হোয়াটমোরের দেখা সেরা পাঁচ ব্যাটসম্যান

উৎপল শুভ্র

১৬ জুন ২০২১

হোয়াটমোরের দেখা সেরা পাঁচ ব্যাটসম্যান

ডেভ হোয়াটমোর। ছবি: এএফপি

ছুটকো-ছাটকা কথাবার্তা তো হিসাবের বাইরে, হোয়াটমোরের আনুষ্ঠানিক ইন্টারভিউও করেছি অসংখ্য। এটির মতো উপভোগ করিনি আর কোনোটা। কারণ যেখানে বেশির ভাগ সাক্ষাৎকারের বিষয় ছিল বাংলাদেশের ক্রিকেট, এখানে বিষয় হোয়াটমোরের দেখা সেরা পাঁচ ব্যাটসম্যান ও বোলার। ভাবার জন্য একটু সময় চেয়ে নিয়েছিলেন। ২০০৪ সালের ফেব্রুয়ারির এক বৃষ্টিমুখর দিনে বুলাওয়ের হোটেল রুমে মুখের সামনে টেপ রেকর্ডার ধরার পর আমার কাজ ছিল শুধু একটু প্রসঙ্গ ধরিয়ে দেওয়া। প্রথম পর্বে থাকছে হোয়াটমোরের সেরা পাঁচ ব্যাটসম্যান।

উৎপল শুভ্র: সেরা পাঁচ ব্যাটসম্যান-বোলার তো ঠিক করে ফেলেছেন বললেন। ব্যাটসম্যান দিয়েই শুরু করি। এত সব ব্যাটসম্যান দেখেছেন আপনি, এর মধ্যে সেরা পাঁচজনকে বেছে নেওয়ার কাজটা নিশ্চয়ই খুব কঠিন ছিল।

ডেভ হোয়াটমোর: কঠিন মানে, খুবই কঠিন। অনেক ভাবতে হয়েছে। আমাকে ভাবতে হয়েছে সেই ১৯৭৫ সাল থেকে। আমার তালিকার বেশির ভাগ খেলোয়াড়ই পরের দিকের। শুরুর দিকের শুধু একজনই—গ্রেগ চ্যাপেল। আমার কাছে গ্রেগ চ্যাপেল অন্য ব্যাপার। দৃষ্টিনন্দন, টেকনিক্যালি নিখুঁত, মানসিকভাবে শক্ত... অসাধারণ এক ব্যাটসম্যান। সব মিলিয়ে আমার তালিকার এক নম্বরেই তাঁর নাম।

শুভ্র: বাকি চারজন?

হোয়াটমোর: শচীন টেন্ডুলকার, ব্রায়ান লারা, অ্যাডাম গিলক্রিস্ট ও অরবিন্দ ডি সিলভা। 

শুভ্র: সিরিয়াল অনুযায়ীই তাহলে কথা হোক। প্রথম গ্রেগ চ্যাপেল। গ্রেগ চ্যাপেলের ব্যাটিং প্রথম দেখার স্মৃতিটা কি মনে আছে?

হোয়াটমোর: মাঠে থেকে দেখার কথা হলে আমি গ্রেগের বিপক্ষে একটি ম্যাচই খেলেছি। কুইন্সল্যান্ডের পক্ষে খেলছিলেন গ্রেগ, আমি ভিক্টোরিয়ার পক্ষে। গ্রেগ তখন ক্যারিয়ারের শেষ প্রান্তে, তারপরও উইকেটে যাওয়ার পথে তাঁর প্রতিটি পদক্ষেপ থেকে যেভাবে আত্মবিশ্বাস ঠিকরে পড়ছিল, ব্যাপারটাকে অবশ্যম্ভাবীর মতো মনে করিয়ে যেভাবে অনায়াসে সেঞ্চুরি করলেন, সব মিলিয়ে তা স্মরণীয় এক অভিজ্ঞতা।

গ্রেগ চ্যাপেল, হোয়াটমোরের চোখে `সম্পূর্ণ ব্যাটসম্যান`-এর সব পরিমাপকেই সেরা যিনি। ছবি: ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া

শুভ্র: গ্রেগ চ্যাপেলের ব্যাটিংয়ের সৌন্দর্যের কথা বললেন, বললেন নিখুঁত টেকনিক ও মানসিক শক্তির কথা তার রেকর্ডও খুব ভালো। আপনার দেখা সবচেয়ে কমপ্লিট ব্যাটসম্যানের নামও কি তাহলে গ্রেগ চ্যাপেলই?

