`আর ইউ সাকিব আল হাসান?`
উৎপল শুভ্র
১০ আগস্ট ২০২১
অন্য আরও অনেক কিছুর চেয়ে মানসিক শক্তিটাই সাকিবের সাকিব হয়ে ওঠার মূলে। যেকোনো কিছু গায়ে না মাখার অবিশ্বাস্য এক ক্ষমতা আছে তাঁর, যে কারণে একেবারেই অজানা-অচেনা এক ভুবনে পা রেখেও কখনো পথ চলতে সমস্যা হয়নি। মাঠের সাকিব ও মাঠের বাইরের সাকিবকে মিলিয়ে ধারাবাহিকের চতুর্থ পর্ব।
২০১৮ সালের ডিসেম্বরে সিলেটে টিম হোটেলে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের এক আড্ডার কথা মনে পড়ছে। বিষয় থেকে বিষয়ান্তরে ঘুরে বেড়ানো সেই আড্ডা একসময় সোশ্যাল মিডিয়ায় এসে দাঁড়িয়েছে। ক্রিকেটারদের জন্য এই ফেসবুক-টুইটার-ইনস্টাগ্রাম দিন দিন কেমন আরও বেশি যন্ত্রণা হয়ে উঠছে, এ নিয়ে আলোচনা। কতজনের ক্যারিয়ার এসবেই পথ হারিয়ে ফেলল, বাকিদের জীবনও সেটি কেমন কঠিন করে তুলছে, এমন সব কথা হচ্ছে। সাকিব সেখানে নেই। কিন্তু খুব দ্রুতই তাঁর অশরীরী উপস্থিতি ঘটল। সবাই একমত হয়ে গেলেন, একমাত্র সাকিবেরই এসবে কোনো সমস্যা হয় না। ফেসবুকে তাঁকে নিয়ে কে কী লিখল, কোথায় কে কী বলল—এসবে তাঁর কিছুই আসে যায় না। এমন না যে এসবের খোঁজখবর রাখেন না। অনেকের চেয়ে একটু বেশিই রাখেন। নিজের ব্র্যান্ড ভ্যালু সম্পর্কে যথেষ্টই সচেতন। কোথায় তাঁকে নিয়ে কী কথা হচ্ছে, সব খবরই রাখতে হয়। শুধু গায়ে মাখেন না।
'ব্র্যান্ড'-এর কথা যদি বলেন, শুধু ক্রিকেট নয়, ক্রিকেটের সীমানা ছাড়িয়েও অনেক দিনই তো বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ব্র্যান্ডের নাম সাকিব আল হাসান। এখন বোধ হয় 'আইকন' বলাই ভালো। সাকিবকে জিজ্ঞেস করে প্রতিবার একই উত্তর পেয়েছি, তারকাখ্যাতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে তাঁর কোনো সমস্যাই হয়নি। সেটি যদি সত্যি হয়ে থাকে, তিনি সাকিব বলেই তা হয়নি। নইলে এমন এক ভুবনে তাঁর পা পড়েছে, যেখানে অনুসরণ করবেন, তাঁর সামনে এমন কোনো আদর্শই তো ছিল না। এর আগে যে এমন কারও দেখাই পায়নি বাংলাদেশের ক্রিকেট।
এটিও সাকিবের অসাধারণত্বের আরেকটি প্রমাণ হতে পারে যে র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে থাকাটা এখন কোনো ব্যাপারই মনে হয় না। কিন্তু কে কবে ভাবতে পেরেছিলেন, বাংলাদেশের একজন ক্রিকেটার বিশ্বের এক নম্বর অলরাউন্ডার হিসেবে স্বীকৃতি পাবেন। ক্রিকেটের তিন সংস্করণেই; সেটিও আবার এক দিন দুদিন নয়, এক মাস-দু মাস নয়, বছরের পর বছর! ২০০৮ সালে প্রথম আলোর বর্ষসেরা ক্রীড়াবিদ পুরস্কারে তাঁর রাজত্ব শুরু হওয়ার পর দেওয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে নিজের স্বপ্নের কথা বলেছিলেন, 'এমন কেউ হতে পারলে ভালো লাগবে, যে পৃথিবী রুল করছে। এমন কেউ, যাকে বিশ্বে সবাই এক নামে চিনবে।'
