তামিমকে বোঝায় মানুষের ভুল আছে

তামিমকে বোঝায় মানুষের ভুল আছে

তামিম ইকবালকে দেখছেন আজ প্রায় ১৪ বছর ধরে। বলতে গেলে তামিমের তামিম হয়ে ওঠা তাঁর চোখের সামনেই। তামিমের ব্যাটিং, মানসিকতা, অধিনায়কত্ব নিয়ে কাটাছেঁড়া করতে চাইলে তাঁর চাইতে যোগ্য আর কে আছেন! তামিমের সঙ্গে মোহাম্মদ সালাউদ্দীনের সম্পর্কের রসায়নটাও জানা যাবে এই লেখা থেকে।

তামিমের সঙ্গে আমার পরিচয় ও জাতীয় দলে আসার পরে। সাকিবের সঙ্গে ওর খুব ভাব তখন, বেস্ট ফ্রেন্ডই বলা যায়। তো তামিম যখন জাতীয় দলে সুযোগ পায়, বাংলাদেশ দলে আমারও খুব বেশি দিন হয়নি। আমি বাদে কোচিং স্টাফদের সবাই বিদেশি, ইন্ট্রোভার্ট চরিত্রের মানুষ বলে তাঁদের সঙ্গে মিশতেও পারতাম না খুব একটা। আমি বরং বিকেএসপি থেকে আসা সাকিব-মুশফিক, কিংবা তামিমের সঙ্গে অনেক সহজে মিশতে পারতাম। দেখা যেত, বাইরে কোথাও খেতে যাচ্ছি, ওদের ডাক দিতাম, 'এই, যাবি নাকি?' কোচদের চাইতে ওদেরকে এই কথা বলাটা সহজ মনে হতো আমার।

এর আগে বয়সভিত্তিক দলে খেলার সময় হয়তো তামিমকে দেখেছিলাম, কিন্তু সেভাবে চোখে পড়েনি। তামিম জাতীয় দলে আসার আগে ওর সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতাও তাই ছিল না। তবে ২০০৭ বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটায় ওর ফিফটিটা দেখেই বুঝে গিয়েছিলাম, তামিম সাহসী ক্রিকেটার, সহজাত স্ট্রোক-মেকার। শট খেলতে পছন্দ করে। পেস বোলারদের বিপক্ষেও যে আক্রমণাত্মক হতে ভয় পায় না, বাকি সবার মতো আমিও তা বুঝে গিয়েছিলাম।

যদিও তখন শট খেললেও বোঝা যেত, তামিমের শটের রেঞ্জ ততটা বিস্তৃত নয়। শুরুর দিকে পায়ের বল কিংবা পেটের বল, তামিম ততটা সাচ্ছন্দ্যে খেলতে পারত না। তামিমের সঙ্গে আমাকে তাই অনেক কাজ করতে হয়েছে। বাকিদের চাইতে তামিমের সঙ্গে হাতে-কলমে কাজ করার অভিজ্ঞতাও হয়েছে বেশি। সে হিসেবে আমি বলতে পারি, তামিমের উন্নতিটা একদম আমার চোখের সামনে হয়েছে। সেই দেখার অভিজ্ঞতা থেকে এটাও বলতে পারি, কোনো ক্রিকেটার যদি খেলায় উন্নতি আনতে চায়, তাকে আমি বলব, চোখ বুঁজে তামিমকে অনুসরণ করো।`তামিমের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা অনেক হয়েছে, তবে বেশির ভাগই রুটিন কাজ। তামিম নিজেই বোঝে, ওকে কখন কী করতে হবে`

যেমন বললাম, শুরুতে পায়ের বল খেলতে সমস্যা হতো ওর। এই সমস্যা কাটিয়ে উঠতে এক মাস, দুই মাস, তিন মাস… ছয় মাস, প্র‍্যাকটিসে ওই বলগুলো নিয়েই পড়ে থাকত ও। ওর পরিশ্রমের ফলটাও আমরা দেখতে পেয়েছিলাম, একসময় কিন্তু পায়ের বলে খুব ভালো খেলতে শুরু করেছিল। এর কিছুদিন পর দেখা গেল, স্পিনার দিয়েই ওকে বেঁধে রাখা যাচ্ছে। স্পিনের বিপক্ষে ওর হাতে খুব বেশি শট নেই। হয়তো ডাউন দ্য উইকেটে গিয়ে মারতে পারত, ব্যাকফুটে কিছু শট ছিল, কিন্তু স্পিনারদের ডমিনেট করার মতো শট ওর হাতে ছিল না। 
তামিম তাই সুইপে উন্নতি করতে কাজ শুরু করল, স্লগ সুইপ শিখল। রেগুলার প্র‍্যাকটিস তো ছিলই, দলের প্র্যাকটিসের বাইরেও ঘণ্টার পর ঘণ্টা স্পিনারদের বিপক্ষে স্লগ সুইপ খেলত। এর রেজাল্টও কিন্তু আমরা দেখতে পেয়েছিলাম। ২০১০ সালে মিরপুরে ভারতের সঙ্গে ১৫১ রানের যে ইনিংসটা খেলেছিল ও, তাতে ৭০-৮০ রান তো বোধহয় স্লগ সুইপ থেকেই এসেছিল। আমার কাছে তাই মনে হয়, তামিম ওর স্কিলের উন্নতিটা একদম শট ধরে ধরে করেছে। তবে শটগুলো পুরোপুরি রপ্ত করার আগে মাঠে একবারের জন্যও তা খেলার চেষ্টা করেনি। তামিমের এই একটা একটা করে শট বাড়ানোর সিস্টেমটা যদি অন্য ক্রিকেটাররাও ফলো করে, তাহলে ওরাও অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারবে বলেই আমার বিশ্বাস।