হোয়াটমোর: আমি বলব, আমার সময়ে যদি কেউ এর (কমপ্লিট ব্যাটসম্যান) কাছাকাছি এসে থাকে, তিনি গ্রেগ চ্যাপেলই। আমার তালিকার বাকি চারজনই বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান। তবে আমার কাছে গ্রেগ চ্যাপেল বিশেষ কিছু। তাঁর আত্মবিশ্বাস, খারাপ সময় থেকে বেরিয়ে আসার ক্ষমতা, সেই বেরিয়ে আসাও অসহায় অপেক্ষার মাধ্যমে নয়, মনের গভীরে উনি যেন জানতেন রান পাবেনই। নিজের ওপর এই যে বিশ্বাস, এটা গ্রেগ চ্যাপেলকে আলাদা করে দিয়েছে। 
 


শুভ্র: এবার মিস্টার শচীন টেন্ডুলকার।

হোয়াটমোর: টেন্ডুলকারকে সেরা পাঁচে রাখতে আমার একটুও ভাবতে হয়নি। ও নিজেই নিজেকে নির্বাচিত করেছে। অসাধারণ ব্যাটসম্যান, ক্ষমতা আছে যেকোনো বোলিং আক্রমণকে ধ্বংস করে দেওয়ার। প্রতিবার ব্যাট করতে নামার সময় ওর ওপর প্রত্যাশার যে চাপ থাকে, এর কোনো তুলনা নেই। এত বছর ধরে সেই আকাশছোঁয়া প্রত্যাশার প্রতিদান দিয়ে এসেছে ও। টেন্ডুলকারকে নিয়ে কথা বললে এটিও যোগ করা উচিত।

শুভ্র: এটা টেন্ডুলকারের ব্যাটসম্যানশিপেও বাড়তি কিছু নম্বর যোগ করে। 

হোয়াটমোর: অবশ্যই করে। টেন্ডুলকার এমন একটা দলে খেলে, যে দল খুব বেশি জয় পায় না (সময়কালটা মনে রাখতে বলি, ফেব্রুয়ারি ২০০৪)। কিন্তু তাঁর নিজের পারফরম্যান্সে এর কোনো প্রভাব পড়েনি। এমনকি ও যখন অধিনায়ক ছিল, তখনো অনেক রান পেয়েছে। তবে টেন্ডুলকার রান পেয়েছে এবং দলও জিতেছে, এমন ঘটনা খুব বেশি ঘটেনি। তারপরও প্রতিবার খেলতে নামার সময় ওর কাঁধে বাড়তি যে চাপটা থাকে এবং যেভাবে ও তা সামলায়, এক কথায় তা অবিশ্বাস্য! 

প্রতিবার ব্যাট করতে নামার সময় সঙ্গী শতকোটি মানুষের চাপ, টেন্ডুলকার আলাদা হয়ে যাচ্ছেন এখানে। ছবি: গেটি ইমেজেস

শুভ্র: কিছুদিন ধরে একটা প্রশ্ন কিন্তু উঠছে। টেন্ডুলকার গ্রেট প্লেয়ার সন্দেহ নেই, কিন্তু কয়টা ম্যাচ জিতিয়েছেন? ম্যাচ উইনার হিসেবে ব্রায়ান লারা তো তাঁর চেয়ে অনেক এগিয়ে। 

হোয়াটমোর: হয়তো তা-ই। তবে আপনি যদি কোনো বিশ্ব একাদশ গড়েন, মনে হয় না সেটির কোনো অধিনায়ক এমন বলবেন যে, তার দল যথেষ্ট জয় পায় না বলে আমি শচীন টেন্ডুলকারকে দলে নেব না। আমার মনে হয়, তার দল যে যথেষ্ট জেতেনি, সে জন্য ও দায়ী নয়। দায়ী অন্যরা, যারা টেন্ডুলকারের কাছাকাছি অবদানও রাখতে পারেনি।

