
৩ অক্টোবর
২০০৭
বাউচারই সবার ওপরে
করাচি টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে উমর গুলকে পল হ্যারিসের শিকার বানিয়ে টেস্টে তখনকার সর্বোচ্চ ৩৯৫ ডিসমিসালের নতুন রেকর্ড গড়েন মার্ক বাউচার। অস্ট্রেলীয় উইকেটকিপার ইয়ান হিলির চেয়ে ১৬ টেস্ট কম খেলে নিজের ১০৩তম টেস্টে তাঁকে পেছনে ফেলেন বাউচার। পরে অ্যাডাম গিলক্রিস্টের কাছে অল্প সময়ের জন্য এই রেকর্ডটি হারালেও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালে ঢাকায় আবার তা পুনরুদ্ধার করেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ১৪৭ টেস্ট খেলে ক্যারিয়ার শেষ করেছেন ৫৫৫ ডিসমিসাল নিয়ে।
১৯৯৫
পাকিস্তানকে শ্রীলঙ্কার কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা
টেস্ট সিরিজে পাকিস্তানেরই ঘরের মাঠে তাদের ২-১ ব্যবধানে হারিয়ে শ্রীলঙ্কা চমকে দিয়েছিল সবাইকে। পরে রাওয়ালপিন্ডিতে ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচে আরেকবার পাকিস্তানকে ২-১ এ হারিয়ে আবারও সিরিজ জিতে নেয় লঙ্কানরা। বৃষ্টিবিঘ্নিত শেষ ম্যাচে নিজের স্বভাবসুলভ ৪২ রানের এক দৃষ্টিনন্দন ইনিংস খেলে ২ বল বাকি থাকতেই জিতেছিল শ্রীলঙ্কা। ৩৮ ওভারের ম্যাচে পাকিস্তান করেছিল ১৮৩, ৪২ রান করে লঙ্কান অধিনায়ক অর্জুনা রানাতুঙ্গা ৪ উইকেটে জয় এনে দেন দলকে। হন ম্যান দ্য ম্যাচ।
১৯৮১
শুভ জন্মদিন, জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচ!
সুইডেনের মালমোতে জন্মেছিলেন জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচ। সুইডেনের হয়ে সবচেয়ে বেশি ১১৮ ম্যাচ খেলে গোল করেছেন ৬২টা। ক্লাব ফুটবলে খেলেছেন বার্সেলোনা, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, ইন্টার কিংবা এসি মিলানের মতো ক্লাবে, এখন পর্যন্ত জিতেছেন ৩১টা শিরোপা।
১৯৭১
`লাখপতি` বিলি জিন কিং
প্রথম প্রমীলা টেনিস খেলোয়াড় হিসেবে এক বছরে ১ লাখ মার্কিন ডলার প্রাইজমানি আয় করেন বিলি জিন কিং। আরিজোনায় ভার্জিনিয়া স্ল্যামস টুর্নামেন্টে ৪ হাজার ডলার জিতে এসেছিল তাঁর এ অর্জন।
১৯৫২
শুভ জন্মদিন, গ্যারি ট্রুপ!
মাত্র ১৫ টেস্টে ৩৯ উইকেট শিকারির ক্যারিয়ারটা কারও মনে থাকা কথা নয়। তবে এই ট্রুপের কারণেই টেস্ট অভিষেকের ৫০ বছর পর ঘরের মাঠে প্রথম টেস্ট সিরিজ জয় পায় নিউজিল্যান্ড! ১৯৭৯-৮০ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৩ ম্যাচের সেই সিরিজে ২০.৬১ গড়ে ১৮ উইকেট শিকার করেছিলেন ট্রুপ। তাঁর এই বীরত্বে ঘরের মাঠে ১-০ ব্যবধানে সেই অপারেজয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলকে হারায় কিউইরা, যারা কিনা এরপর টেস্টে অজেয় ছিল ১৯৯৪-৯৫ সাল পর্যন্ত।
১৯২১
শুভ জন্মদিন, রে লিন্ডওয়াল!
উইজডেন অ্যালমানাক বলছে, 'সম্ভবত তাঁর হাত দিয়েই আধুনিক ক্রিকেটে ফাস্ট বোলিংটা ভিত্তি পেয়েছিল'। অস্ট্রেলিয়ার সর্বকাল-সেরা একাদশে তাঁর জায়গা অনেকটা অবধারিতই। লিন্ডওয়াল ছিলেন অসাধারণ সুইং বোলার। তাঁর ৬১ টেস্টে ২২৮ উইকেটের মধ্যে ৪৩ শতাংশই এসেছিল বোল্ড আউটে। ১৯৪৮ অ্যাশেজের শেষ ম্যাচে ওভালে মাত্র ২০ রানে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন লিন্ডওয়াল, এই বোলিংয়েই ৫২ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল ইংল্যান্ড, যা এখনো অ্যাশেজে তাদের সর্বনিম্ন স্কোর।
১৮৮৮
নিউজিল্যান্ডের প্রথম রাগবি দল
যুক্তরাজ্য সফরে গিয়ে রাগবিতে অভিষেক হয় নিউজিল্যান্ডের, মাঠে নেমেছিল তাদের মাওরি আদিবাসীরা। প্রথম ম্যাচেই ৪-১ সেটে সারেকে হারায় তারা। ম্যাচের আগে মাওরিরা পরিবেশন করে তাদের ঐতিহ্যবাহী 'হাকা'ও, যা দেখা যায় এখনো!