আমি অনেক ছেলেকেই দেখেছি, যারা প্রতিদিন দুইটা কাট শট, দুইটা পুল শট, বিশটা সুইপ খেলে খেলে উন্নতি করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু তাদের এই পরিশ্রমটা কাজেই লাগেনি, উল্টো তারা ঝরে পড়েছে। কিন্তু তামিম একটা শট নিয়েই ঘণ্টার পর ঘণ্টা, মাসের পর মাস পড়ে ছিল বলে ওই উন্নতিটা টেকসই হয়েছে। এখন বলতে গেলে, ও প্রায় সব দিকে সব শটই খেলতে পারে।

তামিমের ব্যাটিং প্রিপারেশনটাও কিন্তু অনুসরণ করার মতো। ফর্ম বাজে হোক কিংবা ভালো, ওর প্র‍্যাকটিস সবসময় একটা নির্দিষ্ট প্রসেস মেনে চলে। আর শুধু তামিম কেন, সাকিব, মুশফিক, রিয়াদের ক্ষেত্রেও কথাটা সত্যি। সিরিজ-বাই-সিরিজ ধরে এগোয় ওরা, নিজেদের খেলাটা প্রত্যেকেই খুব ভালো বোঝে, আর কতটুকু অনুশীলনের দরকার, তা নিয়েও স্পষ্ট ধারণা আছে সবার। আর সামনা-সামনি দেখার অভিজ্ঞতায় বলতে পারি, প্রত্যেকেই নিজেদের ফিটনেস নিয়েও এখন যথেষ্ট সচেতন। ওদের যে বয়স হয়েছে, ব্যাপারটা ওরাও ধরতে পেরেছে। এজন্যে অনুশীলন বাড়িয়ে দিয়েছে, ফিটনেসে বাড়তি মনোযোগ দিয়েছে। ওদের ধারাবাহিক উন্নতির রহস্য জানতে চাইলে এই একটা কারণই আমি বলব। ওরা প্রত্যেকেই জানে, ওদের কখন কী করতে হবে, কোথায় কতটুকু কাজ করতে হবে।

তবে উন্নতির তো শেষ নেই। খেলা ছাড়ার আগ পর্যন্ত উন্নতির সুযোগ থাকে। এখনো যেমন তামিমের কিছু কিছু জায়গায় দুর্বলতা আছে। এখনো তো ওর স্ট্রাইক রোটেশন নিয়ে কথা ওঠে। আমি অবশ্য এসব কথাবার্তায় মোটেই কান দিই না। আপনি যদি খেয়াল করেন, আমরা কিন্তু তামিমকে একজন নিয়মিত ওপেনিং পার্টনারই দিতে পারিনি এখন পর্যন্ত। ইমরুল কায়েস কিছুদিন ছিল, জুনায়েদ সিদ্দিকীও কিছু ম্যাচে খেলেছিল, কিন্তু লম্বা সময় ধরে সার্ভিস দিয়েছে, তামিমের পাশে এমন কাউকেই পাইনি আমরা। অনেক সময়ই দেখা গেছে, তামিম শুরুতেই আউট হয়ে যাওয়ায় দল সমস্যায় পড়ে যাচ্ছে। আপনি যত সিনিয়র হতে থাকবেন, আপনার দায়িত্ব তত বাড়তে থাকবে। তখন শট খেলার আগে আপনাকে অনেক কিছু চিন্তা করতে হবে, 'আমার উইকেট পড়ে গেলে দল সমস্যায় পড়ে যাবে', এসব ভেবেও খেলতে হবে। আমার তাই মনে হয়, তামিম এখন যেই প্রসেসে ব্যাট করে, সেটা ও টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে আলোচনা করেই ঠিক করেছে।

