`ক্রিকেটকে বেঁচে থাকতে হলে নতুন নতুন চিন্তা করতেই হবে`

কোচ বব উলমারের একান্ত সাক্ষাৎকার

উৎপল শুভ্র

১৪ মে ২০২১

`ক্রিকেটকে বেঁচে থাকতে হলে নতুন নতুন চিন্তা করতেই হবে`

বব উলমার

লিডসের হেডিংলি মাঠে যখন পৌঁছালাম, দক্ষিণ আফ্রিকা দলের প্র্যাকটিস প্রায় শেষ। পরদিন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সুপার সিক্সে দক্ষিণ আফ্রিকার শেষ ম্যাচ, যেটিতে হারলেও সেমিফাইনাল আটকাচ্ছে না। প্রায় পুরো দল ড্রেসিংরুমে ঢুকে যাওয়ার পরও বব উলমার যে বলা মাত্রই রাজি হয়ে মাঠে দাঁড়িয়ে দীর্ঘ ইন্টারভিউ দিলেন, সেটিকে আমার অনুরোধ করার ভঙ্গিরই অবদান ভেবেছিলাম। পরে বুঝেছি, আসল কারণ অন্য। এক. ক্রিকেটে উদীয়মান এক দেশের সাংবাদিককে হতাশ না করা। দুই এবং আসল কারণ—ক্রিকেট নিয়ে কথা বলার মতো আনন্দ আর কিছুতেই পেতেন না উলমার। তখন কল্পনাও করিনি, আট বছর পর আরেকটি বিশ্বকাপ থেকে বব উলমারের রহস্যজনক মৃত্যুসংবাদ লিখে পাঠাতে হবে।

প্রথম প্রকাশ: ১৭ জুন ১৯৯৯। প্রথম আলো।

উৎপল শুভ্র: ক্রিকেট কোচিংকে নতুন এক যুগে নিয়ে যাওয়ার কৃতিত্ব দেওয়া হয় আপনাকে। এক অর্থে ক্রিকেটের প্রথম তারকা কোচও আপনি। কেমন লাগে এসব কমপ্লিমেন্ট?

বব উলমার: এসব শুনতে কার না ভালো লাগে! আমি ক্রিকেট খেলাটিকে খুব ভালোবাসি, ভালোবাসি নতুন নতুন মানুষের সঙ্গে পরিচিত হতে। নতুন নতুন আইডিয়া নিয়ে কাজ করতেও পছন্দ আমার। আমার সৌভাগ্যই বলতে হবে, যে দুটি দলকে আমি কোচিং করিয়েছি, দুটি দলই বিশেষ করে দুই অধিনায়ক আমার সঙ্গে অংশ নিয়েছে এতে। আমি যা কিছুই করি, তার মূলে কারণ একটাই-- আমি খেলাটিকে ভালোবাসি, এর সঙ্গে জড়িয়ে থাকতে চাই। নতুন চিন্তার কথা যদি বলেন, ফুটবলের মতো অন্য খেলাগুলো জনপ্রিয়তায় যেখানে পৌঁছেছে, যেভাবে জনপ্রিয়তা বাড়ছে আরও, তাতে ক্রিকেটকে বেঁচে থাকতে হলে নতুন নতুন চিন্তা করতেই হবে।

শুভ্র: দক্ষিণ আফ্রিকার কোচ হিসেবেই তো আপনার কোচিং ক্যারিয়ারের সেরা সময়টা কাটল। সময়টাকে কীভাবে মনে রাখবেন?

