জিতলে সেমিফাইনাল, সঙ্গে ডেনমার্কের প্রতিশোধও
ডেনমার্ক-চেক প্রজাতন্ত্র
সেমিফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে মুখোমুখি হচ্ছে ডেনমার্ক-চেক প্রজাতন্ত্র। লড়াইয়ের আগে পরিসংখ্যান আর ইতিহাসের আয়নায় দুই দলের হালচাল।
ঘরের মাঠে প্রথমবারের মতো বড় কোনো আসরের আয়োজন, তাতে প্রথম ম্যাচেই কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের শিকার হয়ে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে চলে গেলেন দলের সবচেয়ে বড় তারকা, আবেগে থরহরি কম্প হয়ে ম্যাচটাও হেরে যেতে হলো ১-০ ব্যবধানে… ১২ জুন যা হয়েছিল, ডেনমার্কের ইউরো-যাত্রা তার চেয়ে বাজেভাবে শুরু হতে পারত না। তবে সেই দুঃস্মৃতিকে পেছনে ফেলে দলটা নিজেদের গুছিয়ে নিয়েছে আবার, ক্রিস্টিয়ান এরিকসেনের অনুপ্রেরণা কাজে লাগিয়ে এগিয়ে চলেছে দুরন্ত গতিতে, প্রথম দল হিসেবে গ্রুপ পর্বের প্রথম দুই ম্যাচ হেরেও উঠেছিল দ্বিতীয় পর্বে, সেখানেও ওয়েলসকে ৪-০ ব্যবধানে উড়িয়ে দিয়ে ডেনমার্ক এখন শেষ আটে। কোয়ার্টার ফাইনালে ডেনমার্কের প্রতিপক্ষ চেক প্রজাতন্ত্র, যাদের বিপক্ষে ২০০৪ ইউরোতে হেরে পূরণ হয়নি সেমিতে ওঠার সাধ।
আজ কি ড্যানিশদের বদলা নেওয়ার ম্যাচ? চলুন না, ইতিহাস-পরিসংখ্যান ঘেঁটে দেখে নেওয়া যাক, সেখান থেকেও তারা অনুপ্রেরণার বন্দোবস্ত করতে পারে কি না!
★ দু'দলের শেষ ছয় ম্যাচের পাঁচটিই শেষ হয়েছে সমতায়। ফল আসা ম্যাচটি ৮ বছর পুরোনো, ডেনমার্ক জিতেছিল ৩-০ ব্যবধানে।
★ ইউরোর ইতিহাসটা অবশ্য চেকদের পক্ষে। ইউরোতে তৃতীয়বারের মতো মুখোমুখি হতে যাচ্ছে চেক প্রজাতন্ত্র-ডেনমার্ক। আগের দুই সাক্ষাতেই জিতেছিল চেকরা, ২০০০ ইউরোতে ২-০ ব্যবধানে, আর ২০০৪ ইউরোর শেষ আটে ৩-০ গোলে।
★ ইউরোতে প্রথম দল হিসেবে পরপর দুই ম্যাচে চার কিংবা এর গোল করার রেকর্ড গড়েছে ডেনমার্ক, রাশিয়া (৪-১) আর ওয়েলসের (৪-০) বিপক্ষে জয়ের ম্যাচে। সব মিলিয়ে আসরে এখন পর্যন্ত ৯ গোল করেছে ড্যানিশরা, বড় টুর্নামেন্টে এর চেয়ে বেশি গোল একবারই করেছিল তারা (১৯৮৬ বিশ্বকাপে, ১০ গোল)।
★ চতুর্থবারের মতো ইউরোর শেষ আটে উঠল চেক প্রজাতন্ত্র। ১৯৯৬ ইউরোতে পর্তুগালকে আর ২০০৪ ইউরোতে এই ডেনমার্ককে হারিয়ে পৌঁছেছিল সেমিফাইনালে। আর ২০১২ সালে পর্তুগালের কাছে ১-০ ব্যবধানে হেরে যাত্রা থেমে যায় এই পর্বেই।

★ এবারের ইউরোতে ড্যানিশদের ম্যাচপ্রতি শট নেওয়ার গড় ১৮.৮, যার ৭.৩টিই অন-টার্গেট। ১৯৬৬ বিশ্বকাপ থেকে হিসাব করলে বড় টুর্নামেন্টে তাদের সর্বোচ্চ।
★ বড় টুর্নামেন্টে সর্বশেষ দুটি কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচই হেরেছে ডেনমার্ক। চেকদের বিপক্ষে ২০০৪ ইউরোতে হারার আগে ১৯৯৮ বিশ্বকাপে ব্রাজিলের কাছে হেরেছিল ৩-২ ব্যবধানে।
★ এবারের ইউরোতে প্রথম ৪৪ শটে ডেনমার্ক গোল পেয়েছিল ১টি, সর্বশেষ ৩১ শটে তাদের গোল ৮টি (রূপান্তর হার ২৬%)।
★ নিজেদের প্রথম ইউরোতেই পাঁচ কিংবা এর বেশি গোল করেছেন পাঁচজন। এবারের টুর্নামেন্টে চার ম্যাচে ৪ গোল পেয়ে গেছেন প্যাট্রিক শিক, আজ গোল করলে নাম লেখাবেন ওই অভিজাত স্ট্রাইকারদের দলে।
★ শিকের ৪ গোলের ৩টিই এসেছে বাঁ পায়ে, ইউরোর এক আসরে বাঁ পায়ে এর চেয়ে বেশি গোল করেছেন একজনই, ২০১৬ ইউরোতে আঁতোয়ান গ্রিজমান (৪)।



 
										 
										 
										 
										 
										 
										

 
            





 
						 
						 
						 
						 
						