আমার মনে হয়, তামিমকে বোঝায় মানুষের ভুল আছে। ও কিন্তু আগের চেয়ে অনেক বেশি ধারাবাহিক, তারপরও ওকে নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে। সাকিবের মতো কেউ হলে হয়তো বা এসব সমালোচনা গায়েই মাখত না, কিংবা সমালোচনা নিয়ে মাথা ঘামালেও তা টের পেতে দিত না।

ওর স্ট্রাইক রেট নিয়েও একটু বেশিই কথা হয়। কিন্তু আপনি যদি পরিসংখ্যানে চোখ বোলান, তাহলে দেখবেন, তামিমের সঙ্গে বাংলাদেশের অন্য ব্যাটসম্যানদের স্ট্রাইক রেটের তেমন পার্থক্য নেই। তার মানে তামিম জানে, ও উইকেটে থাকলে রান-বলের গ্যাপটা কমিয়ে ফেলতে পারবে। আর একটা জুনিয়র ব্যাটসম্যান এসে শট খেললে যে-ই বাহবা পাওয়া যায়, সিনিয়র ব্যাটসম্যানরা কিন্তু ওই বাহবা পায় না। বরং শট খেলতে গিয়ে আউট হয়ে গেলে উল্টো প্রশ্ন ওঠে, 'এতদিন ধরে ক্রিকেট খেলে এই শট খেলছে?' 

আমার তাই মনে হয়, তামিমকে বোঝায় মানুষের ভুল আছে। ও কিন্তু আগের চেয়ে অনেক বেশি ধারাবাহিক, তারপরও ওকে নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে। সাকিবের মতো কেউ হলে হয়তো বা এসব সমালোচনা গায়েই মাখত না, কিংবা সমালোচনা নিয়ে মাথা ঘামালেও তা টের পেতে দিত না। কিন্তু সমালোচনা সামলানোর ক্ষমতা তো একেকজন মানুষের ক্ষেত্রে একেকরকম। আর সাকিব যেহেতু অলরাউন্ডার, ব্যাটে কিছু করতে না পারলেও বল হাতে ওর সেটা পুষিয়ে দেয়ার সুযোগ থাকে। কিন্তু একজন ব্যাটসম্যান, যেকোনো ব্যাটসম্যানই হোক, এক ম্যাচ, দুই ম্যাচ কিংবা পাঁচ ম্যাচ রান না করলে প্রেশারে পড়ে যাবেই। অন্য কিছু করে পুষিয়ে দেওয়ার সুযোগ তো তাঁর নাই। এই যে সাকিবের কন্ট্রিবিউট করার জায়গা বেশি, এই কারণে আমার মনে হয়, অন্য যেকোনো প্লেয়ারের চেয়ে সাকিবের রিল্যাক্সড থাকার সুযোগও বেশি। তামিমের মানসিক দৃঢ়তা নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই আমার, কেননা তামিম কিন্তু অনেকবারই খারাপ ফর্ম থেকে বের হয়ে এসেছে। তবে একটু ইমোশনাল বলে বাজে ফর্মের সময়টায় মানুষের সমালোচনাগুলো ওর অপকারই করে বলে আমার ধারণা।

এখন তো তামিম ওয়ানডে দলের অধিনায়কও। আমার মনে হয়, ব্যাটিংয়ের চেয়ে তামিমের ক্যাপ্টেনসিতে আমার প্রভাব বেশি। ওর ক্যাপ্টেন্সির গুণগুলো আমার থেকেই এসেছে। ক্যারিয়ারের শুরুতে তো তেমন ক্যাপ্টেনসি করেনি ও, আর করলেও তখন একটু মাথা গরম তামিমকে দেখতে পেতাম আমরা। বিপিএলের একটা ঘটনা মনে পড়ছে। আমি কোচ, ও ক্যাপ্টেন। বাইরে থেকে আমি বলেছিলাম, 'মোহাম্মদ নবীরে বল দে।'

তামিম আমার কথামতোই কাজ করেছিল, আর ওই ওভারে নবী ১৮ বা ২০ রান দিয়ে ফেলল। তামিম তো রেগে-মেগে আগুন, মাঠের ভেতর থেকেই আমার সাথে চিল্লাচিল্লি শুরু করল, ড্রেসিংরুমে ঢুকেও ওর রাগ পড়েনি।

রাতের বেলা হোটেলে ফেরার পর আবার বসলাম ওর সঙ্গে, তখন তামিম বলে, 'স্যার, একটা কথা বলি?' আমি বললাম, 'বল্।' তামিম বলল, 'এই যে দেখেন, আপনি মনে হয় এখন পর্যন্ত ২০টা ডিসিশন দিছেন, এর মধ্যে ১৮টাই ঠিক হইছে, ২টা ভুল হইছে। কিন্তু আপনার ওই দুইটা ভুলের জন্য আপনাকে আমি কত কথা শুনাইলাম। অথচ আমি তো সবসময়ই ভুল করি, কিন্তু আপনি কখনোই কিছু বলেন না।' আমি হাসতে হাসতে ওকে জবাব দিয়েছিলাম, 'এইটাই তো আসলে কোচ আর প্লেয়ারের পার্থক্য।'