উলমার: আমি প্রতিদিন সকালে ঘুম ভাঙার পর এই দলটাকে নিয়ে মাঠে নেমে পড়তে উদগ্রীব হয়ে থাকি। আমি আগেই বলেছি, ক্রিকেটই আমার প্রথম আনন্দ । এই দক্ষিণ আফ্রিকা দলটির সঙ্গে কাজ করে সেই আনন্দ আরও পেয়েছি। আমি যেসব দলের সঙ্গে কাজ করেছি, এই দলটি তাদের মধ্যে নিঃসন্দেহে সেরা।

হানসি ক্রনিয়ের (ডানে) সঙ্গে মিলে দক্ষিণ আফ্রিকাকে বানিয়েছিলেন বিশ্বের অন্যতম সেরা দল। ছবি: গেটি ইমেজেস

শুভ্র: দক্ষিণ আফ্রিকার এই দলটিকে অনেকে তো এখন বর্তমান বিশ্বের সেরা দলের স্বীকৃতিও দিচ্ছে। আপনাকে যদি এই দলের একটা বিশেষত্ব বেছে নিতে বলি।

উলমার: খেলোয়াড়দের অলরাউন্ড সামর্থ্য। জ্যাক ক্যালিস, শন পোলক, ল্যান্স ক্লুজনার, হানসি ক্রনিয়ে, মার্ক বাউচার, জন্টি রোডস-- কয়েকজনের নাম বললাম যাদের প্রত্যেকের তূণে কমপক্ষে দুটি তীর আছে, কারও কারও তিনটিও। এছাড়া আছে ড্যারিল কালিনান, অ্যালান ডোনাল্ড, গ্যারি কারস্টেনের মতো খেলোয়াড়। হার্শেল গিবসও বিকশিত হতে শুরু করেছে। দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটের ভবিষ্যৎকে তাই উজ্জ্বলই বলতে হবে। এগুলোই এই দলের মূল শক্তি। তবে এটাও বলা উচিত, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সব দলেরই এমন কোনো না কোনো শক্তি আছে।

শুভ্র: খেলোয়াড়ি জীবনে নিশ্চয়ই কোনো একটা সময়ে আপনার মনে হয়েছিল যে, কোচিংই আপনার ভবিষ্যৎ। কখন সেটা?

উলমার: আমি যখন ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেট খেলা শুরু করি, ১৯৬৮ সালে যোগ দিই কেন্টে, তখন কেন্টের দ্বিতীয় একাদশের কোচ কলিন পেজ আমাকে বলেছিলেন, তুমি তোমার খেলার সঙ্গে আর একটা দিক যোগ করার জন্য কোচিং শুরু করতে পারো। গ্রীষ্মে খেলার পর শীতে কোচিংয়ের মাধ্যমে তুমি খেলায় জড়িয়ে থাকো না কেন! সে সময় সামারে খেলার পর উইন্টারে দ্বিতীয় কাজ পাওয়া ছিল খুব কঠিন। আমার সৌভাগ্য, হ্যামারহাউস নামে একটি স্কুলে কোচিং করানোর সুযোগ পেয়ে যাই। সেই শীতেই আমি একটি কোচিং কোর্স শেষ করি। বলতে গেলে এভাবেই শুরু আমার কোচিং ক্যারিয়ার।

