বর্ণবিদ্বেষ-বিষের বিষাদময় আখ্যান

কাশীনাথ ভট্টাচার্য

১২ নভেম্বর ২০২১

বর্ণবিদ্বেষ-বিষের বিষাদময় আখ্যান

মাইকেল হোল্ডিং-এর ‘হোয়াই উই নিল, হাউ উই রাইজ’ বই পড়তে পড়তে চোখের জলে ভেসে যেতে হয় শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে হয়ে-চলা কৃষ্ণাঙ্গদের প্রতি শ্বেতাঙ্গদের তীব্র বিদ্বেষের ইতিহাসে। বইটা শেষ করার পর কিছু উপলব্ধি ও প্রতিক্রিয়াও জানাতে হয়।

বর্ণবৈষম্যের বীজ ছড়ানো আছে পড়ার বইয়ের পাতায় পাতায়। সেখান থেকেই মানবতার অবমূল্যায়ন শুরু। ইতিহাস, বিজ্ঞান আর ধর্মমত ছড়িয়ে চলেছে এই বিষ। যে শিশু জীবনের শুরুর দিনগুলো থেকেই সেই ‘সাদা’ ভুলগুলোকে ঠিক ভেবে শিখতে শুরু করে, স্বাভাবিকভাবেই সে বড় হয়ে কৃষ্ণাঙ্গ মানুষকে মনুষ্যেতর হিসাবে দেখতে পায়। যা ফিরে যা জঙ্গলে, বলতে বাধে না তার মুখ। এমন বলে যে সে আদৌ কোনও অপরাধ করছে, মনুষ্যত্বের অবমাননা করছে শুধুই তার গায়ের রঙের বিচারে---ভাবতেই শেখেনি। এই দায় তাই শিক্ষার, ইতিহাসের।

উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এই শিক্ষা প্রচলিত সমাজে, যা বলে ইউরোপীয় বা শ্বেতাঙ্গরা উঁচুদরের মানুষ আর কালো মানুষদের জায়গা হল গাছে, মানুষ বলে তাদের বিবেচনা করাই অনুচিত। তাই শ্বেতাঙ্গ পুলিশ নির্বিচারে গুলি চালায়, পাশবিক অত্যাচার করে কৃষ্ণাঙ্গদের ওপর। তারা শপিং মলে ঢুকলে শ্বেতাঙ্গ নিরাপত্তারক্ষী অনুসরণ করে; রাস্তায় কিশোর-কিশোরী কৃষ্ণাঙ্গকে দেখলেই সন্দেহভাজন মনে করে তর্ক জোড়ে এবং বিনা প্ররোচনায় গুলি চালায়; যেখান থেকে এসেছিস সেখানেই ফিরে যাস না কেন (পড়ুন গাছে বা আফ্রিকায়), প্রশ্ন তোলে; নিরন্তর নিগার-বাঁদর-গরিলা বলে চিৎকার করে; বড় শরীরের অধিকারী বলেই মস্তিষ্কের আকার এবং বুদ্ধি নিয়ে বিদ্রুপ করে, ভুল-বিজ্ঞানের দোহাই দিয়ে। দাবিয়ে রাখে, দমিয়ে রাখতে চায়, চাকরিতে বড় জায়গায় আর থাকার জন্য তথাকথিত শ্বেতাঙ্গ অধ্যুষিত ‘বড়’ সোসাইটিতে জায়গা দেয় না, দিতে চায় না, দিলেও এমনভাবে বাধ্য করা হয়, প্রতিপদে বুঝিয়ে দেওয়া হয় ‘তুমি এ সবের যোগ্য নও’, যে, চলে যেতে হয়, সরে যেতে হয়।

তাই জর্জ ফ্লয়েডরা আজও প্রাসঙ্গিক। তাই হাঁটু মুড়ে বসা আজও প্রাসঙ্গিক। তাই #ব্ল্যাকলাইভসম্যাটার আন্দোলন এতটাই প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠে যে, শ্বেতাঙ্গ সমাজ এখনও খুঁজে পায় কুইন্টন ডি কক বা রুশ ফুটবল সংস্থার মাথায় বসে-থাকা কর্তাদের, হাঁটু মুড়ে বসতে যাঁদের চিরকালীন দ্বিধা, হাঁটু মুড়ে না-বসার কারণ হিসাবে যাঁরা নানা কুযুক্তির আড়াল খোঁজেন অহরহ। মূলে সেই শ্বেতাঙ্গ-ঔদ্ধত্য। আমরা যা বলব সেটাই ঠিক, বাকি সব বাকোয়াস!

