যত বিখ্যাতই হও না কেন, বর্ণবাদ তোমাকে ছোঁবেই

কাশীনাথ ভট্টাচার্য

১৪ নভেম্বর ২০২১

যত বিখ্যাতই হও না কেন, বর্ণবাদ তোমাকে ছোঁবেই

মাইকেল হোল্ডিংয়ের `হোয়াই উই নিল, হাউ উই রাইজ` বইয়ের প্রতিটি প্রশ্ন, প্রতিটি উদাহরণ চোখ খুলে দেয়, নতুন করে ভাবতে শেখায়, প্রশ্ন তুলতে শেখায় আমাদের প্রচলিত ধ্যনধারণার ভিত নড়িয়ে দেয়। পড়তে পড়তে চোখ ভেসে যায় জলে, অত্যাচারের রকমফের কখনও আবার আগুনও জ্বালায় মনে যে-আগুনে পুড়ে শুদ্ধ হতে চায় অন্তরাত্মা।

হোপ পাওয়েল যেমন পরিষ্কার করেই বলে দিয়েছেন, ‘কালো মানুষদের দায়িত্ব দেওয়াটা এক ব্যাপার আর সেই দায়িত্ব পালনে প্রয়োজনীয় স্বাধীনতা দেওয়া আর এক।’ প্রথমটা দেওয়া হয় বোঝাতে যে, দেখো, আমরা কতটা উদার। মনে মনে ঠিকই জানেন সেই শ্বেতাঙ্গরা যে, যাঁকে এই দায়িত্ব দেওয়া হল চাপে পড়ে, সেই কাজটা সে কিছুতেই করতে পারবে না। তাই প্রতি পদে বাধার সম্মুখীন হতে হয়। শেষমেশ এমন এক পরিস্থিতি তৈরি করা হয়, যাতে চূড়ান্ত সেই বিরক্তিতে সে বাধ্য হয় নিজেই কাজ ছেড়ে চলে যেতে। তখন শ্বেতাঙ্গরা সহজেই বলে ফেলতে পারেন, ‘এই তো, আগেই বলেছিলাম, ওদের জন্য নয় এমন কাজ। পারবে না জানাই ছিল। তবু দিতে হয়েছিল আর তার ফল তো দেখতেই পাচ্ছেন। ছেড়ে চলে গেল, পারল না।’

ইংল্যান্ডের মহিরা ফুটবলে প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ কোচ হোপ পাওয়েল লড়াই করতে করতেই এত দূর

হোপ পাওয়েল ইংল্যান্ডের মহিলা ফুটবলে প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ কোচ। হাজারো প্রতিকূলতা সয়ে তিনি টিকে থেকেছিলেন নিজের কাজে, প্রতি পদে ঠোক্কর খেয়েও কাজ ছেড়ে যাননি। ওদের হাতে কোনও অস্ত্র তুলে দিতে চাননি হোপ। একে কৃষ্ণাঙ্গ, তার ওপর মহিলা, হোপের গায়ের রঙের কারণে অত্যাচার সীমা ছাড়ালেও দাঁতে দাঁত চেপে লড়েছিলেন। লন্ডনে জন্মে, বেড়ে উঠে, বড় হয়েও, রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে এক শ্বেতাঙ্গিনীকে পেরিয়ে যাওয়ায় তাঁকে শুনতে হয়েছিল, ‘এই যে ছুঁড়ি, তোরা কেন ফিরে যাস না যেখান থেকে এসেছিস সেখানে?’ ভাবুন, হেঁটে এক শ্বেতাঙ্গকে রাস্তায় পেরিয়ে যাওয়াতেও কৃষ্ণাঙ্গদের দোষ খুঁজে পাওয়া এই শ্বেতাঙ্গরা মনে মনে কতটা নিরাপত্তার অভাবজনিত ভয়ে কাতর!