আরেকটি গল্প অবশ্য বলা যেতে পারে। আমার বয়স যখন তেরো, আমাকে যিনি ক্রিকেটের সঙ্গে ভালোবাসায় জড়িয়েছেন, সেই বাবার সঙ্গে টানব্রিজ ক্রিকেট ক্লাবের নেটের পেছনে দাঁড়িয়ে ছিলাম আমি। ডেভিড হ্যামিল্টন নামে এক ভদ্রলোক ব্যাট করছিলেন। লেগ স্টাম্পের বল খেলতে সমস্যা হচ্ছিল বলে তিনি আমার বাবাকে ডেকে বললেন, 'চার্লস, দেখো তো আমি লেগ স্টাম্পের বল খেলতে পারছি না কেন?’ হঠাৎ করে কেন যেন আমি বলে বসলাম, ‘পা-টা বলের লাইনের বাইরে নিলেই তো মারা যায়।' পিচ্চি এক ছেলের কাছ থেকে এই উপদেশ শুনে ডেভিড হ্যামিল্টন এতটাই খেপে গেল যে, রেগেমেগে চলেই গেল নেট ছেড়ে। এই গল্পটা আমি ছোটবেলা থেকেই খুব জ্ঞানী ছিলাম এটা প্রমাণ করার জন্য বলিনি। আমি যে সেই বয়সেই ক্রিকেটের সঙ্গে রিলেট করতে পারতাম, এটা বোঝাতেই বলেছি। ট্রেভর বেইলির নাম বলতে হবে এরপর। সে সময় ইংল্যান্ড দলের অলরাউন্ডার ছিলেন, তিনি ছিলেন আমার গুরু। তাঁর লেখা 'ট্রেভর বেইলি অন ক্রিকেট' বইটি আমাকে আচ্ছন্ন করে রেখেছিল। কতবার যে এটি পড়েছি আমি। আমার কাছে এটিই কোচিংয়ের ওপর লেখা সেরা বই। এই বই আমার সব সময়ের সঙ্গী, আমার কাছে এটি ক্রিকেটের বাইবেল। যা হোক, আমি নাটাল ইউনিভার্সিটিতে কোচিং করিয়েছি, এরপর অ্যাবানডেল নামে দক্ষিণ আফ্রিকার একটি সাবার্বের দলকেও। দক্ষিণ আফ্রিকার টাউনশিপে নয় বছর কোচিং করানোর পর আমি ১৯৮৪ সালে স্কুল শিক্ষকতায় যোগ দিই। কিন্তু তা একদমই উপভোগ করিনি, খুব ম্যাড়মেড়ে, একদমই উত্তেজনা নেই। তখনই ভালোমতো বুঝতে পারি, কোচিংই আমার ক্যারিয়ার। ১৯৮৭-তে আমি কেন্টে ফিরে আসি, এরপর বোল্যান্ড হয়ে যোগ দিই ওয়ারউইকশায়ারে। আজ বলতে পারি, আমি ভুল করিনি। কোচিংটা খুবই এনজয় করছি, যদিও এখন বুড়ো হয়ে গেছি। পিঠে ব্যথা, অ্যাংকেলে ব্যথা, শরীর প্রায়ই বিদ্রোহ করতে চায়। তবে তার পরও কোনো অভিযোগ নেই, ক্রিকেট আমাকে অনেক দিয়েছে।

খেলোয়াড়ি জীবনেই কোচিংয়ে হাতেখড়ি হয়েছিল উলমারের। ছবি: গেটি ইমেজেস

শুভ্র: ওয়ারউইকশায়ারেই তো কোচ হিসেবে আপনার জয়যাত্রার শুরু। সেখানে শুরু করার আগে কোন বিষয়ে কাজ করাটাকে লক্ষ্য হিসেবে নিয়েছিলেন?

উলমার: দুটি বিষয় আমি সব সময় মাথায় রেখেছি। একটি হলো স্পোর্টসের ‘সিক্স এস্’। সাপলনেস (suppleness), স্পিড (speed), স্ট্রেংথ (strength), স্পিরিট (spirit) ও স্ট্যামিনা (stamina)। প্রথম তিনটি শুধু শরীরেরই নয়, মনেরও। এই পাঁচ এস্-এর সঙ্গে অবশ্যই আছে স্কিল (skill), যা যেকোনো খেলাতেই প্রয়োজন। স্কিলটা সব খেলোয়াড়েরই আছে, কোচ হিসেবে আমি চেয়েছি বাকি পাঁচটি এস-কে যতটা সম্ভব বাড়াতে। আর যে একটি বিষয় আমি খুব গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করি, তা আমি নিজে খেলা শুরু করার পর বুঝতে পেরেছি। তা হলো টিম স্পোর্টের জন্য অত্যন্ত জরুরি পারস্পরিক সমঝোতা। এখানে সবাই একসঙ্গে খায়, একসঙ্গে ঘুমায়, একসঙ্গে খেলে, গান গায়-- আমি মনে করি এটাই খেলার স্পিরিটটাকে শেখায়, যা আমার কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

