বাংলাদেশের ক্রিকেটকে জাগিয়ে তোলা সেই এশিয়া কাপ 

দুলাল মাহমুদ

২০ জুলাই ২০২১

বাংলাদেশের ক্রিকেটকে জাগিয়ে তোলা সেই এশিয়া কাপ 

পরে এক সময় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট টুর্নামেন্ট ডালভাত হয়ে গেছে এদেশের দর্শকের কাছে। তবে এর সূচনা হিসেবে ধরতে হবে ১৯৮৮ সালে ঢাকা ও চট্টগ্রামে আয়োজিত তৃতীয় এশিয়া কাপ ক্রিকেটকে। 'স্বাধীনতার ৫০ বছরে খেলার ৫০' সিরিজের আজকের পর্বে সেই এশিয়া কাপের বিস্তারিত।

সত্তর দশকটা ছিল মূলত মেরিলিবোন ক্রিকেট ক্লাব, এমসিসির রঙে রাঙানো। সত্যিকার অর্থেই বাংলাদেশের ক্রিকেটকে সাবালক হওয়ার দীক্ষা দেয় লন্ডনের এই বনেদি ক্লাবটি। এ বিষয়ে তাদের আন্তরিকতার কোনো কমতি ছিল না। টেড ক্লার্ক আর মাইকেল মেন্সের নেতৃত্বে একাধিকবার খেলতে এসে তারা এ দেশের ক্রিকেটারদের জুগিয়েছে আত্মবিশ্বাস। এর মাঝে একবার টেস্ট স্ট্যাটাসের জন্য মরিয়া শ্রীলঙ্কা দল অনুঢ়া টেনিকুনের নেতৃত্বে খেলতে এসে স্বাগতিকদের নাকের জল আর চোখের জল একাকার করে দিয়ে যায়। অল্প কিছু দিন পর খানিকটা স্বস্তি দেয় অজিত ওয়াদেকারের নেতৃত্বে ডেকান ব্লুজ দল। আসিফ ইকবালের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান জাতীয় দল খেলতে আসলেও চট্টগ্রামে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় সফরের শুরুতেই চলে যেতে বাধ্য হয়। 

তারই ধারাবাহিকতায় আশির দশকের শুরুর দিক থেকে বাংলাদেশ সফরে একে একে আসে সাবেক টেস্ট ক্রিকেটার ভগবত সিং চন্দ্রশেখরের নেতৃত্বে হায়দরাবাদ ব্লুজ, দিলীপ দোশির নেতৃত্বে পশ্চিমবঙ্গ দল, গুন্ডাপ্পা বিশ্বনাথের নেতৃত্বে হায়দরাবাদ ব্লুজ, মুশতাক মোহাম্মদের নেতৃত্বে পাকিস্তানের পিআইএ দল। সাবেক টেস্ট ক্রিকেটারদের সামনে রেখেই মূলত দলগুলো গঠন করা হয়। অধিকাংশ দলগুলোতে কেউ কেউ ছিলেন পড়তি ফর্মের, কেউ কেউ উঠতি প্রতিভা নতুবা জাতীয় দলের হয়ে খেলার অপেক্ষায় থাকা নবীন ক্রিকেটার। পরীক্ষামূলকভাবে দলগুলোকে বাংলাদেশে পাঠানো হয়। তবে অস্ট্রেলিয়ায় বেনসন অ্যান্ড হেজেস ওয়ার্ল্ড সিরিজ কাপ খেলে আসা দিলীপ মেন্ডিসের নেতৃত্বাধীন শ্রীলঙ্কা দলটি ছিল পূর্ণাঙ্গ জাতীয় দল এবং ইমরান খানের নেতৃত্বে গঠিত দলটির নাম 'ওমর কোরেশি একাদশ' হলেও খেলোয়াড়দের অধিকাংশই ছিলেন জাতীয় দলের। অরুণ লালের নেতৃত্বে খেলে যায় পশ্চিমবঙ্গ একাদশ। 

সেই সময়ের প্রেক্ষাপটে তারকা ক্রিকেটারদের সংখ্যা খুব বেশি ছিল না। সফরকারী এই দলগুলো, এই ক্রিকেটাররাই বাংলাদেশের দর্শকদের কাছে ছিল অনেক বড় ব্যাপার। তখন তো টেস্ট ঘরানার কোনো জাতীয় ক্রিকেট দলের বাংলাদেশ সফরে আসার কথা সাধারণত ভাবাই যেত না। বিভিন্ন দলের টেস্ট ও ওয়ানডে ক্রিকেটারদের খেলা দেখতে পাওয়াটা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অনেক দূরে থাকা বাংলাদেশের দর্শকদের জন্য ছিল অনেক বড় পাওয়া। আর টেস্ট ঘরানার দেশগুলোকে নিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট টুর্নামেন্ট আয়োজন করা ছিল স্বপ্নের মতো। 