শুভ্র: এবার ব্রায়ান লারা। 

হোয়াটমোর: আরেক লিটল মাস্টার। তাঁকে অন্যদের থেকে একটু আলাদা করে রাখতে হয়, কারণ টেস্টের চতুর্থ ইনিংসে ব্যাট করে অনেকগুলো টেস্ট ম্যাচ জিতিয়েছে ও। যখন তাঁর দলের দৃষ্টিকোণ থেকে সবকিছু শেষ হয়ে গেছে বলে ভেবেছে সবাই, তখনই লারা অসাধারণ সব ইনিংস খেলে জিতিয়ে দিয়েছে। সেটিও টেস্টের পঞ্চম দিনে, যখন উইকেট টুটোফাটা, বলের মতিগতির কোনো ঠিক নেই। সে অবস্থায় অমন ম্যাচ উইনিং ইনিংস খেলাকে অসাধারণ বললেও কম বলা হয়। যেকোনো বোলিং অ্যাটাককে ধ্বংস করে দেওয়ার ক্ষমতা আছে ওরও। তবে লারার দুর্ভাগ্যই বলব, ও এমন এক ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে খেলছে, যেটি আগের মতো শক্তিশালী নয়। এই দলের হয়ে খেলার সময় ওর ওপর তাই প্রচণ্ড চাপ থাকে। কারণ প্রতিপক্ষ দলগুলোর মধ্যে একটা বিশ্বাস এসে গেছে যে, যদি লারাকে আউট করা যায়, তাহলেই ম্যাচ জেতা হয়ে গেল । কয়েক বছর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শ্রীলঙ্কা সফরের চেয়ে বড় প্রমাণ আর হতে পারে না। তিন টেস্টে পাঁচ শ'র ওপর রান করেছে লারা, ছিল একটি ডাবল সেঞ্চুরিও। তার পরও তিনটি টেস্টেই হেরেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এটাকে আমি দুর্ভাগ্যই বলব, এমন প্রতিভাবান খেলোয়াড় হয়েও লারা সেভাবে জয়ের স্বাদ পাচ্ছে না।

শুভ্র: শ্রীলঙ্কায় ওই সিরিজের কথা আমিই তুলতাম। আপনি তো তখন শ্রীলঙ্কার কোচ। এটাই কি কোনো একটা সিরিজে আপনার দেখা একজন ব্যাটসম্যানের সেরা ধারাবাহিক পারফরম্যান্স? 

হোয়াটমোর: হ্যাঁ, আসলে তা-ই। বিশেষ করে শ্রীলঙ্কার মাটিতে মুরালিধরনের বিপক্ষে যেভাবে ও স্পিনের বিপক্ষে শট খেলেছে, লেগ সাইডে ড্রাইভ করেছে, সুইপ করেছে... এক কথায় তা অবিশ্বাস্য। খুব বেশি ব্যাটসম্যানের তা করার ক্ষমতা নেই। সাপের মতো স্পিনিং বলে টার্নের বিপক্ষে যেভাবে ও শট খেলেছে, সেটির তুল্য কিছু আমি দেখিনি।

টেস্টের চতুর্থ ইনিংসে ব্যাট করে অনেকগুলো টেস্ট জেতায় আর সবার চেয়ে লারাকে আলাদা হিসেবে দেখেন হোয়াটমোর। ছবি: গেটি ইমেজেস

শুভ্র: মুরালিধরনের প্রতিক্রিয়া কী ছিল? এমন অভিজ্ঞতা তো তাঁর খুব বেশি হয়নি। 

হোয়াটমোর: অন্তত সেই সিরিজে মুরালিধরন লারার শ্রেষ্ঠত্ব মেনে নিয়েছিল। মেনে নিয়েছিল যে, এটা এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের অবিশ্বাস্য এক ব্যাটিং প্রদর্শনী।

