খুলে গেল স্বপ্নের দরজা

এক শহরে থেকেও ব্রায়ান লারার শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচটা আমি দেখতে পারিনি। শেষের ঘোষণাটা এমনই নাটকীয়ভাবে এসেছিল যে, আগে থেকে ঠিক করে রাখা ভ্রমণসূচি তখন আর বদলানোর উপায় নেই। এর আগে-পরে ব্রায়ান লারাকে নিয়ে কত স্মৃতি! উৎপল শুভ্র বলছেন লারাকে নিয়ে বিচিত্র সেসব অভিজ্ঞতার গল্প।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শচীন টেন্ডুকারের অভিষেক ১৯৮৯ সালের ১৫ নভেম্বর। কী বিস্ময়, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট শেষবারের মতো তাঁকে ব্যাটিং করতে দেখল ২৪ বছর পর আরেক ১৫ নভেম্বরেই। শুরুটা যেমন তাঁর হাতে ছিল না, শেষটাও তো নয়। কাকতালীয় মিলের তো এখানেই শেষ নয়। আরও অনেক আছে। যেসব দেখে একটা কথাই মনে হয়। শচীন টেন্ডুলকারের ক্রিকেট ক্যারিয়ারের অন্য নাম শচীন রূপকথা!

জীবনে আর কোনাে ইন্টারভিউয়ের জন্য এমন যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে যাওয়ার অভিজ্ঞতা হয়নি। আর কোনাে ইন্টারভিউ করার পর এমন আনন্দেও ভেসে যাইনি। ১৯৯৫-এর অক্টোবরে শারজায় চ্যাম্পিয়নস ট্রফি, যেটির সবচেয়ে বড় আকর্ষণ ব্রায়ান লারা। বেশিদিন হয়নি, টেস্টের পর ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেটেও সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়েছেন। লারার একটা ইন্টারভিউ তখন সব ক্রিকেট সাংবাদিকেরই তাই পরম চাওয়া। পরম চাওয়া বলেই তা পাওয়াটাও ছিল খুব কঠিন, যেটির জন্য ঘুরছি জেনে ভুক্তভােগী অনেক সাংবাদিকই এই পণ্ডশ্রম থেকে নিরুৎসাহিত করার চেষ্টা করেছে। তাতে কান না দিয়ে লেগে ছিলাম বলেই হয়েছিল ইন্টারভিউটা। ইন্টারভিউ না পেলে চাকরি চলে যাবে—এই মিথ্যা কথাটারও সামান্য ভূমিকা ছিল তাতে!

অস্ট্রেলিয়ার তো বটেই, সর্বকালের সেরা অধিনায়কের আলোচনাতেও তাঁর নামটা আসে। ক্রিকেট ইতিহাসে সবচেয়ে প্রভাববিস্তারী খেলোয়াড়দের একজন হিসাবেও। এই সাক্ষাৎকার ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সময়, ভারতের বেঙ্গালুরুতে। যা পাওয়ায় ভাগ্য বড় সহায় হয়েছিল। নইলে কলকাতা বিমানবন্দরে ঘটনাচক্রে দেখা হয়ে যাবে কেন? বেঙ্গালুরুতেও বা মিলে যাবে কেন দুজনের হোটেল!

কেউ বলছে জাহাজ, কেউবা ইয়ট। তবে ‘বোট’ কথাটাই বেশি চলছে। যুক্তরাষ্ট্রের মহিলা দলের খেলোয়াড় সু বার্ড সুন্দর একটা নাম দিয়েছেন ‘বো-টেল’! বোট আর হোটেলের সংকর আরকি! অলিম্পিকের বাকি সব অ্যাথলেট ভিলেজে থাকলেও যুক্তরাষ্ট্রের পুরুষ ও মহিলা বাস্কেটবল দল থাকছে বিলাসবহুল এই সিলভার ক্লাউড `বো-টেলে`।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের দ্বিতীয় দল, বাংলাদেশ জিতছে...ক্যারিবীয় দর্শকেরা তাই মুখ ফিরিয়েই ছিলেন ২০০৯ সিরিজ থেকে। সেন্ট ভিনসেন্টের পর গ্রেনাডা টেস্টেও শূন্য গ্যালারি দেখে তাই মনে প্রশ্ন জেগেছিল, এটাই সবচেয়ে কম দর্শকের টেস্ট সিরিজ কি না! তা নিয়ে খোঁজখবর করতে গিয়ে মজার এক অভিজ্ঞতাই হয়েছিল।