ইবতিয়াজ মুহাম্মদের সমস্যা আরও গভীরে। কৃষ্ণাঙ্গ, মহিলা এবং মুসলমান...ত্র্যহস্পর্শ তাঁর! রিও-তে ২০১৬ অলিম্পিকে আমেরিকাকে দিয়েছিলেন ফেন্সিং-এ ব্রোঞ্জ। কিন্তু তিনি হিজাব পরেন। টেক্সাস-এ এক কনফারেন্সে যোগ দিতে গিয়ে নিরাপত্তারক্ষী তাঁকে হিজাব খোলার নির্দেশ দেয়। তিনি জানান, অপারগ। তাঁকে শুনতে হয় নিরাপত্তারক্ষীর মুখে, ‘আরে, তুমি এখন টেক্সাসে!’ রাস্তায় বেরোনোর প্রথম দিন থেকে এখনো পর্যন্ত তাঁকে ঘিরে থাকে এক অজানা ভয়। কিন্তু তিনি শক্ত থাকেন। কিছুতেই ভয় পাব না, বিশ্বাসে এগিয়ে চলেন। তাঁর দল তৈরি থাকে সামান্যতম বিচ্যুতিতে তাঁকে বাদ দিতে। দলের বাকি সবার ইমেল আইডি নিয়ে দলগত ‘গ্রুপ’ তৈরি হয় যেখানে সংস্থার পাঠানো সব ইমেল আসে, তাঁর ইমেল আইডি নেওয়া হয় না। আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের ফেন্সিং নিয়ামক সংস্থাকে জানিয়েও লাভ হয় না। ‘আমার একটাই কাজ। ওদের বুঝিয়ে দেওয়া, যতই ভয় দেখানোর চেষ্টা হোক না কেন, আমি ভয় পাইনি, পাই না। কৃষ্ণাঙ্গ এবং মুসলিম মহিলাদের নিয়ে যে অক্ষমতার গল্পগুলো অত্যন্ত সুচতুরভাবে প্রচলিত, আমার অবস্থান তার বিরুদ্ধে। আমি সেই সবই পারি, যা এক শ্বেতাঙ্গ মহিলা পারে। হয়ত আরও ভালোই পারি। নিরন্তর এই দেখিয়ে যাওয়াটাই আমার লড়াই।’

ইবতিয়াজ মুহাম্মদ: `আমি সেই সবই পারি, যা এক শ্বেতাঙ্গ মহিলা পারে। হয়ত আরও ভালোই পারি।`

শ্বেতাঙ্গদের তরফে কৃষ্ণাঙ্গদের এই ক্রমাগত ভয় দেখিয়ে চলাটাই নিশ্চিত করে দেয়, ভেতর ভেতরে তাঁরা নিজেরাই আসলে কতটা ভীত, বলেছেন মাইকেল জনসন। অ্যাথলেটিকসের ইতিহাসে সর্বকালের অন্যতম সেরা অ্যাথলিট যিনি অলিম্পিকে ২০০ ও ৪০০ মিটারে চারবারের সোনাজয়ী, ৪০০ মিটারে বিশ্বরেকর্ডও করেছিলেন, আটবার পদক পেয়েছেন বিশ্ব অ্যাথলেটিকসে এবং আজীবন আমেরিকাবাসী। তিনি বলেছেন হোল্ডিংকে, ‘আসলে ওদের ভয় হলো, কৃষ্ণাঙ্গরা এগিয়ে এলেই ওদের সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামতে হবে। যে সুবিধাগুলো ওরা ভোগ করছে, নিজেরা তো খুব ভালো করেই বোঝে। তাই ভয় পায়, সেই সুবিধেগুলো হাতছাড়া হয়ে যাবে। এই সুবিধাগুলো আসলে কী? অন্য রঙের মানুষকে বঞ্চিত করে নিজেদের কোলে ঝোল টানা। আর সুবিধা মানেই কাউকে বঞ্চিত করে অন্য কাউকে অন্যায্য কিছু পাইয়ে দেওয়া।’

একই সঙ্গে বড় হওয়া, একই জায়গায় পড়াশোনা, তারপরও কাজের ক্ষেত্রে সীমানা বেঁধে দেওয়া, যার ফলে সংস্থার বড়কর্তা গোছের পদগুলোতে জায়গা পাবে শ্বেতাঙ্গরা আর কৃষ্ণাঙ্গদের সমান-যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও অধস্তনের কাজ করতে বাধ্য করানো। আর যখনই এগুলো সামনে আসে, বড় হয়ে দাঁড়ায়, কেউ অত্যাচারের পথ নেয় ক্ষমতার হাত মাথায় থাকায়, যেমন আমেরিকার পুলিশ, আবার কেউ কেউ, আমেরিকার শ্বেতাঙ্গ যুব সম্প্রদায়, এই প্রতিযোগিতার চাপের কাছে নতি স্বীকার করে বেছে নেয় আত্মহত্যার পথও।

