় ব্যাপারটা এবং শেষতক জয় হয় ডি'অলিভেইরার।

১৬৬৮-৬৯ মৌসুমে ইংল্যান্ডের দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের আলাপ শুরু হয়। সফর এগোনোর পথে তখন একটাই বাধা, ডি'অলিভেইরা। দক্ষিণ আফ্রিকা তখন মিশ্র বর্ণের কোনো ক্রিকেটারের প্রতিপক্ষ হিসেবেও খেলতে রাজি না। তাই ডি'অলিভেইরাকে মেরিলিবোন ক্রিকেট ক্লাব বা এমসিসি দলে রাখলে দক্ষিণ আফ্রিকা সফর আদৌ বাস্তবতার মুখ দেখবে কি না, তা নিয়ে আলোচনা গোড়া থেকেই।

জন ভোরস্টার, দক্ষিণ আফ্রিকার তখনকার প্রধানমন্ত্রী। ছবি: গেটি ইমেজেস

দক্ষিণ আফ্রিকার প্রধানমন্ত্রী তখন বি.জে ভোরস্টার। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তিনি বলতেন ডি'অলিভেইরার ইংল্যান্ড দলে অন্তর্ভুক্তি ঠিক আছে, কিন্তু মনে মনে ছিলেন এর ঘোর বিরোধী। ১৯৬০ সালে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হ্যারল্ড ম্যাকমিলান তাঁর ‘উইন্ড অব চেঞ্জ’ বক্তৃতায় দক্ষিণ আফ্রিকার অ্যাপার্টহেল বা বর্ণবৈষম্যের আইনের তীব্র সমোলোচনা করেন। কিন্তু ওটুকই। দক্ষিণ আফ্রিকায় তাঁর ব্যবসায়িক স্বার্থ জড়িয়ে ছিল, ডানপন্থী দলটির মধ্যে সমর্থনক ছিল অ্যাপার্টহেল্ডের, তাই ইংল্যান্ড সতর্কও ছিল।

কিন্তু সময়কে তো বদলাতেই হবে। ডি'অলিভেইরাকে নেওয়া হবে কি হবে না, তা নিয়ে আলোচনা সফরের নির্ধারিত সময়ের তিন বছর আগে থেকে। এর মধ্যে ১৯৬৭ সালে সফল মৌসুমের কারণে ডি'অলিভেইরা ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের দলে ঢুকে যান। চাপের কারণেই বোধ হয়, সেখানে গিয়ে ভালো খেলতে পারেননি তেমন। তিনি নিজেও দাবি করেছিলেন, তাঁকে নিয়ে আলোচনা এবং বৈষম্যের কারণে পারফরম্যান্স খারাপ হয়েছে। এর পাশাপাশি বিভিন্ন পার্টিতে অনুপস্থিত থেকে বিতর্কও ছড়ান। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে একটা পক্ষ ‘অল হোয়াইট ইংল্যান্ড দল’-এ খেলার কারণে তাঁর বিরুদ্ধে ’নিজেকে বিক্রি করে দেওয়া’র অভিযোগও এনেছিল।

১৯৬৭ সালেই এমসিসির সভাপতি দক্ষিণ আফ্রিকা সফর করেন আসন্ন সফর নিয়ে আলেচনা করতে। প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়ে আসেন, যে দল তারা নির্বাচন করবেন তা মেনে নিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী তা মুখে মেনে নিলেও তলে তলে চলে ভিন্ন ষড়যন্ত্র। প্রথমত, ডি'অলিভেইরাকে ঘুষ দিয়ে কিনে নিতে চান। একটি ভিন্ন মঞ্চ তৈরি করে ক্রিকেটারকে মাসে ৪ হাজার পাউন্ড বেতনে কোচ বানানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়। তখনকার দিনে ক্রিকেটে এমন পারিশ্রমিক ছিল অকল্পনীয়। দ্বিতীয়ত, ইংল্যান্ডের নির্বাচক কমিটির ওপর প্রভাব বিস্তার। দ্বিতীয়টিতে কিছুটা সাফল্য এলেও প্রথমটি ছিল ব্যর্থ।কলিন কাউড্রে, বিতর্কে ভূমিকা ছিল তাঁরও। ছবি: গেটি ইমেজেস

ডি'অলিভেইরা ইস্যুর নাটকীয়তা চরমে উঠতে তখনো কিছুটা বাকি। ১৯৬৮ সালের জুনের কথা। অস্ট্রেলিয়া দল তখন ইংল্যান্ড সফর করছিল। প্রথম টেস্টে অপরাজিত ৮৭ রানের ইনিংস খেলেন ডি'অলিভেইরা। দুটি উইকেটও নেন। কিন্তু তাঁর রান ইংল্যান্ডের হার বাঁচাতে পারেনি দাবি তুলে পরের টেস্টে বাদ দেওয়া হয় তাঁকে। উইজডেন ক্রিকেটার্স অ্যালমানাক লেখে, 'বোলার হিসেবে ব্যর্থ হয়েছেন ডি'অলিভেইরা। ইংল্যান্ডের হার নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় তাঁর ইনিংস মূল্যায়ন করা কঠিন।'

