‘এই প্রত্যাশা জিনিসটা সব সময়ই আমাকে ভয় পাইয়ে দেয়’

উৎপল শুভ্র

৮ এপ্রিল ২০২১

‘এই প্রত্যাশা জিনিসটা সব সময়ই আমাকে ভয় পাইয়ে দেয়’

শোয়েব আখতার। ছবি: গেটি ইমেজেস

মাত্রই ইডেন গার্ডেনে পর পর দুই বলে রাহুল দ্রাবিড় ও শচীন টেন্ডুলকারকে বােল্ড করে এসেছেন। মহাতারকা হওয়ার পথে সেই যাত্রা শুরু। শােয়েব আখতারের কথাবার্তা বা আচরণে তখনাে তারকাসুলভ অহমিকা ফুটে উঠতে শুরু করেনি। বরং তখন বিনয়-টিনয়ও দেখাতে জানতেন! জানতেন সৌজন্যও, যে কারণে ঢাকায় এশিয়ান টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের দুদিন আগে সতীর্থের রুমে আড্ডায় বিরতি দিয়েও সময় দিলেন সাক্ষাৎকারের। রুমে তিন-চারজন সতীর্থের উপস্থিতিতে আড্ডার মেজাজে কথা হয়েছিল বলেই হয়তাে তা ছিল একেবারেই অকৃত্রিম। বুকের গভীর থেকে উঠে আসা।

প্রথম প্রকাশ: ১১ মার্চ ১৯৯৯। প্রথম আলো।

উৎপল শুভ্র: এ কথা শুনতে শুনতে হয়তাে ক্লান্তি এসে গেছে আপনার। তার পরও প্রথম প্রশ্ন এটাই। সবাই এখন বলছে, বিশ্বের দ্রুততম বােলার আপনি, কেমন লাগে এতে?

শােয়েব আখতার: অবশ্যই ভালাে লাগে। তবে সব সময় নয়, যদি আমি পাকিস্তানের পক্ষে উইকেট নিতে না পারি, তাহলে জোরে বল করে লাভ? যখন আমি ওই গতিকে উইকেট নেওয়ায় ব্যবহার করতে পারি, তখনই আমার সবচেয়ে ভালাে লাগে। আমি আমার বলের গতিকে ব্যবহার করে নিয়মিত পারফর্ম করতে চাই। পারফর্ম করতে চাই দুই ডব্লিউর মতাে।

শুভ্র: পেস বােলারদের তাে জোরে বল করার একটা নেশা থাকেই, যখন আপনি খেলা শুরু করেন, তখন কি একদিন বিশ্বের দ্রুততম হবেন, এমন স্বপ্ন দেখতেন?

শােয়েব: হ্যাঁ, এরকম একটা স্বপ্ন তাে ছিলই। অবশ্যই এমন স্বপ্ন দেখতাম আমি, এখনাে দেখছি। কদিন আগে আমি স্টার স্পাের্টসে ইন্টারভিউয়ে যে কথাটা বলেছি, সেটাই আবার বলি, ওয়াকার আমার প্রিয় বােলার। তাঁকে দেখার পরই আমি ক্রিকেট খেলতে শুরু করেছি। তাঁর কাছ থেকেই অনুপ্রেরণাটা পেয়েছি আমি। আসলে দুই ডব্লিউর হাতেই তাে ফাস্ট বােলিংয়ে নতুন ধারার সূচনা হয়েছে। আমি বলব, ফাস্ট বােলিংই বদলে দিয়েছেন তাঁরা। আমি তাঁদের অসম্ভব পছন্দ করি। তাঁদের সঙ্গে একদিন খেলব, দিন-রাত এই স্বপ্ন দেখেছি আমি। সেই স্বপ্ন সফল হয়েছে, এখন যত বেশিদিন সম্ভব খেলে যেতে চাই তাঁদের সঙ্গে।

শুভ্র: কিন্তু এটা কি একটু ট্র্যাজেডির মতাে হয়ে গেল না যে, আপনার এত প্রিয় ওয়াকার আপনার কারণেই এখন দলের বাইরে?

