প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি নিয়ে লিটন দাস
‘প্রতিদিন শূন্য থেকেই শুরু করতে হয়’

উৎপলশুভ্রডটকম
২৮ নভেম্বর ২০২১
টেস্ট অভিষেকের প্রায় সোয়া ছয় বছর পর প্রথম সেঞ্চুরি। যেটি এর আগে বেশ কবার ধরা দিতে দিতেও হারিয়ে গেছে। চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে সেই সেঞ্চুরি, নিজের প্রস্তুতি ও টেস্টের অবস্থা নিয়ে সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন লিটন কুমার দাস। উৎপলশুভ্রডটকমের পাঠকদের জন্য তারই নির্বাচিত অংশ:
অবশেষে প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি 
লিটন কুমার দাস: কোনো ব্যাটসম্যান যদি হান্ড্রেড করে, এর চেয়ে বড় কিছু থাকে না। লাস্ট দুই-তিনটা গেমও আমি খুব কাছাকাছি গিয়েছিলাম, কিন্তু হয়নি। এটা পার্ট অব ক্রিকেট। এটাতে পেরেছি, সে জন্য খুব ভালো লাগছে। তবে যদি ইনিংসটা আরেকটু বড় করতে পারতাম, তাহলে দলের জন্য আরও ভালো হতো।
বিশ্বকাপের পর টি টোয়েন্টি দল থেকে বাদ পড়া নিয়ে
লিটন: হয়তো বা তারা চাইছিল, আমি টেস্ট ক্রিকেটে ভালো পারফর্ম করি, এজন্য তারা আমাকে রেস্ট দিয়েছিল।
বড় একটা লক্ষ্য পূরণের পর ভবিষ্যতে আরও ধারাবাহিক হতে পারবেন কি না
লিটন: এটা খুব ডিফিকাল্ট প্রশ্ন। সবাই চেষ্টা করে ধারাবাহিক পারফর্ম করতে। রেজাল্ট কতটুকু হবে জানি না,তবে আমি প্রসেস ফলো করব। যেভাবে শেষ ৬/৭ টা টেস্টে করে আসছি। আজকে ১০০ করেছি দেখে পরবর্তী দিন নামলেই আবার ১০০ হবে, তেমন না। প্রতিদিন শূন্য থেকেই শুরু করতে হয়। সবসময়ই কঠিন এটা।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর সমালোচনার মধ্যে যেভাবে প্রস্তুতি
লিটন: টেস্ট ক্রিকেটের জন্য যতটুকু দরকার ততটুকুই প্রস্তুতি নিয়েছি, বাড়তি কিছু নিজের কাছে চাইওনি।

মুশফিকের সঙ্গে পার্টনারশিপ নিয়ে
লিটন: ছোট ছোট অনেকগুলো পার্টানারশিপ আগেও মুশফিক ভাইয়ের সাথে হয়েছে। এবার বড় হয়েছে। নিজের কাছে ভালো লাগে, যখন আপনার পার্টনার আপনাকে এত সাপোর্ট করে, মোটিভেশন দেয়। আমরা দুজনেই কঠিন পরিস্থিতিতে ব্যাটিং করেছি, দুজনই ওভারকাম করেছি।
নতুন বল আসলে ভাই বারবার বলেছিল ক্রিজে থাকার জন্য, কারণ নতুন ব্যাটসম্যান এলে খেলা কঠিন হয়ে যেত।
স্টান্স ও বডি অ্যালাইনমেন্ট নিয়ে ব্যাটিং কোচ অ্যাশওয়েল প্রিন্সের কাজ না মানসিক প্রস্তুতি, রান পাওয়ায় কোনটার ভূমিকা বেশি
লিটন: দুইটা জিনিসই গুরুত্বপূর্ণ। যখন আমি বিকেএসপিতে ছিলাম, তখন ফাহিম স্যার (নাজমূল আবেদীন ফাহিম) ও মন্টু স্যারের (মন্টু দত্ত) সাথে আলোচনা করছিলাম আমার কোথায় সমস্যা হচ্ছে তা নিয়ে। ওখান থেকে আসার পর চট্টগ্রামে দুই সেশনে কাজ করেছি। এটা বলব না যে, স্টান্সে পরিবর্তন করাতেই সেঞ্চুরি পেয়েছি, এর পেছনে আমার হার্ড ওয়ার্ক ছিল প্রচুর।

ম্যাচের অবস্থা নিয়ে
লিটন: আপাতত পাকিস্তান ভালো পজিশনে আছে। কারণ তারা উইকেট হারায়নি। কিন্তু আজকের দিনে যদি দুই/তিনটা উইকেট নিতে পারতাম, তাহলে খেলাটা দুই দিকেই থাকত। কালকে প্রথম সেশনে আমরা দুই/তিনটা উইকেট নিতে পারলেই খেলা ওই জায়গায় চলে আসবে। তাই খেলা এখন পর্যন্ত উভয় পক্ষেই আছে।
বাংলাদেশের বোলিং লাইনআপ পুওর কি না
লিটন: না, এটা কিভাবে বলেন আপনি! এরা সবাই তো টেস্ট বোলার, রাহী-এবাদত-তাইজুল-মিরাজ আগে অনেক উইকেটও নিয়েছে।
রিভিউ না নেওয়ার সময় কী আলোচনা হয়েছিল (রিভিউ নিলে আবদুল্লাহ শফিক আউট হয়ে যেতেন)
লিটন: রিভিউ জিনিসটা পুরোপুরিই তাৎক্ষণিক। তখন মনে হয়েছে বলটা আগে ব্যাটে লেগেছে, তাই রিভিউ নিইনি। আগে প্যাডে লাগার কথা মনে হলে নিয়ে নিতাম।



 
										 
										 
										 
										 
										 
										

 
            




 
						 
						 
						 
						 
						