একবার কিশোরদের জন্য প্রথম আলোর ম্যাগাজিন কিশোর আলোর 'কিআনন্দ' অনুষ্ঠানে স্বপ্নের সংজ্ঞা দিতে গিয়ে বলেছিলেন, 'স্বপ্ন হলো সেই জিনিস, যা শোনার পর সবাই হাসবে। আট বছর আগে সাকিবের ওই সাক্ষাৎকার বলছে, স্বপ্নটা সাকিব নিজের সংজ্ঞানুযায়ীই দেখেছিলেন। বিশ্বের এক নম্বর মানে তো 'পৃথিবী রুল' করাই। আর বিশ্বে সবাই এক নামে চিনবে বলে যে স্বপ্ন? তাহলে মাগুরারই একটি ঘটনা বলি। সাকিবকে নিয়ে ঘুরতে বেরিয়েছি। হঠাৎই চোখে পড়ে গেছে 'মাগুরা ১ কি.মিঃ' লেখা মাইলস্টোনটি। সেটির সামনে সাকিবকে দাঁড় করিয়ে নানা ভঙ্গিতে ছবি তুলছেন প্রথম আলোর আলোকচিত্রী। কারণ, সেটিই ছুটির দিনের কভার স্টোরির প্রচ্ছদ হবে বলে মোটামুটি ঠিক করে ফেলেছি আমরা। রাস্তা থেকে একটু নিচে সমতল জায়গাটায় ধান শুকাচ্ছেন কয়েকজন মহিলা। তাঁদের মধ্য থেকে একজন রাস্তায় উঠে এসে পরিষ্কার ইংরেজিতে জিজ্ঞেস করলেন, 'আর ইউ সাকিব আল হাসান?' আমরা সবাই থ। সহজে কোনো কিছুতে না চমকানো সাকিব পর্যন্ত একটু হতভম্ব। পরে জানলাম, ওই মহিলা জাতিতে শ্রীলঙ্কান। বাংলাদেশের এক ছেলেকে বিয়ে করে এখানে চলে এসেছেন। ক্রিকেটের খুব ভক্ত এবং সাকিবকে তাঁর খুব পছন্দ। ভিন্ন সংস্কৃতির এক ভদ্রমহিলার ওই সাকিব-ভক্তিটাকে আমার খুব প্রতীকী মনে হয়েছিল ।
এটি তো সেই ২০১২ সালের ঘটনা। এরপর সাকিবের গল্পে আরও কত নতুন নতুন অধ্যায় যোগ হয়েছে। সাকিব হয়ে উঠেছেন বিশ্ব ক্রিকেটে ‘বাংলাদেশ ক্রিকেটের মুখ'। সেটির সূচনা ওই র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে ওঠা দিয়েই । ঘটনাচক্রে অনেকের চোখেই সাকিবের সেরা ইনিংসটির সঙ্গে যেটি মিলে গেছে । ২০০৯ সালের শুরুতে ঢাকায় শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়েকে নিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজ। প্রথম ম্যাচেই জিম্বাবুয়ের কাছে হেরে বসায় ফাইনালে ওঠার জন্য শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জিততেই হবে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে নেট রানরেটে এগিয়ে থাকায় জিতলেই কাজ হয়ে যাবে। কিন্তু বাইলজটা কারও পড়ার সময় হয়নি বলে ম্যাচের আগের দিন আবিষ্কৃত হলো, বাংলাদেশকে শুধু জিতলেই হবে না, জিততে হবে বোনাস পয়েন্টসহ। এর আগে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ২৪টি ম্যাচ খেলে বাংলাদেশ জিতেছেই মাত্র একবার। জেতাটাই তাই যথেষ্ট বড় চ্যালেঞ্জ, তার ওপর আবার পেতে হবে বোনাস পয়েন্ট! এ যেন শুধু এভারেস্টে উঠলেই হবে না, উঠতে হবে পিঠে এক মণি বস্তা নিয়ে! কুয়াশার কারণে ৩১ ওভারে নেমে আসা ম্যাচে মাশরাফির দুর্দান্ত এক ওপেনিং স্পেলে শ্রীলঙ্কা ১৪৭ রানে অলআউট। আশরাফুলের সঙ্গে সাকিবের ৯১ রানের জুটিতে জয়টাও মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে গেল এক সময়। কিন্তু বাংলাদেশ, বলা ভালো সাকিব তো একই সঙ্গে খেলছিলেন দুটি ম্যাচ। শুধু জিতলেই তো হবে না, বোনাস পয়েন্ট পেতে হলে তাড়াতাড়ি জিততে হবে। সে জন্য এক সময়ের চাওয়া ২৯ বলে ৩৬ রানকেও তিনি ডালভাত বানিয়ে ফেললেন। ৬৯ বলে অপরাজিত ৯২ রানের ওই ইনিংসটিই মাশরাফির চোখে সাকিবের সাকিব হয়ে ওঠার শুরু। তাঁর ভাষায়, 'এরপর থেকেই সাকিব অন্য প্লেয়ার হয়ে গেছে।'