শােয়েব: না, সে মােটেই দলের বাইরে নয়। বিশ্বকাপের দলেও তাে আছে। কিছু ফিটনেস সমস্যা আছে তাঁর। ওয়াকার তা দ্রুতই কাটিয়ে উঠছে এবং কাটিয়ে খুব তাড়াতাড়িই ফিরবে।

শুভ্র: দুই ডব্লিউকে নিয়ে আপনি এমন উচ্ছ্বসিত, তা তাঁদের কোন জিনিসটি আপনার সবচেয়ে বেশি পছন্দ? দুজন তাে দু রকম বােলার, তাঁদের বােলিংয়ের কোন দিকটি যােগ করতে চান নিজের বােলিংয়ে?

শােয়েব: রিভার্স সুইং। আমি তাঁদের কাছ থেকেই শিখেছি এটা। তাঁরা আমাকে সব সময়ই সাহায্য করেছে, পুরােনাে বলে কীভাবে বল করতে হবে, দিয়েছে সেই পরামর্শ। তাঁদের কাছ থেকে আমি যা শিখেছি, তার মধ্যে রিভার্স সুইংটাই প্রধান।তাঁর ক্যারিয়ারে দুই ডব্লিউর অনেক প্রভাব। ছবি: গেটি ইমেজেস

শুভ্র: নতুন বলের শােয়েব আখতারের চেয়ে পুরােনাে বলের শােয়েব আখতার কি বেশি ভালাে?

শােয়েব: নতুন-পুরােনাে দু রকম বলেই আমি নিজেকে ভালাে বােলার মনে করি। কলকাতাতেই আমি নতুন বলে একটা স্মরণীয় উইকেট পেয়েছি, ওটা ছিল লক্ষ্মণের। তবে পুুুুুরোনো বলে আপনি ব্যাক-সুইং পাবেন না, শুধু আমি না, কোনাে ফাস্ট বােলারই তা পায় না। নতুন বলে যা যা করা যায়, তা অনেক বোলারই করতে পারে। তবে পুরােনাে বলে ব্যাক-সুইং করাতে আর কেউ পারে না। এটা আমাদের স্পেশালিটি।

শুভ্র: কিন্তু রহস্যটা কী? মনে হচ্ছে, পাকিস্তানের প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে বয়ে চলেছে রিভার্স সুইংয়ের এই আর্ট, অন্য কেউ এটা পারছে না!

শােয়েব: (হাসি) আমাদের এ নিয়ে কোনাে অভিযােগ নেই। সিরিয়াসলি বলি, এর পেছনে আমাদের অনেক পরিশ্রম আছে। কীভাবে এটি করা হয়, সেটি অবশ্যই বলছি না আমি। এটুকু বলি, এটা আসলেই একটা আর্ট। লােকজন বল টেম্পারিংয়ের কথা বলে। আমি শুধু বলতে চাই, বল টেম্পারিং করতে পারে, কিন্তু সবাই রিভার্স সুইং করাতে পারে না। পাকিস্তানের বাইরে শুধু একজন বােলারকেই জানি যে রিভার্স সুইং করাতে পারে—ইংল্যান্ডের ড্যারেন গফ। আরও কত ফাস্ট বােলারই আছে, আর কেউই পারে না। এক কথায় এটা একটা আর্ট, যা শুধু আমরাই আত্মস্থ করতে পেরেছি।

শুভ্র: তাহলে কি পাকিস্তানিরা এটি খুব গােপন মন্ত্রের মতাে আগলে রাখছে, যাতে বাইরের কেউ তা শিখে ফেলতে না পারে?

শােয়েব: আসলে তা-ই। আমিই যেমন এখনাে শিখছি। যখন আমি সে রকম পর্যায়ে যাব, কাউকে হয়তাে শিখিয়ে দেব।

শুভ্র: আর একটা রহস্যেরও উত্তর পেতে ইচ্ছে করে। একসময় ওয়াকার ছিলেন বিশ্বের দ্রুততম, এরপর এলেন মােহাম্মদ জাহিদ, এখন আবার আপনি, কদিন পর হয়তাে শুনব আরেকজনের কথা। একের পর এক এই যে পেস টর্নেডাে বেরিয়ে আসছে পাকিস্তান থেকে, এর রহস্যটা কী?

