শুক্রবার,
০৬ ডিসেম্বর ২০২৪
আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ জিততে দেখেছেন? উত্তর যদি ‘হ্যাঁ’ হয়, তার মানে তো আপনি এরই মধ্যে চালশেতে আক্রান্ত অথবা আক্রান্ত হতে যাচ্ছেন। কীভাবে নিশ্চিত হলাম, বুঝতে পারছেন না? সরল গণিত রে ভাই, সরল গণিত।
মিডিয়া সেন্টারে বিভিন্ন দেশের প্রায় ৩০ জন সাংবাদিকের মধ্যে একটা চকিত জরিপ চালিয়ে দেখলাম, তাঁদের কেউই এখনো আল বায়ত স্টেডিয়ামটা চোখে দেখেননি। দোহা থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরের এই স্টেডিয়ামেই আজ পর্দা উঠছে ২০২২ বিশ্বকাপ ফুটবলের।
অকালে চলে গেছেন মোনেম মুন্না, কিন্তু তাঁর কীর্তিগাথাতেই বেঁচে আছেন এই ফুটবলার। বেঁচে থাকবেন চিরদিনই।
গোলসংখ্যা নিয়ে পরে বিতর্ক হয়েছে। যত না গোলসংখ্যা নিয়ে, তার চেয়ে যে ম্যাচগুলোতে গোল, সেই ম্যাচগুলোর মর্যাদা নিয়ে। তবে তারপরও পেশাদার ফুটবলে এক হাজার গোল করার প্রথম কীর্তিটা ইতিহাসে লেখা আছে পেলের নামেই। পেলের মুখেই শুনুন সেই গোলের পটভূমি এবং শেষ পর্যন্ত তা করার গল্প।
গোলসংখ্যা কিছুটা বলে, বিশ্বকাপ জয়ের সংখ্যাও। তারপরও কি তাতেই পুরো বোঝা যায় পেলে-মহিমা? একজন ফুটবলার খেলোয়াড়ি জীবনেই কিভাবে `সর্বকালের সেরা খেলোয়াড়`-এর স্বীকৃতি পেয়ে যান, এই প্রশ্নের উত্তর তো খোঁজার মতোই। কোথায় আলাদা ছিলেন পেলে? কী তাঁর মাহাত্ম্য?
স্টেডিয়ামের মূল প্রবেশপথের বাইরেই পেলের দুটি মূর্তি। একটি মাঠে উল্লাসরত, অন্যটি আবক্ষ পেলে। ঠিক পেছনেই সান্তোস ফুটবল ক্লাবের জাদুঘরে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পেলের অসংখ্য স্মৃতি। এমনই হওয়ার কথা। এটা যে সান্তোস ফুটবল ক্লাবের মাঠ। পেলের মাঠ। ২০১৪ বিশ্বকাপের সময় যা ঘুরে এসেছেন উৎপল শুভ্র।
বছরের পর বছর ক্লান্তিহীনভাবে গোল করে যাচ্ছেন তাঁরা দুজন। হিসাব রাখতে গিয়ে কখনো কখনো কি খেই হারিয়ে ফেলার দশাও হয় না? ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ও লিওনেল মেসির বছরওয়ারী গোলের হিসাবটা তাই এক জায়গায় লিপিবদ্ধ করে রাখাটাই ভালো।
কোপা আমেরিকা জয়ের মাধ্যমে লিওনেল মেসির আন্তর্জাতিক ট্রফি জিততে না পারার আক্ষেপ ঘোচানো, ইতালির ইউরো জয়...মহাদেশীয় এই দুই টুর্নামেন্টকেও ছাপিয়ে সম্ভবত ২০২১ সালের সবচেয়ে আলোচিত ঘটনা দুটি দলবদল। মেসির বার্সেলোনা ছেড়ে যাওয়া আর রোনালদোর ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে ফেরা। আর কী কী আছে, মনে করে দেখুন তো!
নেইমারের উঁচু হয়ে ওঠা পেট নিয়ে অনেক কথা হয়েছে। ইনজুরির কারণে কয়েক সপ্তাহ অবশ্য বিশ্রাম তার এখন। কিন্তু এটা কি জানেন, এক সময় যাঁকে ব্যালন ডি’অরের দাবিদার মনে করা হতো, তাঁর ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বাজে বছর এই ২০২১!
বার্সেলোনা তো ছিল মেসির পাড়ার ক্লাব। একসঙ্গে বেড়ে ওঠা বন্ধুদের সঙ্গে মনের আনন্দে খেলা। পেশাদার ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো অন্য ক্লাবে গিয়ে তাই অন্য চ্যালেঞ্জ। নতুন সতীর্থ, ভিন্ন ফুটবলীয় ঘরানার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার কঠিন কাজটা করতে হচ্ছে লিওনেল মেসিকে। মেসির সঙ্গে মানিয়ে নিতে হচ্ছে সতীর্থদেরও। সেই কাজটা ভালোই হচ্ছে বলে দাবি পিএসজির আরেক আর্জেন্টিনিয়ান অ্যাঙ্গেল ডি মারিয়ার।
এক দশক আগে বিশ্বের অবিসংবাদী সেরা ক্লাব বার্সেলোনা নামতে নামতে এখন পতনের প্রায় শেষ বিন্দুতে। কেন, কিভাবে এমন স্বপ্নের একটি দল ধ্বংস হয়ে গেল? কারণ খুঁজতে গেলে দেখা যাবে, বার্সেলোনার অস্ত্র দিয়েই বার্সেলোনাকে ঘায়েল করেছে প্রতিপক্ষ দলগুলো। দ্য অ্যাথলেটিক-এর লেখার ভাষান্তরিত রূপ।
যে ক্লাব জাভিকে জাভি বানিয়েছে, সেই বার্সেলোনার দায়িত্ব নিয়েই দলে নিজের কোচিং দর্শনের ছাপ রাখতে শুরু করেছেন জাভি হার্নান্দেজ। কড়া হেডমাস্টারের মতোই নিয়মকানুন মানতে বাধ্য করেছেন খেলোয়াড়দের। নিজের পছন্দের কোচিং প্যানেল সাজাতে বিদায় করে দিয়েছেন ক্লাব সভাপতি লাপোর্তার পছন্দের মানুষজনকে। লাপোর্তার সঙ্গে অলিখিত দ্বন্দ্ব আছে আরও অনেক বিষয়ে। দ্য অ্যাথলেটিক তুলে এনেছে বার্সার অন্দরমহলের খোঁজ।
৬ ডিসেম্বর