মাইকেল জনসন জানিয়েছেন লেখককে, ‘আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রে শ্বেতাঙ্গ যুবকদের আত্মহত্যার প্রবণতা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছে। সংস্থার সভাপতি কৃষ্ণাঙ্গ, সিইও কৃষ্ণাঙ্গ, শ্বেতাঙ্গ যুবককে ইন্টারভিউ দিতে যেতে হচ্ছে, চেয়ারে উল্টোদিকে বসে আছে এক কৃষ্ণাঙ্গ যে বিচার করছে তাঁর যোগ্যতা, এই হীনম্মন্যতাবোধ আঘাত করছে তাঁকে। যে সুবিধাগুলো সে ভোগ করছিল, তাঁর মনে হচ্ছে, ছিনিয়ে নেওয়া হচ্ছে।’ ফলে, নিরাপত্তার অভাববোধ, আর ঘৃণা জন্মাচ্ছে আরও বেশি। সত্যিই যখন আর পারছে না, বেছে নিচ্ছে নিজেকে শেষ করে দেওয়ার পথ। আমেরিকান ফাউন্ডেশন ফর দ্য প্রিভেনশন অফ সুইসাইড-এর তথ্যও তুলে এনেছেন হোল্ডিং, যেখানে বলা হয়েছে, শ্বেতাঙ্গ মধ্যবয়সীদের মধ্যে ৭০ শতাংশ আত্মহত্যা করেছেন!

মাইকেল জনসন: বিশ্ব জয় করেও একই যন্ত্রণার ভুক্তভোগী

ওয়েস্ট ইন্ডিজকে তাঁদের ‘পদলেহন’ করাতে বাধ্য করবেন, ইংরেজ শ্বেতাঙ্গ অধিনায়ক টনি গ্রেগ-এর এই মন্তব্য (ইংরেজিতে যে-শব্দটি ব্যবহার করেছিলেন টোনি গ্রেগ, grovel) আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছিল ক্যারিবিয়ান শিবিরে। কৃষ্ণাঙ্গদের পায়ের ধুলো চাটতে বাধ্য হয়েছিলেন গ্রেগরা। মুখে একটাও কথা না বলে এই চূড়ান্ত শ্বেতাঙ্গ-অসভ্যতার ক্রিকেটীয় জবাব দিয়েছিলেন লয়েড-ভিভ-হোল্ডিংরা। কিন্তু যা হয়েই থাকে, এমন মন্তব্যের পর লোক দেখানো ক্ষমা প্রার্থনাও কখনও করেননি সাহেব গ্রেগ। ইংরেজ কলমচিরাও নিন্দায় মুখর হননি। নেহাত ওই ওয়েস্ট ইন্ডিজ, না হলে দেশের মাঠে অন্য যে কোনও দলকে প্রভুত্বের পায়ের ধুলো চাটিয়ে নেওয়ার মজা তো সেই শ্বেতাঙ্গ মিডিয়া সমাজও সমানভাবেই উপভোগ করত!

হোল্ডিং-এর বই লেখাও সেই একই আগুনে মেজাজে, কিন্তু প্রতিশোধস্পৃহার সহজবোধ্য এবং অত্যন্ত স্বাভাবিক ছোঁয়াচ সযত্নে এড়িয়ে। খুব কঠিন, প্রায়-অসম্ভব কাজ। যুগ-যুগ ধরে বঞ্চনা-নিপীড়নের এই ইতিহাস লিপিবদ্ধ করতে গিয়ে কলম বা কি-বোর্ডকে এতটা নৈর্ব্যক্তিক রাখা প্রায় অসাধ্য-সাধন। পদে পদে প্রলোভন সেখানে। হোল্ডিং সেই ঝোলানো ফুলটসগুলোয় ডেড ব্যাট করেছেন। বই পড়া শেষ হলে তাই বেদনায় আচ্ছন্ন থাকতে হয়। চোখে জল আসে বহুবার, পড়তে পড়তে। কিন্তু প্রতিশোধের আগুনের লেলিহান শিখা থেকে অনেক দূরে, তূষের মতো ধিকিধিকি প্রজ্বলিত হতে থাকে মানসজগতে। সে আগুন পোড়ায়, অনুতাপে। বলে মনের জঞ্জাল পুড়িয়ে নব কলেবরে সাজাতে মনোজগত। হোল্ডিং-এর মুন্সিয়ানা সেখানে।