দ্বিতীয় টেস্টের সকালে তখন অধিনায়ক কলিন কাউড্রে ডি'অলিভেইরাকে জানান, তাঁকে দ্বাদশ ব্যক্তি করা হয়েছে লর্ডসে। সেই দায়িত্ব পালন করে ঘরোয়া ক্রিকেটে জুনের মাঝামাঝি থেকে আগস্ট অব্দি ১২.৮১ গড়ে ২০৫ রান করেন। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যাওয়ার জন্য 'অ্যাভেইলেবল' কিনা, তা জানতে এমসিসি ৩০ জন খেলোয়াড়কে চিঠি পাঠায়। ওই ত্রিশের মধ্যে ডি'অলিভেইরা ছিলেন না।

কিন্তু ভাগ্যের কি ফের দেখুন! ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া পঞ্চম ও শেষ টেস্টের আগে ফর্মে ফেরেন ডি'অলিভেইরা। ওভালের কন্ডিশন বিচারে কাউড্রে একজন মিডিয়াম পেসার চান। স্কোয়াডে থালা টম কার্টরাইট খেলার মতো অবস্থায় ছিলেন না। ডি'অলিভেইরাকে তাই রিজার্ভ হিসেবে ডাকা হয়। আর খেলার ঠিক আগের দিন ব্যাটসম্যান রজার প্রিডক্স নিজেকে সরিয়ে নেন। ফল? ব্যাটসম্যান হিসেবে একাদশে ডি'অলিভেইরা।

অস্ট্রেলিয়া ১-০তে এগিয়ে ছিল সিরিজে। ইংল্যান্ডকে সমতা ফেরাতে জিততেই হতো। কয়েকটি জীবন পেয়ে ডি'অলিভেইরা ১৫৮ রানের ইনিংস খেলেন বিপুল চাপের মুখেই। বল হাতেও জমে ওঠা একটা জুটি ভেঙে দলের জয়ে ভূমিকা রাখেন ডি'অলিভেইরা।

যদি ভেবে থাকেন এরপর আর ডি'অলিভেইরার দক্ষিণ আফ্রিকা সফর সুযোগ পাওয়া ঠেকায় কে, তাহলে ভুল ভাবছেন। নাটকের শেষ অঙ্ক তখনো বাকি। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের দল গড়তে ১০ জন নির্বাচন বৈঠকে বসেন। ১৯৬৮ সালের ২৭ আগস্ট চলে ৬ ঘণ্টার মিটিং। কাউড্রেসহ সবাই একমত হন যে, তাঁরা যে অলরাউন্ডার চাইছেন, ডি'অলিভেইরা সে দাবি মেটাতে পারছেন না। সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে তাঁকে দলের বাইরে রাখার সিদ্ধান্ত হয়। তবে গণমাধ্যম দুই ভাগ হয়ে যায় এই সিদ্ধান্তে। 'নিউজ অব দ্য ওয়ার্ল্ড' দ্রুতই ডি'অলিভেইরাকে সাংবাদিক হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকায় পাঠানোর ঘোষণা দেয়। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসবক্সেও তখন অশ্বেতাঙ্গদের প্রবেশাধিকার নেই। দেশটির প্রধানমন্ত্রী বলে দেন, ডি অলিভিইরার ওখানেও জায়গা হবে না।১৫৮-এর পথে বাসিল ডি`অলিভেইরা । ছবি: গেটি ইমেজেস

এ যেন এক থ্রিলার। এমসিসির সদস্যরা প্রতিবাদের মুখে ফের বৈঠকে বসেন। বেশ কয়েকজন পদত্যাগও করেন। একটা বিদ্রোহ শুরু হয়েছে যেন। এই যখন চলছে, তখন ডি'অলিভেইরা সাসেক্সের বিপক্ষে খেলেন ১২৮ রানের ইনিংস। ভেঙে পড়েন ক্রিকেটার।

নাটকের শেষ অধ্যায়ের মঞ্চায়নে দৃশ্যপটে আসেন টম কার্টরাইট। নৈতিক কারণে সফরে যেতে অস্বীকার করেন। কারণ হিসেবে বলেন ‘ইনজুরি’। অথচ ফিটনেস টেস্টে পাস করেছিলেন তিনি। সেদিন ১৬ সেপ্টেম্বর। বোলারের বদলে বোলার ডাকাটাই নিয়ম, তবে বোলারের জায়গাতে এমসিসি সেবার দলে ডাকে ডি'অলিভেইরাকে।

ইতিহাস দ্রুত বদলায় এরপর। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রধানমন্ত্রী গোটা ব্যাপারকে ষড়যন্ত্র হিসেবে অভিহিত করেন। যে দলকে নির্বাচন করা হয়েছে, তা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে ভাষণে জানান। এই ইংল্যান্ড দলকে তাঁরা আতিথেয়তা দেবেন না বলে ঘোষণা দেন। ১৭ সেপ্টেম্বরের এই ঘোষণার পর ২৪ সেপ্টেম্বর এমসিসি কমিটি বৈঠকে বসে। সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে তারা জানান, ১৯৬৮-৬৯ মৌসুমে দক্ষিণ আফ্রিকা সফর করছে না ইংল্যান্ড।

ইতিহাসের রূপরেখা ওখানেই বদলে যায়। দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেটের মঞ্চ থেকে সরে যায় এর কিছুদিন পরই, ২১ বছরের জন্য। আর ডি'অলিভেইরা হয়ে যায় এক কিংবদন্তি।

শেয়ার করুনঃ
আপনার মন্তব্য
আরও পড়ুন
×