সাকিব নিজে অবশ্য সময়টাকে মাস তিনেক পিছিয়ে দিতে চান। ২০০৮ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের আগে কোচ জেমি সিডন্স হঠাৎই ঘোষণা করলেন, সাকিব খেলবেন স্পেশালিস্ট স্পিনার হিসেবে। ব্যাটিং করবেন সাত নম্বরে। সিডন্সের কাছে অনেক ঋণের কথা এখনো স্বীকার করেন তামিম সাকিবেরা। তবে বাংলাদেশের ক্রিকেটে সিডন্সের সবচেয়ে যুগান্তকারী অবদান সম্ভবত সাকিবকে দলের মূল স্পিনার বানিয়ে দেওয়া। এর আগে ৬ টেস্টে তাঁর মাত্র ৩ উইকেট, অনেক ইনিংসে বোলিং করারই সুযোগ পাননি। 'ব্যাটিং অলরাউন্ডার' সাকিবকে 'স্পেশালিস্ট স্পিনার' বলার সঙ্গে সঙ্গেই যেন ভোজবাজির মতো বদলে গেল সব। মোটামুটি ভালো করলেই এমন বলা যেত। আর সাকিব কিনা ৩৬ রানে ৭ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের ইতিহাস-সেরা বোলিং করে ফেললেন! যার রেকর্ড ভেঙেছিলেন, সেই এনামুল হক জুনিয়রের উপহার দেওয়া ট্রাউজারটা ছিল যেন ব্যাটন হস্তান্তর। এর আগ পর্যন্ত টেস্টে বলার মতো তেমন কিছুই করতে পারেননি সাকিব। ৭ উইকেট নেওয়ার পরের ইনিংসেই টেস্টে তাঁর প্রথম হাফ সেঞ্চুরি। ক্যারিয়ারের টার্নিং পয়েন্টের কথা জানতে চাইলে তিনি তাই চট্টগ্রামের ওই টেস্টেই ফিরে যান।
এরপর থেকে রান আর উইকেটে সেভাবে কখনো ভাটা পড়েনি। ভাটা পড়েনি বিতর্কেও। বিতর্ককে ভয় পান না বলেই হয়তো সেটি তাঁর ছায়াসঙ্গী হয়েই থেকেছে। কখনো কখনো নিজেই সেটির জন্ম দিয়েছেন। ২০১১ বিশ্বকাপে যেমন প্রথম আলোতে লেখা কলামে যুদ্ধ ঘোষণা করলেন সাবেক ক্রিকেটারদের বিরুদ্ধে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৫৮ রানে অলআউট হয়ে গেছে বাংলাদেশ—কোথায় ফরোয়ার্ড ডিফেন্সিভ খেলবেন, উল্টো সপাটে হুক। রাতের টক শোতে সাবেকদের কথাবার্তা শুনে এমনই খেপে গেলেন যে কলামে লিখে দিলেন—
‘সবচেয়ে খারাপ লাগে, যখন দেখি জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটাররাও আর দশজন সাধারণ দর্শকের মতো কথা বলেন। তাঁরা অনেক বোঝেন, অনেক খেলেছেন, এ রকম পরিস্থিতিতেও অনেকবারই পড়েছেন। তাঁদের কথাগুলোই তাই বেশি হতাশাজনক। একটা জিনিস অন্তত তাঁদের চিন্তা করা উচিত, তাঁরা কী ক্রিকেট খেলে এসেছেন। আমি চাই না কাউকে ছোট করতে। তবে কে কত দূর খেলে এসেছেন, সেটা রেকর্ড ঘাটলেই পাওয়া যায়। আমরা জানি, কার কেমন রেকর্ড আছে, কারা কোন ক্রিকেট খেলে এসেছেন, কী ধরনের ক্রিকেট খেলে এসেছেন। এটা স্বীকার করি, তাঁরা ওই সময় শুরু না করলে আমরা হয়তো আজ এই পর্যন্ত আসতে পারতাম না। তবে আমার মনে হয় না, বাংলাদেশে এমন কোনো ক্রিকেটার আছেন, যিনি এ রকম বাজে পরিস্থিতিতে পড়েননি। গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর এই প্রথম আমরা এমন একটা পরিস্থিতিতে পড়লাম। আমরা দু-তিন বছরে একদিন যে পরিস্থিতিতে পড়ছি, আমাদের তো মনে হয়, তাঁরা প্রায়ই সে রকম পরিস্থিতিতে পড়তেন! ভালো পরিস্থিতির দেখা পেতেন মাঝেমধ্যে। কাজেই সবারই বোধ হয় একটু বুঝেশুনে কথা বলা উচিত।'