গ্যালারির এই ব্যানারটাই বলে দিচ্ছে, বাংলাদেশের ক্রিকেটকে ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখিয়েছিল এই এশিয়া কাপএমন এক প্রেক্ষাপটে ১৯৮৮ সালের ২৭ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হয় তৃতীয় উইলস এশিয়া কাপ ক্রিকেট। ক্রিকেটের 'বাণিজ্যিক শহর' শারজার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে এই টুর্নামেন্টের স্বাগতিক হওয়াটাই ছিল বড় এক সাফল্য। ভয়াবহ বন্যার পর এই টুর্নামেন্টকে কেন্দ্র করে ঢাকা ও চট্টগ্রাম হয়ে ওঠে ক্রিকেট নগরী। ব্যানার, ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড দিয়ে একটা উৎসবের আমেজ দেওয়া হয়। যা ছড়িয়ে পড়ে ক্রিকেটানুরাগীদের মধ্যে। রঞ্জন মাদুগালের নেতৃত্বে আগের বারের চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কা, জাভেদ মিয়াঁদাদের নেতৃত্বে রানার্স-আপ পাকিস্তান, তখনকার বিশ্বের এক নম্বর ব্যাটসম্যান দিলীপ ভেংসরকারের নেতৃত্বে ভারত এবং গাজী আশরাফ হোসেন লিপুর অধিনায়কত্বে স্বাগতিক বাংলাদেশ দল টুর্নামেন্টে অংশ নেয়। 

১৯৮৪ সালে বাংলাদেশে আয়োজন করা হয়েছিল প্রথম দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ক্রিকেট। সেই টুর্নামেন্টে অংশ নেয় আইসিসির সহযোগী সদস্যরা। তা মোটেও গ্ল্যামারাস ছিল না। এর আগে পাকিস্তান আমলে ঢাকা স্টেডিয়ামে পাকিস্তানের সঙ্গে ভারত, নিউজিল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ডের ৭টি টেষ্ট অনুষ্ঠিত হলেও এশিয়া কাপই বাংলাদেশের মাটিতে আয়োজিত প্রথম আন্তর্জাতিক মানসম্মত ক্রিকেট টুর্নামেন্ট। এই টুর্নামেন্ট এই দেশের মানুষের কাছে ছিল নতুন এক অভিজ্ঞতা। খেলা হয় ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টেডিয়ামে। তাতে বিস্তৃত হয় ক্রিকেটের পরিসর। পাকিস্তান থেকে কিউরেটর এনে মন্থর উইকেটে গতির সঞ্চার করা হয়। ঢাকায় ৫টি এবং চট্টগ্রামে ২টি ম্যাচ আয়োজন করা হয়। ম্যাচগুলো ছিল ৪৫ ওভারের। 

প্রথম দু’দিনের খেলায় ঢাকায় আশানুরূপ দর্শক সমাগম হয়নি। এর কারণ, প্রথম দিন একই সময়ে ঢাকায় শ্রীলঙ্কা-পাকিস্তান ম্যাচ হলেও চট্টগ্রামে বাংলাদেশ-ভারত এবং দ্বিতীয় দিন ঢাকায় শ্রীলঙ্কা-ভারত ম্যাচের দিন চট্টগ্রামে বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। সঙ্গত কারণে ক্রিকেটানুরাগীদের আগ্রহ ছিল বাংলাদেশের ম্যাচ নিয়ে। এ কারণে ঢাকা স্টেডিয়ামে বেশ মজার ঘটনা ঘটেছে। শ্রীলঙ্কা-পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কা-ভারত ম্যাচ চলাকালে হঠাৎ হঠাৎ গ্যালারির দর্শকরা উল্লসিত হয়ে ওঠতেন। অথচ মাঠে উল্লসিত হওয়ার মতো কোনও ঘটনাই তখন দৃশ্যমান নয়। আসলে দর্শকদের শরীরী উপস্থিতি ঢাকা স্টেডিয়ামে হলেও মন পড়ে থাকত চট্টগ্রাম স্টেডিয়ামে। বাংলাদেশের নান্নু, আতহার, বুলবুল, নাসুরা বাউন্ডারি হাঁকালে কিংবা শান্টু, প্রিন্সদের উইকেট নেওয়ার কথা রেডিও’র ধারাবিবরণীর মাধ্যমে শুনে দর্শকরা আনন্দ প্রকাশ করলে তাতে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হতো। 