পেশাদার হওয়ার পর আমি আবিষ্কার করলাম খেলার অন্য দিকটিও, যা হলো টাকা। আমি সব সময়ই বড় কাজ মনে করেছি এই দুটোর সমন্বয় করাটাকে। খেলে টাকা পাওয়া যাচ্ছে, ভালো কথা। তবে খেলার আসল কারণ তো খেলাটির প্রতি ভালোবাসা। মিলিয়নিয়ার হওয়ার লক্ষ্য থাকলে কারও ক্রিকেট খেলার কথা নয়। খুব ভাগ্যবান দু-একজনই ক্রিকেট খেলে মিলিয়নিয়ার হয়। আসলে মানুষ খেলে খেলারই আনন্দে। তবে পেশাদার হওয়ার পর অনেকেই এই মূল ব্যাপারটাই ভুলে যায়। আমি নিজেকে সৌভাগ্যবান বলব যে, আমার ক্ষেত্রে সেটি হয়নি। আর খ্যাতি-ট্যাতি যা-ই বলুন, সবই তো লোকজনের সৌজন্যে। কোচ হিসেবে একটা জিনিস মনে রাখা খুব জরুরি, খেলোয়াড়দের ওপরই নির্ভর করছে আপনার সব খেলোয়াড়রা ভালো খেললে কোচ প্রশংসা পায়, খারাপ খেললে শুনতে হয় গালমন্দ। আমি তাই সব সময়ই প্লেয়ার্স ম্যান, খেলোয়াড়রাই আমার কাছে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমি যা পাই, তা তো ওদেরই সৌজন্যে। টাকাপয়সার দিকটা ভুলে ওরা যেন খেলাটিকে উপভোগ করতে পারে, সেটিই থাকে আমার প্রথম চেষ্টা। ক্রিকেটটাকে ভালোবাসলে বাকি সব সহজ হয়ে যায়। খেলোয়াড়দের রিল্যাক্সড রাখতে চেষ্টা করি আমি, তাহলেই ওরা সেরা খেলাটা খেলতে পারে। এ সবকিছুতে আমি হান্ড্রেড পার্সেন্ট সফল হয়েছি তা বলব না, তবে সেভেনটি পার্সেন্ট তো হয়েছিই।

কোচ হিসেবে সাফল্যযাত্রা শুরু হয়েছিল ওয়ারউইকশায়ারেই। ছবি: পোপারফটো

শুভ্র: দক্ষিণ আফ্রিকা দলের সাফল্য নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। কিন্তু এই দল ক্রিকেট রোমান্টিকদের একটাই অভিযোগ-- দলটা বড় বেশি যান্ত্রিক। অন্য অনেক দলের মতো ফ্লেয়ার নেই আপনার দলে।

উলমার: তাই নাকি! তাহলে আমাকে বলুন, ল্যান্স ক্লুজনার কী? আমার কাছে সেটাই তো ফ্লেয়ার। আমি জানি না অ্যালান ডোনাল্ড, শন পোলককে আপনি কী বলবেন। সেদিন জ্যাক ক্যালিস যে ইনিংসটি খেলল, সেটি কী? এসব যদি ফ্লেয়ার না হয়, তাহলে আমার বলার কিছু নেই। আমি হয়তো একটু অন্য আলোকে দেখি এসব।

শুভ্র: কোচ হিসেবে অনেক খেলোয়াড়কেই তো খুব কাছ থেকে দেখেছেন। আপনার দেখা সবচেয়ে প্রতিভাবান খেলোয়াড় কে?

