অথচ ফার্গুসন আর মরিনহোর পরই সোলশার!
উৎপলশুভ্রডটকম
২২ নভেম্বর ২০২১
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের মতো দল সাত ম্যাচের মধ্যে পাঁচটি হেরে বসলে ম্যানেজারের চাকরি যাওয়ারই কথা। ওলে গানার সোলশারের চাকরিও তাই গেল। ট্রফি জিততে পারেননি একটাও, কিন্তু জয়ের হার দেখলে বিষম একটু চমক তো লাগেই!
সাত ম্যাচে পাঁচ নম্বর পরাজয়ে ম্যানেজার হিসেবে ওলে গানার সোলশারের ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড অধ্যায় শেষ হয়ে যাওয়ার খবর হয়তো জেনেই গেছেন এরই মধ্যে। তবে এটা কি জানেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউনাইটেড ম্যানেজারদের মধ্যে জয়ের হার বিবেচনায় সোলশারের ওপরে আছেন মাত্র দুই জন। স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসন ও জোসে মরিনহো।
১৫০০ ম্যাচে ইউনাইটেডের ডাগ আউটে দাঁড়ানো ফার্গুসন জিতেছেন ৫৯.৬৭ শতাংশ ম্যাচে। ১৪৪ ম্যাচে মরিনহোর জয়ের হার ৫৮.৩৩। সোলশার খুব একটা পিছিয়ে নেই এই দুজনের চেয়ে। সোলশার দায়িত্ব নেওয়ার পর ১৬৮ ম্যাচের ৯১টিতে জিতেছে ইউনাইটেড। শতাংশের হিসাবে যা ৫৪.৮৮। কিন্তু জয়-পরাজয়ের এই হিসেব দিয়ে কী লাভ, সোলশার যে ইউনাইটেডকে কোনো ট্রফি জেতাতে পারেননি। যা পেরেছেন ফার্গুসনের পর এবং সোলশারের আগে দায়িত্ব নেওয়া চার ম্যানেজারের সবাই। তাঁদের নাম ডেভিড ময়েস (২০১৩-২০১৪), রায়ান গিগস (২০১৪), লুই ফন হাল (২০১৪-২০১৬) ও হোসে মরিনহো (২০১৬-২০১৮)। ট্রফি জিতেএ তো তাদের কেউই ওল্ড ট্রাফোর্ডে দীর্ঘস্থায়ী হতে পারেননি।
ফার্গুসন-উত্তর এই চারজনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সময় এবং সবচেয়ে বেশি ম্যাচে দায়িত্ব পালন করেছেন সোলশার (২০১৬-২০২১)। ম্যাচ জেতার হিসাবে সাফল্যের হারও শুধু মরিনহোর চেয়েই কম।
কিন্তু বড় পার্থক্য হলো, বাকি চারজন অন্তত একটা হলেও ট্রফি এনেছেন ওল্ড ট্রাফোর্ডে। মরিনহো ২০১৭ সালে ইউরোপা লিগ ও ইএফএল কাপের ‘ডাবল’ জিতেছিলেন। ফন হাল ২০১৬ সালে বরখাস্ত হওয়ার কিছুদিন আগে জিতেছিলেন এফএ কাপ।
খেলোয়াড় হিসেবে ইউনাইটেডের জার্সি গায়ে ১৯৯৯ সালে ‘ট্রেবল’ জিতেছিলেন সোলশার। কিন্তু ম্যানেজার হিসেবে দেখানোর মতো কিছুই দেখানোর নেই তাঁর।