এই টুর্নামেন্টে একাধিক ক্রিকেটার ইনজুরির শিকার হন। শ্রীলঙ্কার সঙ্গে প্রথম ম্যাচে ২৫ রান করার পর সুইপ শট নিতে গিয়ে কোমর ও উরুতে পুরানো ব্যথা চাড়া দেওয়ায় পাকিস্তানের জাভেদ মিয়াঁদাদের পক্ষে আর ব্যাটিং করা সম্ভব হয়নি। তিনি আর এই টুর্নামেন্টেও খেলতে পারেননি। তাঁর পরিবর্তে অধিনায়কের দায়িত্ব বর্তায় স্পিনার আবদুল কাদিরের কাঁধে। এ ম্যাচে লঙ্কান রোশান মহানামা দুর্দান্ত ফিল্ডিং করেন। তাঁর কাছে বল গেলে ব্যাটসম্যানরা তটস্থ থাকতেন। আমির মালিক, সেলিম মালিক ও মঞ্জুর এলাহির দুর্দান্ত ক্যাচ নিয়ে খেলার মোড় ঘুরিয়ে দেন। 

জাভেদ মিঁয়াদাদের মতোই পরিণতি হয় লঙ্কান দলপতি রঞ্জন মাদুগালের। তাঁর অবস্থা হয় আরও করুণ। ফিল্ডিং করার সময় ইজাজ আহমেদের শট ঠেকাতে গিয়ে বাঁ-হাতে আঘাত পেয়ে মাঠ ত্যাগ করেন মাদুগালে। হাতে ৮টি সেলাই দিতে হয়। শুধু এ টুর্নামেন্টই নয়, শেষ হয়ে যায় সুদর্শন এই ক্রিকেটারের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারও। তাঁর পরিবর্তে অধিনায়কত্ব করেন অর্জুনা রানাতুঙ্গা। ম্যাচে পাকিস্তানের একমাত্র ফিফটি আসে ইজাজ আহমেদের ব্যাট থেকে। মঞ্জুর এলাহির ছক্কা স্টেডিয়ামের ভিআইপি লাউঞ্জের শামিয়ানার ওপর পড়ে। বলটি খুঁজে পেতে অনেকটা সময় চলে যায়। এ ম্যাচে প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ মহানামা আর অরবিন্দ ডি সিলভার সাবলীল ব্যাটিংয়ে জয় পেতে বেগ হয়নি লঙ্কানদের। কাকতালীয় হলো, এশিয়া কাপে সেবার নিয়ে শ্রীলঙ্কা তিনবার পাকিস্তানকে হারায়। প্রতিবারই ৫ উইকেটে। প্রতিবারই লঙ্কানরা টস জিতে পাকিস্তানকে ব্যাটিংয়ে পাঠায়। বিশ্বসেরা স্পিনার আবদুল কাদির এ ম্যাচে পাত্তাই পাননি। সবচেয়ে বেশি রান দেন তিনি। লঙ্কানদের জয় আসে ওয়াসিম আকরামের ওয়াইড বলে।   

একই দিন চট্টগ্রামের ম্যাচে আনকোরা বাংলাদেশকে ৯ উইকেটে হারায় ভারত। এ ম্যাচে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় আমিনুল ইসলাম বুলবুল, আতহার আলী খান, আজহার হোসেন শান্টু, হারুনুর রশিদ লিটন, নাসির হোসেন নাসু ও জাহিদ রাজ্জাক মাসুমের। ম্যাচের একমাত্র ফিফটি হাঁকিয়ে প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ হন নবজ্যোত সিধু।  

পাকিস্তানের বিপক্ষে অভিষেক হয় আকরাম খান, ফারুক আহমেদ ও ওয়াহিদুল গণির। প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ মইন-উল-আতিক আর ইজাজ আহমেদের সেঞ্চুরিতে রানের পাহাড় গড়ে পাকিস্তান। কাছাকাছি যেতে না পারলেও অল-আউট হয়নি বাংলাদেশ। একই দিন প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ অরবিন্দ ডি সিলভা আর সামারাশেখেরার দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের কাছে হার মানে ভারত।

পাকিস্তানের শোয়েব মোহাম্মদকে আউট করে ভারতীয় বোলার-ফিল্ডারদের উল্লাস

ভারত-পাকিস্তান ম্যাচকে কেন্দ্র করে টগবগিয়ে ফুটতে থাকেন ক্রিকেটানুরাগীরা। ঢাকা স্টেডিয়ামে দর্শকের স্রোত নামে। কিন্তু ম্যাচটি খুব একটা জমেনি। ভারতীয় স্পিনার আরশাদ আইয়ুব পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইন-আপ ধসিয়ে দিলে খেলাটা একতরফা হয়ে যায়। ২১ রানে ৫ উইকেট নিয়ে তিনি হন প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ। তারপরও যেটুকু প্রতিদ্বন্দ্বিতার আমেজ ছিল, তাতে জল ঢেলে দেন ভারতের ব্যাটসম্যান মহিন্দর অমরনাথ। ৭৪ রানে অপরাজিত থেকে ম্যাচ জিতিয়ে বেরিয়ে আসেন তিনি। 