মাইকেল হোল্ডিং

মানবিকতার অবমূল্যায়নের শ্বেতাঙ্গ-ইতিহাসের কিছু অস্বস্তিকর প্রসঙ্গ, মাইকেল হোল্ডিং-এর ‘হোয়াই উই নিল, হাউ উই রাইজ’ বই থেকে  ---

● যিশু খ্রিস্টের চোখের রঙ নীল কেন? বিশ্বের যে অঞ্চলে জন্ম, সেখানে কারও নীল চোখ দেখা যায়? কেউ দেখেছেন কখনো? মিডল-ইস্টের ইহুদি যিশুর গায়ের রঙ ছিল বাদামি। কিন্তু বিশ্বের সমস্ত চার্চে যিশুকে দেখানো হয়েছে শ্বেতাঙ্গ হিসাবে। এমনকি টেলিভিশনে বা ফিল্মেও, যিশুর চরিত্রে যাঁরা অভিনয় করেন শ্বেতাঙ্গ আর জুদাস বা বিশ্বাসঘাতকদের চরিত্রাভিনেতারা বাধ্যতামূলকভাবেই কৃষ্ণাঙ্গ! যিশুকে শ্বেতাঙ্গ হিসাবে দেখানোর কারণ, ঈশ্বর যেহেতু শ্রেষ্ঠ, তাই তাঁকে শ্বেতাঙ্গ হতেই হবে। আর ষড়যন্ত্রকারীদের গায়ের রঙ কালোই হয়, তারা ভালোমানুষ হয় না, এমনকি ঈশ্বরের বিরুদ্ধেও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়! এই ছবিটাই গেঁথে দেওয়া হয় শিশুর মনে, ছোটবেলা থেকেই। এই বিভেদ, গায়ের চামড়ার রঙের। তাই কৃষ্ণাঙ্গ শিশুও যিশুর ছবি আঁকতে গিয়ে শ্বেতাঙ্গ হিসাবেই কল্পনা করে তাঁকে, বিশ্বাসঘাতকদের গায়ে লেপে দেয় কালো রঙ!

● বাল্ব কে আবিষ্কার করেছিলেন? টমাস আলভা এডিসন, সবাই জানেন। যা জানেন না, এডিসনকে এই কৃতিত্ব দেওয়া অর্থহীন! লুইস হাওয়ার্ড লাটিমের, এক কৃষ্ণাঙ্গ, আবিষ্কার করেছিলেন কার্বন ফিলামেন্ট। এডিসন যা করেছিলেন, পেপার ফিলামেন্ট দিয়ে বাল্ব, যা জ্বলার সঙ্হে সঙ্গেই নিভে যায়। আর কার্বন ফিলামেন্ট বিশ্বের সমস্ত ঘরে জ্বালিয়েছে আলোর অনির্বাণ শিখা। কিন্তু লাটিমেরকে কে মনে রেখেছেন, রাখেন? ইতিহাস সব কৃতিত্বই দিয়েছে শ্বেতাঙ্গ এডিসনকে। যেমন ফ্লোরেন্স অফ নাইটিঙ্গেল, শ্বেতাঙ্গিনী। তাই মেরি সিকোল-কে শুনতে হয় ব্রিটিশ শিক্ষামন্ত্রীর বিদ্রুপ, আর যাই হোক নাইটিঙ্গেল তো নয়! ক্রিমিয়া-র যুদ্ধে ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর সেবার পুরস্কার পেয়েছিলেন সিকোল। হোল্ডিং-এর বই-এর নবম অধ্যায়ে আছে তাঁর দুঃখভরা জীবনের কিছু অংশ। সেই অধ্যায়েই বর্ণিত, উত্তর মেরু আবিষ্কারের কৃতিত্ব রবার্ট পিয়ারিকে দেওয়া হলেও আসলে যা প্রাপ্য ছিল কালো মানুষ ম্যাথিউ হেনসনের। স্মলপক্সের টিকার জনক হিসাবে এক কৃষ্ণাঙ্গ ক্রীতদাস ওনেসমুস-কে মেনে নিতে পারার মতো শিক্ষিত মনন আছে কি আপনার?

