বেলজিয়াম-পর্তুগাল ম্যাচে এত কিছু!

২৮ জুন ২০২১
মাঠে খেলেছেন রোনালদো-হ্যাজার্ডরা। ‘খেলা’ হয়েছে পরিসংখ্যানেও! তথ্য-উপাত্তেও লুকিয়ে আছে দুই দলের আনন্দ-বেদনার কাব্য।
চোখ ছিল ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর ওপর। গোল করবেন। আলি দাইয়িকে ছাড়িয়ে গড়বেন আন্তর্জাতিক ম্যাচে সবচেয়ে বেশি গোলের রেকর্ড। তা তো হয়ইনি। রোনালদোর গোল পাননি, বেলজিয়ামের কাছে হেরে ইউরো থেকে বিদায়ও নিয়েছে চ্যাম্পিয়ন পর্তুগাল। পরিসংখ্যানের পাতায় দাগ কাটার মতো অবশ্য অনেক কিছুই দিয়েছে নকআউট পর্বে বেলজিয়াম-পর্তুগালের লড়াই। তারই কিছু এখানে:
* এই ম্যাচের আগে গত তিন দশক পর্তুগালকে হারাতে পারেনি বেলজিয়াম। সর্বশেষ জিতেছিল ১৯৮৯ সালে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে। ৩-০ গোলে সেই জয়ের পর পাঁচটি ম্যাচের তিনটিতেই হেরেছে বেলজিয়াম। বাকি দুটি যে ড্র, তা তো না বললেও চলছে।
* এবারের ইউরোতে চার ম্যাচের মাত্র একটিতেই জিতেছে পর্তুগাল। ৩৭ বছরে এই প্রথম মাত্র একটি ম্যাচ জিতেই ইউরো থেকে বিদায় পর্তুগিজদের। এর আগে ১৯৮৪ ইউরোতেও একটি মাত্র ম্যাচ জিতলেও তা নিয়ে এত আলোচনা হয়নি, কারণ পর্তুগাল সেবার টুর্নামেন্টের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ছিল না।
* ইউরোতে পর্তুগালের রেকর্ড জানলে গোল খাওয়ার পরই রোনালদোদের কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠা নিয়ে সংশয়ে পড়ে যাওয়ার কথা। ২০০৪ থেকে ধরলে ইউরোতে প্রথম গোল খাওয়ার পর ১০ ম্যাচের মাত্র একটিতেই জিতেছে তারা। সেটি ২০১২ ইউরোতে হল্যান্ডের বিপক্ষে ২-১ গোলে।
* ফুটবলের বড় কোনো আসরে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার টানা ৫ ম্যাচ জিতল বেলজিয়াম (দুবারই কোচ রবার্তো মার্তিনেজ। মার্তিনেজ দায়িত্ব নেওয়ার পর বিশ্বকাপ ও ইউরো মিলিয়ে ১১ ম্যাচের ১০টিতেই জিতেছেন হ্যাজার্ডরা।
 
* বেলজিয়ামের জয়ের নায়ক থরগান হ্যাজার্ড গোলটা করেছেন বক্সের বেশ বাইরে থেকে বুলেট গতির শটে। ২০১৬ ও চলতি ইউরো মিলিয়ে এটি বক্সের বাইরে থেকে করা বেলজিয়ামের ষষ্ঠ গোল। এই ৬টি গোল করেছেন পাঁচজন ভিন্ন খেলোয়াড়।

* বেলজিয়ামের হয়ে এই প্রথম টানা দুই ম্যাচে গোল করেছেন থরগান হ্যাজার্ড। বড় ভাই এডেন হ্যাজার্ডের আন্তর্জাতিক ম্যাচে সর্বশেষ গোলের পর চারটি গোল করে ফেললেন থরগান।
* ইউরোর চূড়ান্ত পর্বে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার রেকর্ড আগেই ছিল রোনালদোর। এই ম্যাচ খেলে সেটিকে ২৫-এ নিয়ে গেছেন তিনি।
* ইউরোতে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার রেকর্ডে রোনালদোর পর যে দুটি নাম, তাঁরাও পর্তুগিজ। পেপে ও মুতিনহোও খেলেছেন ১৯টি করে ম্যাচ। যার অর্থ, ইউরোতে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলা তিন ফুটবলারই ছিলেন এই ম্যাচের পর্তুগাল দলে।
* পর্তুগালের বিপক্ষে ম্যাচে বেলজিয়ামের প্রথম একাদশের খেলোয়াড়দের গড় বয়স ছিল ৩০ বছর ১৪৮ দিন। ইউরোয় এটা বেলজিয়ামের সবচেয়ে বয়সী দল। সবচেয়ে বয়সী এই ইউরোতে এখন পর্যন্ত অন্য যেকোনো দলের প্রথম একাদশের চেয়েও।


 
										 
										 
										 
										 
										 
										

 
            





 
						 
						 
						 
						 
						