৬ ডিসেম্বর
১৯৯০
ব্রায়ান লারার টেস্ট অভিষেক
লাহোরে পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে অভিষেক হয় ত্রিনিদাদের এক ব্যাটসম্যানের, নাম ব্রায়ান চার্লস লারা। প্রথম টেস্টের দুই ইনিংসে করেছিলেন ৪৪ ও ৫, তবে পরে হয়ে উঠেন ক্রিকেটের বরপুত্র। ক্যারিয়ার শেষ করেছিলেন ১১,৯৫৩ রান নিয়ে। ড্রয়ে শেষ হওয়া সেই ম্যাচে ব্যাট হাতে আলো ছড়িয়েছিলেন আরেক ক্যারিবিয়ান কার্ল হুপার (১৩৪)।
১৯৮৯
শততম টেস্টে মিয়াঁদাদের সেঞ্চুরি
লাহোরে ভারতের বিপক্ষে নিজের শততম টেস্ট খেলতে নেমেছিলেন জাভেদ মিয়াঁদাদ। আর ১৪৫ রান করে নিজের শততম ম্যাচটি স্মরণীয় করে রাখেন 'বড়ে মিয়া'। তবে জয় এনে দিতে পারেননি দলকে, শোয়েব মোহাম্মদের ২০৩ ও ভারতের সঞ্জয় মাঞ্জরেকারের ২১৮ রানের বদৌলতে রানবৃষ্টির এই ম্যাচটি শেষ হয় টেস্টে তৃতীয় সর্বোচ্চ রানের অমীমাংসিত ম্যাচ হিসেবে।
১৯৭৭
শুভ জন্মদিন, অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফ!
তাঁর বোলিংয়ে একটা সময় বিশ্ব শাসনের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিল ইংলিশরা। তবে ক্যারিয়ারের শুরুতেই মেরুদণ্ডের চোটে পড়েছিলেন, স্বপ্নটা তাই স্বপ্নই রয়ে গেছে। ব্যাটে-বলে বেশ কার্যকরী এক অলরাউন্ডারই ছিলেন, ৭৯ টেস্টে ২২৬ উইকেটের পাশাপাশি ৩১.৪৭ গড়ে করেছিলেন ৩৮৪৫ রানও। ২০০৫ ছিল ফ্লিনটফের সেরা বছর। সে বছর ইংল্যান্ডের অ্যাশেজ জয়ে ব্যাটে-বলে ইংলিশদের তুরুপের তাস ছিলেন তিনি, হয়েছিলেন আইসিসি বর্ষসেরা ক্রিকেটারও। তবে শারীরিক সমস্যা আর মাঠের বাইরে নানা শৃঙ্খলাভঙ্গের ঘটনায় অকালেই দলের বাইরে চলে যেতে হয় তাঁকে।
১৯৭৭
’বুড়ো’ সিম্পসনের অধিনায়কত্ব
কেরি প্যাকারের বিদ্রোহী ওয়ার্ল্ড সিরিজের কারণে অস্ট্রেলিয়া দলে ছিলেন না নিয়মিত অনেকেই। ভারতের সঙ্গে ব্রিসবেনে প্রথম টেস্টে তাই অভিষেক হয়েছিল ছয় অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটারের। এই দল নিয়েও ভারতের বিপক্ষে ১৬ রানের জয় পায় অস্ট্রেলিয়া। ১০ বছর পর অবসর ভেঙে ফিরে আসা অধিনায়ক বব সিম্পসন একটা হাততালি পেতেই পারেন এজন্য।
১৯১৪
শুভ জন্মদিন, সিরিল ওয়াশব্রুক!
ল্যাঙ্কাশায়ারে জন্ম নেওয়া এই দুর্দান্ত ব্যাটসম্যান ইংল্যান্ডের হয়ে খেলেছিলেন ৩৭ টেস্ট ম্যাচ। ৪২.৮১ গড়ে ২৫৬৯ রানের টেস্ট ক্যারিয়ারটা আহামরি না হলেও ওয়াশব্রুককে স্মরণ করা হয় লেন হাটনের সাথে জোহানেসবার্গে তাঁর ৩৫৯ রানের জুটির জন্য, যেটি এখনো প্রথম উইকেটে ইংলিশদের সর্বোচ্চ উদ্বোধনী জুটির রেকর্ড। ১৯৩৩-১৯৬৪ সময়কালে ওয়াশব্রুকের দীর্ঘ প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট ক্যারিয়ারে আছে ৭৬টি সেঞ্চুরি আর ৩৪,০০০ রান।
১৮৮২
শুভ জন্মদিন, ওয়ারেন বার্ডসলি!
অস্ট্রেলিয়ার একদম গোড়ার দিকের তারকা ব্যাটসম্যান বললে এই বাঁহাতিকেও সে দলে রাখতে হবে। ৪১ টেস্টে করেছেন ২৪৬৯ রান, প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে টেস্টের দুই ইনিংসে সেঞ্চুরি (বিপক্ষ ইংল্যান্ড, ওভাল, ১৯০৯)। ১৯২৬ সালে ক্যারিয়ারের শেষ সিরিজে লর্ডসে অপরাজিত ছিলেন ১৯৩ রানে। আর এতেই লর্ডসে সফরকারী ক্রিকেটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ রান করার (৫৭৫) কীর্তি, যা টিকে আছে আজও।