উলমার: হার্শেল গিবসকে যখন প্রথম দেখি, ওর বয়স ১১। ১১ বছর বয়সে ওকে দেখে আমার নিজের চোখকে আমি বিশ্বাস করতে পারিনি। সেই গিবস ১৪ বছর পর এত দিনে নিজেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মেলে ধরছে। জ্যাক ক্যালিস অবিশ্বাস্য এক প্রতিভা। ব্রায়ান লারাও তা-ই। আরও অনেক প্রতিভাই দেখেছি। আসলে কিছু না কিছু প্রতিভা না থাকলে এ পর্যায়ে উঠে আসা সম্ভব নয়।

একদম প্রথম দেখাতেই হার্শেল গিবসের প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলেন উলমার। ছবি: গেটি ইমেজেস

শুভ্র: কোচ হিসেবে তারকাখ্যাতি পাওয়ার পর আর কী পাওয়ার বাকি আছে? কী পাওয়ার স্বপ্ন দেখেন?

উলমার: আমার স্বপ্ন, আমার স্বপ্ন... যদি আমরা ফাইনালে উঠি, বিশ্বকাপটাও জিতে ফেলি, তাহলে রেজাল্ট বিবেচনায় কোচ হিসেবে আর কিছুই পাওয়ার থাকবে না। যদিও আমি আগেই বলেছি, জিতলে সেই কৃতিত্বটা হবে মূলত খেলোয়াড়দের। কোচের চাকরি থাকা না-থাকাই তো নির্ভর করে ওদের ওপর। সত্যিই যদি আমার স্বপ্নের কথা জানতে চান, সেটি হলো একটি একাডেমি খোলা, যেখানে আমার সব আইডিয়া একখানে করতে পারি আমি। নতুন নতুন চিন্তার খেলোয়াড়রা সব সেখানে আসবে। রিভার্স সুইপ প্র্যাকটিস করবে, ওভার দ্য টপ মারার নতুন কৌশল, ইন সুইং-আউট সুইং নিয়ে নতুন নতুন এক্সপেরিমেন্ট হবে-- এটাই আমার স্বপ্ন। আমার স্বপ্ন ক্রিকেট যেন আরও বিকশিত হয়, আরও ছড়িয়ে পড়ে।

শুভ্র: একটা ম্যাগাজিনে দেখলাম, আগামী শতকের ক্রিকেট কেমন হবে, তার একটা গ্রাফিক বর্ণনা দিয়েছেন আপনি। নভোচারীদের চেহারায় ব্যাটসম্যান, কানে মাইক্রোফোন, ব্যাট অন্য রকম-- এসব কি সত্যিই বিশ্বাস করেন?

উলমার: আমি কোনো ভবিষ্যদ্বাণী করিনি, খেলাটা কোথায় যেতে পারে তার একটা আভাস দিয়েছি মাত্র। আসলেই তা হবে কি না, তা তো নির্ভর করছে যারা খেলা চালায় তাদের ওপর।

ক্রনিয়েকে ইয়ারপিস কানে নামিয়ে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন উলমার। ছবি: গেটি ইমেজেস

শুভ্র: আপনার যে এ রকম ভাবনা, এই যে এই বিশ্বকাপেই ইয়ারপিস কানে দিয়ে মাঠে নামালেন হানসি ক্রনিয়েকে, এসবে তো অনেক ক্রিকেট রোমান্টিক চরম অসন্তুষ্ট আপনার ওপর। আপনার কি তাহলে ক্রিকেট নিয়ে কোনো রোমান্টিসিজম নেই?

উলমার: তা থাকবে না কেন! আমি খুবই ক্রিকেট রোমান্টিক, খেলাটির ইতিহাস-ঐতিহ্য আমার কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমি এ সবে খুব আগ্রহীও, সত্যি বলছি ক্রিকেটের গৌরবময় ইতিহাস আমাকে রীতিমতো রোমাঞ্চিত করে। আমি খেলাটিকে ভালোবাসি বলেই শুধু অতীত আঁকড়ে পড়ে নেই। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি।

আরও পড়ুন: মৃত্যুতেও ক্রিকেটেই রইলেন উলমার
শুধু বিশ্বকাপেই তো উলমারকে নিয়ে কত স্মৃতি!

শেয়ার করুনঃ
আপনার মন্তব্য
আরও পড়ুন
×