উৎপল শুভ্র নির্বাচিত পাঠকের লেখা

এক টি-টোয়েন্টিতে কত রেকর্ড!

রিফাত বিন জামাল

২ সেপ্টেম্বর ২০২১

এক টি-টোয়েন্টিতে কত রেকর্ড!

বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড প্রথম টি-টোয়েন্টি শেষ হয়েছে বাংলাদেশের ৭ উইকেটের জয়ে। জয় ছাড়াও এই ম্যাচ দাগ কেটে গেছে রেকর্ড বইয়ের আরও বেশ কিছু পাতায়। সব এক নজরে এই লেখায়।

পূর্ণ সদস্য দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ যাদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি খেলেছে, তাদের মধ্যে শুধুমাত্র দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ছয় ম্যাচ খেলেও এখনো জয়শূন্য। আজ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পেয়েছে প্রথম জয়। তবে প্রথম জয় পেতে সবচেয়ে বেশি অপেক্ষা করতে হয়েছে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেই। অপেক্ষার ফল যে মধুরই হয়! বাংলাদেশ আজ যা পেয়েছে, সেটি এর চাইতে মধুর হতে পারত না! বাংলাদেশের ৭ উইকেটের জয়ে বাংলাদেশের সাথে নিউজিল্যান্ডও পেয়েছে বেশ কিছু রেকর্ড, যেগুলোর বেশিরভাগই যদিও ‘না চাওয়ার’!

৬০- টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে কোন দলের সর্বনিম্ন স্কোর। সেটি টি-টোয়েন্টিতে যৌথভাবে নিউজিল্যান্ডেরও সর্বনিম্ন। এর আগে একবার ৬০ রানে চট্টগ্রামে ২০১৪ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অলআউট হয়েছিল কিউইরা। ৬০-এর চেয়ে কম রানে টেস্ট খেলুড়ে দেশের মধ্যে কেবল ওয়েস্ট ইন্ডিজই অলআউট হয়েছিল। ২০১৯ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৪৫ রানে।

- প্রথম চার ওভারে চার কিউই ব্যাটসম্যানকেই প্যাভিলিয়নে ফিরিয়েছে বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টিতে ইনিংসের প্রথম চার ওভারে বাংলাদেশ চার উইকেট তুলে নিতে পারল এই প্রথম।

- পূর্ণ সদস্য দেশগুলোর মধ্যে টি-টোয়েন্টিতে কোন মেডেন ছাড়া চার ওভার বল করে এর চেয়ে কম রান দিয়েছেন শুধুমাত্র একজন। কানাডার বিপক্ষে জিম্বাবুয়ের ক্রিস্টোফার পোফু ৬ রান দিয়ে বোলিং কোটা সম্পূর্ণ করেছিলেন। যৌথভাবে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন ৭ রান দিয়েছেন আইজাজ প্যাটেল ও শাদাব খান।

- অভিষেকে একই ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের দুই ব্যাটসম্যান শূন্য রানে আউট হয়েছেন, এমন হয়েছে দুবার। ইতিহাসের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ম্যাথু সিনক্লেয়ার ও কাইল মিলস দুজনই আউট হয়েছিলেন প্রথম বলে। কোল ম্যাককঙ্কির সাথে আজ শূন্যের দেখা পেয়েছেন রাচিন রবীন্দ্র। রবীন্দ্রর কষ্টটাই বেশি, অভিষেকেই প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন প্রথম বলে আউট হয়ে। এর আগে নিউজিল্যান্ডের আরেক ওপেনার ফিন অ্যালেনও তাঁর অভিষেক টি-টোয়েন্টিতে 'গোল্ডেন ডাক'-এর দেখা পেয়েছিলেন। সেদিনও প্রতিপক্ষ ছিল বাংলাদেশ।

১১- অধিনায়ক হিসেবে এটি টি-টোয়েন্টিতে মাহমদুল্লাহ রিয়াদের একাদশ জয়। যে জয়ে তিনি ছাড়িয়ে গেলেন বাংলাদেশের ক্যাপ্টেন হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে মাশরাফি বিন মুর্তজার ১০ জয়কে। মাশরাফির অধীনে ২৮ ম্যাচে বাংলাদেশের জয় ১০, আর মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের ১১ জয় ২৩ ম্যাচে।

৩০- বাংলাদেশ এ ম্যাচে জয় পেয়েছে ৩০ বল বাকি থাকতেই। এর চাইতে বেশি বল হাতে রেখে বাংলাদেশ কোনো টি-টোয়েন্টিতে জয় পেয়েছিল মাত্র একবার। সেটি আফগানিস্তানের বিপক্ষে ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে, ৭৩ রান তাড়া করে জিতেছিল ৪৮ বল হাতে রেখে।

১১- টি-টোয়েন্টিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম জয় এলো ১১তম ম্যাচে। প্রথম জয়ের জন্য এর চেয়ে বেশি ম্যাচ অপেক্ষা করতে হয়নি আর কোনো দেশের বিপক্ষে। দ্বিতীয় স্থানে আছে ভারত। নবম ম্যাচে এসে ভারতের বিপক্ষে প্রথম জয়ের দেখা পেয়েছিল বাংলাদেশ। আর প্রথম ম্যাচেই জয়ের দেখা পেয়েছে চারটি দলের বিপক্ষে: ওয়েস্ট ইন্ডিজ, জিম্বাবুয়ে, আফগানিস্তান ও হল্যান্ড। শুধু জয় পাওয়া হয়নি ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। ইংল্যান্ডের সাথে সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে এখনো দেখাই হয়নি, দক্ষিণ আফ্রিকার সাথে ছয়বারের দেখায় হার সব কটিতেই।

৩৫৮- সাকিব আল হাসান টি-টোয়েন্টিতে তাঁর সপ্তম ম্যান অব দ্যা ম্যাচ পুরস্কার পেলেন ৩৫৮তম আন্তর্জাতিক ম্যাচে। বাংলাদেশের হয়ে তাঁর চেয়ে বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন শুধু মুশফিকুর রহিম (৩৮৯)। বাংলাদেশের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলার রেকর্ডটা আজই গড়েছেন সাকিব। ছাড়িয়ে গেছেন ৩৫৭ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা তামিম ইকবালকে।

শেয়ার করুনঃ
আপনার মন্তব্য
আরও পড়ুন
×