শুভ্র: এবার আপনার সারপ্রাইজ চয়েজ অ্যাডাম গিলক্রিস্ট।

হোয়াটমোর: প্রথমেই বলে নেওয়া ভালো, আমার তালিকার ব্যাটসম্যান হিসেবে অ্যাডাম গিলক্রিস্ট প্রথম তিনজন বা শেষজনের মতো নিখুঁত নয়। তবে টেস্টই হোক, আর ওয়ানডেই হোক, শুধু কার্যকারিতার কারণেই ওর সঙ্গে আর কারও তুলনা চলে না। একজন উইকেটকিপার, যে যেকোনো সময় খেলার চেহারা পাল্টে দেওয়ার মতো ব্যাট করতে পারে—এমন একজনকে দলে পাওয়াটা তো বিরাট আশীর্বাদ। এমনকি টেস্ট ম্যাচেও। ওয়ান্ডারার্সে ও যে তাণ্ডবটা চালিয়েছিল, দক্ষিণ আফ্রিকান বোলাররা পাগল হয়ে গিয়েছিল। টেস্ট ম্যাচে সাত নম্বরে নেমে ডাবল সেঞ্চুরি, ভাবা যায়! ওয়ানডের কথা তো বলাই হয়নি। ওখানে তো ও যেকোনো দলের জন্য আতঙ্ক।

অ্যাডাম গিলক্রিস্টের কোনো তুলনা খুঁজে পাননি হোয়াটমোর। ছবি: গেটি ইমেজেস

শুভ্র: এই যে দিনের পর দিন গিলক্রিস্ট একইভাবে ব্যাটিং তাণ্ডব চালিয়ে যাচ্ছে, প্রতিপক্ষ দলগুলো তাঁকে থামানোর কোনো উপায় বের করতে পারছে না কেন? তাঁর মূল শক্তিটা কী?

হোয়াটমোর: আমি মনে করি, অ্যাডাম গিলক্রিস্টের যেভাবে খেলা উচিত, ও সেভাবেই খেলে। ও স্বভাবজাতভাবেই আক্রমণাত্মক খেলোয়াড় এবং এটা শুরু থেকেই প্রতিপক্ষকে প্রচণ্ড চাপে ফেলে দেয়। সে হয়তো আউট করার সুযোগ দেবে, কিন্তু তাকে আউট করতে না পারলে সে এত দ্রুত রান করতে পারে যে, টেস্ট ক্রিকেটেও তা ভীষণ বিপজ্জনক। আর ওয়ানডেতে তো মাত্র দুজন ফিল্ডার বাইরে থাকে, টপ অর্ডারে ব্যাট করে মাত্র ৫ ওভারের মধ্যে ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ করে দিতে পারে ও। পরের ব্যাটসম্যানদের জন্য কাজটা অনেক সহজও করে দেয়।

শুভ্র: তাহলে কোচ হিসেবে আপনি আপনার বোলারদের কী বলবেন? লাইন-লেংথ ঠিক রেখে বল করে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করো, আর কিছু নয়? 

হোয়াটমোর: না, অনেক ভেবে একটা উপায় বের করেছি। সবকিছুর পরও একটা জাদুকরী লেংথ আছে, সেখানে বল ফেলে যদি তা ভেতরে ঢোকানো যায়, আমি বলছি ডানহাতি ফাস্ট বোলারের কথা। তবে তাকে একেবারে নিখুঁত হতে হবে। কারণ ওই জাদুকরী লেংথ-লাইনের একটু এদিক-ওদিক হলেই বল চলে যাবে। সীমানার বাইরে। ওর বিপক্ষে বোলারের ভুল করার সুযোগ খুব কম।