পত্রিকায় ছাপা হওয়ার আগে আমি এই কলাম পড়লাম চেন্নাইয়ে বসে। বাংলাদেশের পরের ম্যাচের আগে লম্বা বিরতি। ঢাকায় বসে থেকে কী লিখব! ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচের পরদিন সকালেই তাই চেন্নাই উড়ে গেছি ইংল্যান্ড-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচ কাভার করতে। সন্ধ্যায় অফিস থেকে ই-মেইলে পাঠানো কলামটা পড়ার পরই আতঙ্কিত হয়ে ফোন করলাম। এই কলাম ছাপা হলে তো আগুন জ্বলে যাবে। সাকিবের কলামটা যিনি করেছেন, সেই সহকর্মী বললেন, 'আমিও এটা বাদ দিতে বলেছিলাম। সাকিবকে নড়ানো যায়নি।' আমি বললাম, 'সাকিবকে আরেকবার ভেবে দেখতে অনুরোধ করা যায় না!' সেই অনুরোধের ফল কী হয়েছিল, সেটি তো ওই কথাগুলোসহই কলামটা ছাপা হওয়া থেকেই পরিষ্কার।
বাংলাদেশ দলের অনেকের মনেই হয়তো কথাগুলো ছিল। কিন্তু আর কেউ তা এমন প্রকাশ্যে আনতেন বলে মনে হয় না। যেমন আনেননি ২০১০ সালে সোনারগাঁও হোটেলে বোর্ড সভাপতি আ হ ম মুস্তফা কামালের ডাকা বিশেষ মিটিংয়ে। চট্টগ্রামে ভারতের বিপক্ষে বাজেভাবে হেরেছে বাংলাদেশ। বোর্ড সভাপতি পুরো দলকে ধুয়ে দিচ্ছেন, অপমানকর অভিযোগ করছেন তাঁদের কমিটমেন্ট নিয়ে প্রশ্ন তুলে। বাকি সবাই মাথা নিচু করে বসে। সাকিব ঠিকই হাত তুলে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করলেন, 'মানছি, আমরা খুব খারাপ খেলেছি। কিন্তু আপনি এভাবে বলতে পারেন না।' পরদিন একটি পত্রিকায় চেয়ারে বসা বোর্ড সভাপতির পায়ের কাছে বসে থাকা সাকিবের একটা ছবি ছাপা হলো। সঙ্গে ক্যাপশনে দাবি, সাকিব 'কৃতকর্মের' জন্য মাফ চাচ্ছেন। সাকিবকে চিনি বলে তা বিশ্বাস করিনি। নিশ্চিত হওয়ার কাজটা পরে হয়েছে, এই যা!
এত সব বলার মানে এই নয় যে সাকিব কখনো কোনো অন্যায় করেননি। স্ত্রীর উদ্দেশে আজেবাজে কথা বলায় গ্যালারিতে গিয়ে দর্শককে মেরেছেন, সেটিও আবার বৃষ্টিতে থেমে থাকা একটা ওয়ানডে ম্যাচের মাঝখানে। সিনেমায় এটি তাঁকে 'ড্যাশিং হিরো' হিসেবে তুলে ধরত, কিন্তু জীবন তো আর সিনেমা নয় সাকিব তাই যৌক্তিকভাবেই এখানে 'ভিলেন'। ড্রেসিংরুমে ভিউয়িং এরিয়ায় তাঁকে ক্লোজআপে ধরা টেলিভিশন ক্যামেরার সামনে এমন অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করেছেন যে সামনে এশিয়া কাপের মতো গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্ট থাকার পরও তাঁকে তিন ম্যাচের জন্য সাসপেন্ড না করে উপায় থাকেনি বোর্ডের। দলের মধ্যেও কখনো কখনো ‘প্রিমা ডোনা' ভাবটা প্রকাশিত হয়েছে। কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে দায়িত্ব নেওয়ার পর যেটির সমাধান করাটাকে তাঁর 'অবশ্যই করণীয়' কাজের শুরুতেই রেখেছেন। ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে সাকিবের একগুঁয়েমি দেখে তাঁকে ডেকে নিয়ে বলেছেন, 'তুমি ওয়ার্ল্ডের নাম্বার ওয়ান অলরাউন্ডার হতে পারো, কিন্তু আমার তাতে কিছুই যায় আসে না। তোমার টিম র্যাঙ্কিংয়ে কত নম্বর, সেটাই আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। দলের প্রয়োজনে যা করতে হয়, সেটাই তোমাকে করতে হবে।' ওরকম কথা শুনতে অনভ্যস্ত সাকিবের তখন তা ভালো লাগার কোনো কারণ ছিল না। তবে তিনি মানুন বা না মানুন, ওই কড়কানিতে তাঁর উপকারই হয়েছিল।
চলবে...