শ্রীলঙ্কাও বাংলাদেশকে অলআউট করতে পারেনি। তবে সত্যিটা হলো, অনভিজ্ঞ বাংলাদেশ এ টুর্নামেন্টে একদমই ভালো খেলতে পারেনি। তবে একমাত্র দল হিসেবে তিন ম্যাচেই খেলেছে ৪৫ ওভার। কৃতিত্ব বলতে কোনও ম্যাচেই অলআউট হয়নি বাংলাদেশ। প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ ব্রেন্ডন কুরুপ্পুর সাবলীল ব্যাটিংয়ে সহজেই জয় তুলে নেয় লঙ্কানরা। 

ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কার উদ্বোধনী দুই ব্যাটসম্যান মহানামা-কুরুপ্পু জুটি বাউন্ডারি না মেরেও কিভাবে স্কোরবোর্ড সচল রাখা যায়, তার একটা প্রদর্শনী খুলে বসেন। ফিল্ডারদের হাতে বল যাওয়ার আগে ক্ষিপ্রগতিতে রান নিয়ে নেন। যাকে বলা যায় 'রান চুরি'। অবশ্য এর খেসারতও দিতে হয়েছে। 'রান চুরি; করতে গিয়ে লঙ্কার পাঁচ ব্যাটসম্যান রান আউট হন। সিধু আর অধিনায়ক ভেংসরকারের ব্যাটিংয়ে দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন হয় ভারত। প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ ও প্লেয়ার অব দ্য সিরিজের স্বীকৃতি পান সিধু।  

এশিয়া কাপ ক্রিকেটে মহানামার ফিল্ডিং, পাকিস্তানের বিপক্ষে অমরনাথের অসাধারণ ব্যাটিং, ভারতের বিপক্ষে ওয়াসিম আকরামের দ্রুত গতির বোলিং, আরশাদ আইয়ুব ও আবদুল কাদিরের ঘূর্ণি বোলিং দর্শকদের স্মৃতিতে সমুজ্জ্বল হয়ে আছে। ফাইনালে সিধু ও ভেংসরকারের ব্যাটিংয়ের কথাও উল্লেখ করতে হয়। আর বাংলাদেশের দর্শকদের ভূমিকাও ছিল মনে রাখার মতো। তারা সারাক্ষণ জমিয়ে রাখেন গ্যালারি।

ভারতীয় অধিনায়ক দিলীপ ভেংসরকারের হাতে ট্রফি তুলে দিয়েছেন সে সময়ের রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদ

এশিয়া কাপ ক্রিকেটের ফাইনালের পরের দিন ৫ নভেম্বর ঢাকা স্টেডিয়ামে চ্যাম্পিয়ন ভারতের বিপক্ষে খেলে 'আমন্ত্রিত একাদশ'। বন্যা দুর্গতদের সাহায্যার্থে এই চ্যারিটি ম্যাচে অংশ নিতে ঢাকায় আসেন বিশ্বসেরা ক্রিকেটার ভারতের সুনীল গাভাসকার, পাকিস্তানের জহির আব্বাসরা। ব্যাপক প্রত্যাশা নিয়ে ম্যাচটি দেখার জন্য দর্শকরা স্টেডিয়ামে ছুটে আসেন। কিন্তু হতাশ হয়ে ফিরে যান। ম্যাচে কেউ সিরিয়াসলি খেলেননি।          

বাংলাদেশের ক্রিকেটকে জাগিয়ে দিয়ে যায় তৃতীয় এশিয়া কাপ ক্রিকেট। এই টুর্নামেন্ট আয়োজন করে ক্রিকেট বিশ্বে অবস্থান গড়ে নেয় বাংলাদেশ। আসরের স্লোগান ছিল ‘ক্রিকেট গড়ে মৈত্রী’। যা প্রকৃত অর্থেই গড়ে দিয়েছে মৈত্রীর বন্ধন। টেলিভিশনে সরাসরি খেলা সম্প্রচার করায় সারা দেশে ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা ছড়িয়ে যাওয়ার পাশাপাশি সাংগঠনিকভাবে আস্থা অর্জন করেন সংগঠকরা। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনে পরিচিতি অর্জন করে বাংলাদেশ। অর্থনৈতিকভাবেও লাভবান হয়েছে ক্রিকেট বোর্ড। তাছাড়া খেলতে আসা ক্রিকেটারদের সঙ্গে চুক্তি করে স্থানীয় ক্লাবগুলো। পরবর্তীকালে তাঁদেরকে ঢাকা ক্রিকেট লিগে খেলতে দেখা যায়। বাংলাদেশের ক্রিকেটকে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে এটিও অনুঘটক হিসেবে কাজ করে।

শেয়ার করুনঃ
আপনার মন্তব্য
আরও পড়ুন
×