শােয়েব: মূল রহস্য হলাে, টেনিস বল ক্রিকেট । আপনি যাদের কথা বললেন, সেই দ্রুততম বােলারদের সবাই উঠে এসেছে টেনিস বল ক্রিকেট খেলে। টেপ জড়ানাে টেনিস বলে যত জোরে সম্ভব বল করার চেষ্টা করে সবাই। এরপর আসল ক্রিকেটে, মানে শক্ত বলের ক্রিকেটেও তা-ই করে । ও-রকম পেস হয়তাে পায় না, তার পরও তা যথেষ্টই দ্রুত। (রুমে শহীদ নাজির ও শহীদ আফ্রিদিকে দেখিয়ে) ও... ও... আমরা সবাই টেনিস বল ক্রিকেট খেলেই উঠে এসেছি। জাহিদও তা- ই। আমার মনে পড়ছে, রমিজ রাজা এ নিয়ে একটা আর্টিকেল লিখেছিলেন। তাতেও এ কথাই বলেছিলেন তিনি। আমি ওয়াসিম-ওয়াকার সম্পর্কে বলছি না, তবে আমাদের নতুন প্রজন্ম তাে টেনিস বল ক্রিকেটেরই ফসল ।

ম্যাচের প্রথম দিন মনে হচ্ছিল-এটা বােধ হয় স্বপ্ন। আমি একবার ওয়াসিমকে দেখছিলাম, একবার ওয়াকারকে। বিশ্বাস হচ্ছিল না যে, তাঁরা আমার সঙ্গে খেলছে, আমি তাঁদের সঙ্গে বােলিং করছি। কী যে ভালাে লাগছিল! ইট ওয়াজ আ গ্রেট টাইম ফর মি! এটাকেই বলে স্বপ্ন সত্যি হওয়ার মুহূর্ত।

শুভ্র: আপনি তাে রাওয়ালপিন্ডি থেকে উঠে এসেছেন, যেটি লাহাের ও করাচির মতাে 'ক্রিকেট সিটি' নয়। কীভাবে শুরু হয়েছিল আপনার?

শােয়েব: আমার শুরুটা কলেজে...

শুভ্র: কী বললেন, কলেজে! স্কুলে নয়?

শােয়েব: না, স্কুলে পড়ার সময় আমি ক্রিকেট একদম পছন্দ করতাম না। কলেজেও যে খুব করতাম, তা নয়। তার পরও একদিন যখন খেলছিলাম, কে যেন আমাকে বলে, তুমি ক্রিকেটই খেলাে। এরপরও আমি খুব একটা উৎসাহী হইনি। মনে হতাে, ক্রিকেট খেলায় শরীরের ওপর বড় ধকল যায়। টার্নিং পয়েন্ট বলতে পারেন একটা অনূর্ধ্ব-১৯ ম্যাচকে। ওই ম্যাচে আমি ১০ উইকেট পাই। তখনাে কিছু মনে হয়নি, কিন্তু পরদিন পত্রিকায় আমার নাম দেখে আমি খুব রােমাঞ্চিত হয়ে পড়ি, বিশ্বাসই হচ্ছিল না। সেই থেকে বাঁধা পড়ে গেলাম ক্রিকেটের সঙ্গে। আমি অবশ্য এতে খুব খুশিই।

শুভ্র: এরপর উত্তরণের ধাপগুলাে কী?

শােয়েব: এরপর আমি পিআইএতে যােগ দিলাম, ওদের পক্ষে খেললাম '৯৬-'৯৭ মৌসুমে। এরপর ডিপার্টমেন্টে যােগ দিয়ে খেলি এডিপিবির পক্ষে। সে মৌসুমে আমি ৭৫টি উইকেট পাই। নির্বাচকদের সুদৃষ্টিও প্রথম পড়ে এর পরই। পাকিস্তান এ' দলের হয়ে ইংল্যান্ডে যাই আমি। এরপর প্রথম টেস্ট খেলার সুযােগ পাই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আমার হােমগ্রাউন্ড রাওয়ালপিন্ডিতে।

শুভ্র: অভিষেক টেস্টে আপনার দুই ‘হিরাে', মানে দুই ডব্লিউ তাে ছিল!