● ক্রিস্টোফার কলম্বাস নাকি নতুন বিশ্বের আবিষ্কর্তা! যে-দেশগুলো আগে থেকেই ছিল, যেখানে মানুষ বসবাস করতেন, কী করে তা ‘আবিষ্কার’ করা যায়, কেউ বুঝিয়ে বলবেন, প্রশ্ন হোল্ডিং-এর? উত্তর পাবেন ঔদ্ধত্যে আর নিজেদের সর্বশ্রেষ্ঠ ভেবে ফেলার আত্মপ্রসাদে। স্পেনীয় কলম্বাস ছিলেন ইউরোপীয় শ্বেতাঙ্গ। জলযোগে নতুন দেশের সন্ধানে বেরিয়েছিলেন যাতে ব্যবসার প্রসার ঘটে এবং তিনি দেশ থেকে সেই বর্ধিত ব্যবসার দশ শতাংশ আয় করতে পারেন বিনা আয়াসেই। বড়জোর তাঁকে এক খুনি ব্যবসায়ী বলা সম্ভব, তার বেশি কিছুতেই নয়। নিজের ডায়েরিতে লিখেছিলেন এই স্পেনীয়, ‘ওই কালোগুলো শুধুই চাকরবৃত্তির যোগ্য। মাত্র পঞ্চাশজন নিয়েই ওদের বশীভূত করে ফেলেছিলাম।’ অস্ত্র সম্পর্কে অজ্ঞানতার সুযোগ নিয়ে পাশবিক অত্যাচারের মাধ্যমে দাসত্ব স্বীকারে বাধ্য করে-ফেলা এই ‘নতুন’ জনগোষ্ঠীকে --- এটাই ছিল কলম্বাসের কাজ। ক্রীতদাস ব্যবস্থার অন্যতম প্রবর্তক তিনি। আর সেই জন্য তাঁকেই কিনা শ্বেতাঙ্গ ইতিহাস দিয়েছে আবিষ্কর্তার মর্যাদা!

● দাসব্যবসা (ব্যবস্থা নয়, ব্যবসা) তুলে দেওয়ার জন্য শ্বেতাঙ্গ মালিকদের সংশ্লিষ্ট দেশের সরকারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হয়েছিল! মানে, যাঁরা এই ঘৃণ্য ক্রীতদাস প্রথা চালু রেখেছিলেন, মানুষকে মানুষ না ভেবে অকথ্য অত্যাচার এবং যা-ইচ্ছে-তাই করাতেন, সেই প্রথা তুলে দিতে বাধ্য হওয়ায় সরকার সেই সব শ্বেতাঙ্গ দাসমালিকদের ক্ষতিপূরণ দিয়েছিল। পরিমাণ জানলে চোখ কপালে উঠবে তো বটেই, বিস্ময়ে হতবাক হতে বাধ্য পাঠক।

হোল্ডিং চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছেন এই সত্য। ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা ফাস্ট বোলারের হাত থেকে আগে বহু বল বেরিয়েছে, যেগুলো খেলা যায় না। কিন্তু নতুন এই বলটা, থুড়ি বইটা, ‘হোয়াই উই নিল, হাউ উই রাইজ’ এতটাই ‘আনপ্লেয়েবল’, খেলা-অসম্ভব যে, ঐতিহাসিক সেই সব ডেলিভারিগুলোকে নির্দ্বিধায় পেছনে ফেলে উঠে এসেছে শীর্ষে। ‘কেন আমরা হাঁটু গেড়ে বসি’ বা বসতে বাধ্য হই, ইতিহাসের পাতা থেকে তুলে এনেছেন পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ। ক্ষান্ত হননি সেখানেই। বলে দিয়েছেন উপায়ও, ‘কীভাবে উঠে দাঁড়ানো সম্ভব’।