সেদিন থেকেই একটা বিষয় বুঝেছিলাম, তামিম অন্যদের চাইতে নিজের ভুলটা দ্রুত বুঝতে পারে। হয়তো তাৎক্ষণিকভাবে একটু উত্তেজিত হয়ে যায়, কিন্তু নিজের ভুল বুঝতে পারে তাড়াতাড়িই। তামিমের এই ব্যাপারটা জানা আছে বলে ওকে হ্যান্ডেল করাও সহজ হয় আমার জন্য। কোন কথাটায় তামিম রেগে যেতে পারে, কোন সময় আমার কথা বলা উচিত, কখন বলা উচিত না, তামিমের ক্ষেত্রে এই ব্যাপারটা আমি খুব ভালো বুঝি। এই যে এতদিনের সম্পর্ক, তারপরও অনেক সময়ই ওকে ঘুরিয়ে-পেঁচিয়ে কথা বলতে হয় আমার, যেন ও রেগে না যায়। আমি বুঝতে পারি, কীভাবে কথা বললে ও ঠিক থাকবে। ওর এই ঠিক থাকা-রেগে যাওয়ার ব্যাপারটা বুঝি বলেই আমার মনে হয়, ক্যারিয়ারের শুরুর দিকের তামিম, কিংবা সাকিবের কথাও যদি বলি, মানুষ অনেক ভুল বুঝত ওদের। দূর থেকে দেখেই ওদের অ্যারোগেন্ট, অহংকারী বলে রায় দিয়ে দেয় অনেকে। কিন্তু ওদের সঙ্গে কাছ থেকে না মিশলে ওদের চরিত্র সম্পর্কে একদমই ধারণা পাওয়া যাবে না।

`আমি তামিমের মন খুব ভালো বুঝতে পারি`

আর তামিম কিন্তু দারুণ টিমম্যান। অধিনায়কত্ব পাওয়ার আগে থেকেই দলের সবার খোঁজ-খবর রাখত। অধিনায়ক তামিমের সবচেয়ে বড় শক্তির জায়গাও তাই এটিকেই বলব আমি। ক্রিকেটে ক্যাপ্টেনসি শুধু মাঠেই নয়, মাঠের বাইরেও করতে হয়। কেবল মাঠ থেকেই একটা দল গড়ে ওঠে না, মাঠের বাইরের অনেক ব্যাপার-স্যাপারও এর সঙ্গে সম্পর্কিত থাকে। মাঠের অধিনায়কত্বের উন্নতি আসলে দীর্ঘদিন একটানা দায়িত্বে থাকলে অটোমেটিক্যালি হয়ে যায়, নিজেই বুঝে ফেলা যায়, কখন কী করতে হবে, কী না করতে হবে। কিন্তু মাঠের বাইরে অধিনায়ককে যা যা করতে হয়, সেই গুণগুলো আসলে গড গিফটেড। এক্ষেত্রে আমার মনে হয়, এসব গুণ তামিমের পুরোপুরি আছে। টিমকে কীভাবে চাঙা রাখতে হয়, কীভাবে টিম হিসেবে গড়ে ওঠা যায়, এসব দায়িত্ব তামিম খুব ভালো সামলাতে জানে।

তামিমের খেলা সেরা ইনিংসের কথা বললে আমি আসলে একটা ইনিংসকে আলাদা করে বেছে নিতে পারব না। ইংল্যান্ডে ২০১০ সফরে টানা দুই টেস্টে করা দুই সেঞ্চুরি, কিংবা ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে সেঞ্চুরি, বা বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচেই ভারতের বিপক্ষে ওই ফিফটি, সবগুলো ইনিংসই আমার খুব প্রিয়। এখন হয়তো বা আগের চাইতে ধারাবাহিক হয়েছে, টিমের স্বার্থেই হয়তো আগের চেয়ে শট খেলা কমিয়ে দিয়েছে, ইনিংসের শেষদিকে গিয়ে রান-বলের পার্থক্য কমানোর চেষ্টা করছে, তবে ওই তামিমের মধ্যে যে আগ্রাসী মনোভাব দেখতে পেতাম, কিংবা বোলারদের ওপর আধিপত্য করার চেষ্টা, এগুলোই আসলে ইনিংসগুলোর কোয়ালিটি বাড়িয়ে দিচ্ছে আমার কাছে।

তামিম কী বলবে জানি না, আমার কিন্তু ওই তামিমই বেশি পছন্দের ছিল।

সম্পর্কিত বিষয়:

শেয়ার করুনঃ
আপনার মন্তব্য
আরও পড়ুন
×