শােয়েব: হ্যাঁ, দুইজনই ছিলেন।

শুভ্র: ওদের কথা যেভাবে বললেন আপনি, তাতে ওদের সঙ্গে মাঠে নামার অনুভূতিটা তাে দারুণ হওয়ার কথা।

শোয়েব: ম্যাচের প্রথম দিন মনে হচ্ছিল-এটা বােধ হয় স্বপ্ন। আমি একবার ওয়াসিমকে দেখছিলাম, একবার ওয়াকারকে। বিশ্বাস হচ্ছিল না যে, তাঁরা আমার সঙ্গে খেলছে, আমি তাঁদের সঙ্গে বােলিং করছি। কী যে ভালাে লাগছিল! ইট ওয়াজ আ গ্রেট টাইম ফর মি! এটাকেই বলে স্বপ্ন সত্যি হওয়ার মুহূর্ত।

শুভ্র: টেস্ট শুরু হওয়ার আগে ওরা কি আপনাকে বিশেষ কিছু বলেছিল?

শােয়েব: ওয়াকার বলেছিল, গুড লাক ফর দ্য ম্যাচ। ডু ওয়েল। ওয়াসিম ভাইও দিয়েছিল ।

শুভ্র: টেস্ট ক্রিকেটে প্রথম বলটি করার জন্য যখন রানআপের মাথায় দাঁড়ালেন কী মনে হচ্ছিল?

শােয়েব: আমার হাত কাঁপছিল! কী যে ঘাবড়ে গিয়েছিলাম, ওই সময়টা কখনাে ভুলব না।

শুভ্র: প্রথম বলটি কী ছিল?

শােয়েব: প্রথম বলটা.... ঠিক মনে নেই। সম্ভবত স্ট্রেট একটি বলই।

শুভ্র: কলকাতায় বিখ্যাত ওই পারফরম্যান্সের আগে আপনার সেরা পারফরম্যান্স দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ডারবানে। প্রথম ইনিংসে ৪৩ রানে ৫ উইকেট নেওয়ার সময় থেকেই আপনাকে বিশ্বের দ্রুততম বলতে শুরু করল লােকে।

শােয়েব: আসলে ওই ডারবানের আগেই জোহানেসবার্গে আমি খুব জোরে বল করেছিলাম। সেই টেস্টে আমার একটা বল ছিল ১৫৭ কিলােমিটার গতির। এ রকম একটি বল করেছি, করার সময় তা বুঝতেই পারিনি। দিনের খেলাশেষে কেউ একজন আমাকে এটি জানানাের পরও আমার বিশ্বাস হয়নি। তবে পরের টেস্টটা আমি অনেক বেশি আত্মবিশ্বাস নিয়ে শুরু করি। সেটিতে ভালাে পারফর্ম করতে চেয়েছি, করেছিও।

শুভ্র: ডারবান আর কলকাতা—কোন টেস্টটা বেশি স্মরণীয়?

শােয়েব: ডারবানই বেশি স্মরণীয়।

শুভ্র: কলকাতায় পর পর যে দুটি ইয়র্কারে উপড়ে দিলেন রাহুল দ্রাবিড় ও শচীন টেন্ডুলকারের উইকেট, দুটিই ড্রিম বল। কিন্তু আপনার দৃষ্টিতে সেরা কোনটি?

শােয়েব: আমার সেরা বলের কথা যদি জানতে চান, তা হলে আমি এই দুটির চেয়েও এগিয়ে রাখব ডারবানে যে বলটিতে মার্ক বাউচারকে বােল্ড করেছিলাম সেটিকে। ওটিই সেরা।

শুভ্র: আপনার দীর্ঘ রানআপ ও বােলিং অ্যাকশন তাে শরীরে প্রচণ্ড চাপ ফেলে। ইনজুরিতেও পড়েছেন এ কারণে। এটা নিয়ে কি কোনাে চিন্তাভাবনা আছে?

শােয়েব: হ্যাঁ, আমি হয়তাে রানআপটা কমিয়ে দেব। সমস্যা হলাে, সামনে বিশ্বকাপ, এখন তাে আর কিছু বদলানাে যাবে না। এখনাে জানি না ঠিক কী করব! তবে বিশ্বকাপের পর একটা কিছু করতে হবে।

শুভ্র: নিজে থেকেই তা করতে যাচ্ছেন, নাকি কেউ করতে বলেছে?