খেলোয়াড়ের লেখা বই হিসাবে সাইমন অ্যান্ড শুস্টার-এর এই ৩১২ পাতার বইকে ‘খেলো’ করে ফেলার গোত্রে বসবাসকারী ‘উচ্চ’বর্ণের অর্থাৎ শ্বেতাঙ্গ মানুষ পাওয়া যাবে প্রচুর। স্বভাবসিদ্ধ মানসিকতায় তাঁরা তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিতে চাইবেন সব অভিযোগ, যা লিপিবদ্ধ করেছেন হোল্ডিং এবং তাঁর সহলেখক এড হকিন্স। সাদা চামড়ার মানুষরা সেটাই করবেন, যা করে এসেছেন এতকাল। যে কোনও বর্ণবৈষম্য সম্পর্কিত বিষয়ে যা তাঁদের করণীয় হয়ে থেকেছে। অশ্লীল-ঔদ্ধত্যে চিরকাল পরম অবহেলায় নাক-মুখ কুঁচকে বিবৃতি দিয়েছেন, ‘অনেক তো হলো, আর কত’। বোঝাতে চাওয়া, কৃষ্ণাঙ্গদের তো অনেক অধিকার দেওয়া হলো, আর কী চায়? উহ্য থেকে যায় অব্যবহিত পরের প্রশ্নটা, ‘এবার কি তা হলে কালোদের মাথায় তুলে নাচতে হবে?’

হ্যাঁ, এতটাই বর্বরোচিত মনোভাব তাঁদের মানসসরোবর শাসন করে। তাই তো জর্জ ফ্লয়েডকে আফ্রো-আমেরিকান হওয়ার অপরাধে মিনিয়াপোলিস-এর পুলিশ হাঁটু মুড়ে শ্বাসরুদ্ধ করে মেরে ফেলে। এমন মৃত্যু এই প্রথম নয়। শেষ তো নয়ই। কিন্তু শ্বেতাঙ্গ পুলিশের এই পাশবিক অত্যাচারের পক্ষে দাঁড়ানোর লোকও কম পড়ে না আমাদের বসুন্ধরায়!

নাওমি ওসাকার বাবা হাইতির, মা জাপানি। তিন বছর বয়স থেকে থাকছেন আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রে। জাপানের হয়েই খেলেন। দু’টি করে ইউএস এবং অস্ট্রেলিয়ান ওপেন খেতাব দখলে। কিন্তু খেলার জন্য যতটা না, তার চেয়েও বেশি খবরে থাকেন কৃষ্ণাঙ্গদের প্রতি আমেরিকার পুলিশের অত্যাচারের বিপক্ষে সরব হওয়ায়। ২০২০ ইউএস ওপেন-এ তিনি চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন। সাত দিন খেলতে হয়েছিল। প্রতি দিন জেতার পর সাংবাদিক সম্মেলনে যে মুখাবরণ পরে এসেছিলেন, নাম লেখা থাকত কৃষ্ণাঙ্গ আফ্রো-আমেরিকানদের। পরপর যে সাতজনের নাম লিখে এসেছিলেন, যথাক্রমে–ব্রেয়োনা টেলর, এলিজা ম্যাকক্লেইন, আহমদ আরবারি, ট্রেভন মার্টিন, জর্জ ফ্লয়েড, ফিলান্ডো ক্যাসটিলে এবং তামির রাইস।