শুভ্র: এবার আপনার তালিকার শেষ ব্যাটসম্যান, অরবিন্দ ডি সিলভা। 

হোয়াটমোর: অরবিন্দের এই তালিকায় থাকার কারণ হয়তো এটাই যে, ওকে আমি অন্যদের তুলনায় অনেক বেশি দেখেছি। অর্জুনা রানাতুঙ্গার কাছ থেকে কিছুটা সাহায্যের কথা বাদ দিলে বলতে গেলে ও একাই শ্রীলভার ভাগ্য বদলে দিয়েছে। অনেক বছর ধরে বিশ্ব ক্রিকেটের 'শিশু' হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসা একটি দলের হয়ে এই কাজটি করা মোটেই সহজ নয়। আমার চোখে, বিশেষ করে ওয়ানডে ক্রিকেটে অরবিন্দের আসল গ্রেটনেস হলো, একবার সেট হয়ে গেলে ও ম্যাচ শেষ করে এসেছে। ১৫-২০ রান বাকি, দলকে এমন অবস্থায় রেখে আউট হয়ে যায়নি। তার টেকনিক, রান করার ক্ষমতা এসব নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই । সব শটই ছিল ওর হাতে। বাকি চার জনের মতো অরবিন্দও একবার সেট হয়ে গেলে রান ঠেকানো ছিল এক রকম অসম্ভব। কারণ পুরো মাঠই তখন তার সামনে খুলে যেত, আর পুরো মাঠ আপনি কীভাবে আটকাবেন?

শ্রীলঙ্কার ড্রেসিরুমে বসে অরবিন্দ ডি সিলভাকে এমন সব ইনিংস খেলতে দেখেছেন যে, তাঁকে সেরা পাঁচে না রেখে পারেননি হোয়াটমোর। ছবি: গেটি ইমেজেসশুভ্র: আমার চোখে, ১৯৯৬ বিশ্বকাপই অরবিন্দ ডি সিলভার ক্যারিয়ারের টার্নিং পয়েন্ট । এর আগে উল্টোপাল্টা শট খেলে উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসার জন্য তাঁর নামই তো হয়ে গিয়েছিল 'ম্যাড ম্যাক্স'। আপনি তো পরিবর্তনটা খুব কাছ থেকে দেখেছেন।

হোয়াটমোর: ১৯৯৬ বিশ্বকাপের আগেও অরবিন্দ রান করেছে। যে পরিবর্তনের কথা বলছেন, তা হয়তো বয়সের সঙ্গে আসে। '৯৬ বিশ্বকাপ ফাইনালে ও যে সেঞ্চুরিটি করেছিল, সেটির কথা বললে প্রথমেই আমার মনে হয় শ্রীলঙ্কাকে জেতাবেই বলে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিল ও। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলা, শুধু এ কারণে নয় । ছোট্ট একটা দ্বীপদেশ শ্রীলঙ্কা তাদের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ম্যাচটি খেলছে। এটা এমন একটা সুযোগ, যা ও নষ্ট করতে চায়নি। হ্যাঁ, প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া বলে বাড়তি একটু প্রেরণা তো ছিলই। এর কিছুদিন আগেই অস্ট্রেলিয়ায় টেস্ট সিরিজে ৩-০-তে আমাদের হারিয়েছিল ওরা, এরপর ওয়ানডে টুর্নামেন্টের ফাইনালেও। এর দু মাস পরই আবার বিশ্বকাপ ফাইনালে দেখা। সব মিলিয়েই ওই ম্যাচের আগে অরবিন্দের মধ্যে বাড়তি একটা তাড়না ছিল। বিশ্বকাপের পর ওর কাছে প্রত্যাশাটা অনেক বেড়ে যায়, সে তার প্রতিদানও দিয়েছে ।

শুভ্র: এবার কঠিন একটা প্রশ্ন, ধরুন আপনার তালিকার পাঁচজনই সেরা ফর্মে ব্যাট করছে। টিকিট কেটে আপনি কার খেলা দেখতে যাবেন?

হোয়াটমোর: টেন্ডুলকার।

শুভ্র: কেন?

হোয়াটমোর: কারণ জানি, আমি সেখানে একা থাকব না, থাকবে আরও হাজার হাজার মানুষ। টেন্ডুলকার প্রতিবার ব্যাট করতে নামার সময়, তা বিশ্বের যেখানেই হোক, মাঠে যে আবহটা থাকে, সেটিও আমার কাছে অন্য রকম।

আরও পড়ুন:
যাওয়ার আগে ডেভ হোয়াটমোর
ডেভ হোয়াটমোরকে বিদায় অর্ঘ্য

 

সম্পর্কিত বিষয়:

শেয়ার করুনঃ
আপনার মন্তব্য
আরও পড়ুন
×