শােয়েব: ইমরান বলেছেন। ওয়াসিম ও ওয়াকার তো বলেই আসছে, 'তুমি রানআপ একটু কমিয়ে ফেলাে, তােমার বলে গতিও আরও বাড়বে, ফিট রাখতে পারবে নিজেকে, খেলতেও পারবে আরও অনেক দিন।'

শুভ্র: তীব্র গতি ছাড়া আপনার বােলিংয়ের সবচেয়ে বড় অস্ত্র বলবেন কোনটিকে?

শােয়েব: যদি আপনি আমার শরীরের দিকে তাকান, তাহলে দেখবেন এটি ফাস্ট বােলারের জন্য খুব আদর্শ নয়। আমার হাতের আঙুল ছােট, পা খুব বেশি ফ্ল্যাট, এসব কারণে সব ধকল যায় আমার হাঁটুর ওপর দিয়ে। আমার শরীরেও প্রচণ্ড চাপ পড়ে। তবে তারপরও কোনাে অভিযােগ নেই। সৃষ্টিকর্তা তাে কিছু দিয়েছেনও। সুযােগ দিয়েছেন, কিছুটা প্রতিভাও।

শুভ্র: কলকাতায় ওই দুটি বলের পর থেকেই আপনি পরিণত হয়েছেন সেনসেশনে। এখন লােকজন আপনাকেও ওয়াসিম-ওয়াকারের মতাে ম্যাচ উইনার ভাবছে । আপনার কাছে প্রত্যাশাও যে অনেক বেড়ে গেছে, এটা কি টের পান?

শােয়েব : এই একটি জিনিস-প্রত্যাশা, আমাকে সব সময়ই ভীত করে তােলে। সত্যি ভীত করে তােলে। আমি শুধু বলতে পারি, আমি আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। একাই ম্যাচ জিতিয়ে দেব, এটা করব, ওটা করব—এসব বলতে চাই না। আমি শুধু নিজের সেরাটা উজাড় করে দিতে চাই। আমার মায়ের দোয়া আছে আমার সঙ্গে, পাকিস্তানের মানুষও প্রার্থনা করে আমার জন্য।সেই আইকনিক অ্যাকশন! ছবি: গেটি ইমেজেস

শুভ্র: নির্দিষ্ট কোনাে টার্গেট আছে... এত বছর খেলতে চাই, এতগুলাে উইকেট নিতে চাই-এমন কিছু?

শােয়েব: কলকাতায় ওই পারফরম্যান্স, পর পর দুই বলে উইকেট নেওয়ার পর থেকে মানুষ সব সময়ই ও-রকম কিছু আশা করছে আমার কাছ থেকে। আশা করছে, প্রতিটি বলেই আমি অমন কিছু করব, ওভাবে আউট করব ব্যাটসম্যানদের। আমি তা করবও, আমি বিশ্বের সেরা ব্যাটসম্যানদের বারবার ওভাবে আউট করব। নির্দিষ্ট কোনাে টার্গেট-ফার্গেট না বলে আমি শুধু বলতে চাই, আমি আমার সর্বস্ব বাজি ধরেই চেষ্টা করব।

শুভ্র: যাদের বিপক্ষে বােলিং করেছেন, সেরা কে?

শােয়েব: সেরা... সেরা... কে আমাকে ভয় পাইয়ে দিয়েছিল.. ঠিক ভয় না, আমার কাজটা কঠিন করে দিয়েছিল ড্যারিল কালিনান। টেকনিক্যালি খুব ভালাে। দ্রাবিড়ও ভালাে। (উচ্চ স্বরে হাসি) শচীনের বিপক্ষে তাে বলই করতে পারলাম না!

শুভ্র: কোন একটা ম্যাগাজিনে দেখলাম, রিকি পন্টিংয়ের নামও করেছেন!

শােয়েব: হ্যাঁ হ্যাঁ, রিকি পন্টিংও খুব ভালাে। খুব কঠিন ব্যাটসম্যান।

 

আরও পড়ুন: ওয়াসিম আকরামের একান্ত সাক্ষাৎকার

                      ওয়াকার ইউনিসের একান্ত সাক্ষাৎকার

শেয়ার করুনঃ
আপনার মন্তব্য
আরও পড়ুন
×