নাওমি ওসাকার প্রতিবাদের ভাষা

প্রত্যেকে ছিলেন আমেরিকার পুলিশের নির্মম অত্যাচার এবং কালো মানুষকে নির্বিচারে গুলি করে হত্যার শিকার। যেমন ট্রেভন। সতেরর কিশোর দোকান থেকে খাবার কিনে খেতে খেতে রাস্তা দিয়ে হেঁটে বাড়ি ফিরছিল। জর্জ জিমারম্যান নামে পড়শির এক নিরাপত্তারক্ষী তাকে দেখে পুলিশকে টেলিফোনে জানায়, সন্দেহভাজন একজনকে দেখতে পেয়েছেন। সন্দেহভাজন কেন? একটাই কারণ, তার গায়ের রঙ কালো। পুলিশকে ফোন করে ট্রেভনকে জেরা করে জিমারম্যান। কথায় সন্তুষ্ট না হয়ে সরাসরি গুলি চালায়। মারা যায় ট্রেভন। জিমারম্যানকে কি গ্রেপ্তার করা হয়েছিল, সঙ্গে সঙ্গেই? একেবারেই না! ছয় সপ্তাহ লেগেছিল শুধু গ্রেপ্তার করতেই। যথারীতি আদালতে মামলায় বেকসুর খালাস! কোনও সতের বছরের শ্বেতাঙ্গ কিশোরকে দেখলে কি সন্দেহভাজন মনে হতো তার? তাকে জেরা করতেন?

নাওমি তাই পুলিশি নিপীড়নে মৃত সেই মানুষদের সম্মান জানাচ্ছিলেন প্রতিদিন। শ্বেতাঙ্গ সাংবাদিক মহলে তা নিয়ে বিরাট সমস্যা! কেন নাওমি এমন করবেন? কাকে কাকে খুঁজে আনবেন পরের এবং তার পরের দিন? নাওমি অবশ্য অস্বস্তিকর কোনো প্রশ্নই এড়িয়ে যাননি। দৃঢ় কণ্ঠে বলেছেন, ‘প্রাতিষ্ঠানিক এই বর্ণবিদ্বেষের শেষ দেখতে চাই। বিশেষ করে পুলিশের মতো প্রতিষ্ঠান, যাদের কাজ হওয়া উচিত আমাদের রক্ষা করা, তারাই যখন নির্বিবাদে এবং নির্বিচারে গুলি চালায় পথচারী নিরীহ মানুষের ওপর, শুধুই তাদের গায়ের রঙের কারণে, তার চেয়ে বড় সমস্যা আর কী? এবং এটাও হাজার হাজার বছর ধরে চলে আসছে। ২০১৪ সালে মাইকেল ব্রাউনকে মরতে দেখেছি (ড্যারেন উইলসন নামের এক পুলিশ তাঁর গাড়িতে ফেরার পথে রাস্তায় ব্রাউনকে এক বন্ধুর সঙ্গে হেঁটে আসতে দেখেন এবং অব্যবহিত পরেই ব্রাউনের গুলিবিদ্ধ শব পাওয়া যায় রাস্তায়। একটি নয়, সাত-সাতটি বুলেট গেঁথে দেওয়া হয়েছিল তাঁর শরীরে)। কালো মানুষদের এই লড়াই-এ পাশে কাউকেই পাওয়া যায়নি, যায় না। এই ব্যবস্থা পাল্টানো জরুরি। এগিয়ে দিতে হবে না কৃষ্ণাঙ্গদের। সবার জন্য একই অধিকার যেন থাকে। আমি টেনিস খেলি, খেলার এই মঞ্চটাকেই ব্যবহার করতে চাই সবাইকে জানানোর জন্য যে, কীভাবে অত্যাচারিত হয়ে জীবন দিতে হচ্ছে কৃষ্ণাঙ্গদের, আজও। না, বর্ণবিদ্বেষী না-হওয়াই যথেষ্ট নয়, বর্ণবিদ্বেষের বিরুদ্ধে থাকা জরুরি। তাই কৃষ্ণাঙ্গ মহিলা হিসাবে এই পথে আমিও,’ জানিয়েছেন হোল্ডিং-কে।

চলবে...

শেয়ার করুনঃ
আপনার মন্তব্য
আরও পড়ুন
×