আর সে-কাজে হোল্ডিং-এর হাতিয়ার শিক্ষা। মানুষে মানুষে গায়ের রঙের ভিত্তিতে গড়ে-তোলা এই বর্ণবিদ্বেষ-এর গোড়ায় পৌঁছে তাঁকে সমূলে উৎপাটন করতে চেয়েছেন ‘নিঃশব্দ ঘাতক’ হিসাবে পরিচিত এই ফাস্ট বোলার। ইতিহাস পরাজিতদের পায়ে মাড়িয়ে ওঠার গল্প। অন্য সুরে বাজতে চাইছেন যাঁরা, থেকে যান ফুটনোট হিসাবে, পাতার পায়ের তলায়, অ্যাসটেরিক্স চিহ্নবাহিত। সেই পেষণের ইতিহাস, আর পোষণের, শ্বেতাঙ্গদোষে দুষ্ট। হোল্ডিং তাই নির্দ্বিধায় লেখেন, সখেদ, ‘ইতিহাস আসলে দুরকম। একটা, যা ঘটেছিল। আর একটা, যা ঘটেছে বলা হয়েছে। যদি আপনার সামান্য ইচ্ছেও থাকে জানার যে প্রথমটা ঠিক কী, সহজেই বুঝতে পারবেন, দ্বিতীয়টার মাধ্যমে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ইতিহাসের নদীতে আপনাকে কীভাবে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে!’ আর বলেও দেন যে, ‘সব সময় জয়ীরাই ইতিহাস লিখেছেন, এটা যদি সত্যি না-ও হয়, ইতিহাস পড়িয়েছেন বা শিখিয়েছেন জয়ীরাই, এ বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই।

 এই বইয়ের প্রতিটি প্রশ্ন, প্রতিটি উদাহরণ চোখ খুলে দেয়, নতুন করে ভাবতে শেখায়, প্রশ্ন তুলতে শেখায়, আমাদের প্রচলিত ধ্যনধারণার ভিত নড়িয়ে দেয়। পড়তে পড়তে চোখ ভেসে যায় জলে, অত্যাচারের রকমফের কখনও আবার আগুনও জ্বালায় মনে যে-আগুনে পুড়ে শুদ্ধ হতে চায় অন্তরাত্মা।

আমাদের অনেকেই যেমন বব মার্লে শুনি। ‘Emancipate yourself from mental slavery, none but ourselves can free our minds.’ তালে তালে নাচি। তারপর ভুলে যাই। থেকে যায় মানসিক দাসত্ব। হাজার হাজার বছরের পুরনো ধ্যানধারণা, যা পরিকল্পিতভাবেই শেখানো হয়েছে আমাদের, শিখিয়েছেন শ্বেতাঙ্গরা তাঁদের প্রভুত্ব কায়েম রাখতে, স্থায়ী বসত করে আমাদের মনের ঘরে। বেরিয়ে আসা হয় না আর। দাসত্বশৃঙ্খল বেড়ি হয়েই থাকে। পায়ে নয়, মনে। তাই ঘোচে না আমাদের বন্দিদশা।

এই সব ঘটনাই আসলে জলে বরফের ভাসমান অবস্থার মতো। দশ শতাংশ জলের ওপর থাকে, ৯০ শতাংশ ভেতরে। পদার্থবিদ্যা পড়ে থাকলেও ওই ৯০ শতাংশ যে আসলে ঠিক কতটা বড় এবং তার অভিঘাত কী এবং কতটা হতে পারে, নিদর্শন বই-এর পাতায় পাতায়। বিশেষ করে ইতিহাস এবং শিক্ষার অসারতা প্রসঙ্গে। প্রতিটি প্রশ্ন, প্রতিটি উদাহরণ চোখ খুলে দেয়, নতুন করে ভাবতে শেখায়, প্রশ্ন তুলতে শেখায়, আমাদের প্রচলিত ধ্যনধারণার ভিত নড়িয়ে দেয়। পড়তে পড়তে চোখ ভেসে যায় জলে, অত্যাচারের রকমফের কখনও আবার আগুনও জ্বালায় মনে যে-আগুনে পুড়ে শুদ্ধ হতে চায় অন্তরাত্মা।

হ্যাশট্যাগযুক্ত ‘ব্ল্যাকলাইভসম্যাটার’ আন্দোলনের চেয়েও অনেক ওপরে এই উপলব্ধির স্থান। যা হোল্ডিং বোঝাতে চেয়েছেন, করতে চেয়েছেন। কালো মানুষদের জন্য তাঁর এই অবদান ভাবীকাল অবশ্যই স্বীকার করবে নতমস্তক এবং নতজানু।

কিন্তু আজকের পৃথিবীতে কি পাবেন তাঁর যোগ্য মর্যাদা?

মনে হয় না। হঠাৎ করে ক্রিকেট ধারাভাষ্য ছেড়ে দিয়ে মায়ামি-প্রবাসী তা হলে আর হতে গেলেন কেন হোল্ডিং? যে শ্বেতাঙ্গদের সঙ্গে গা-ঘেষাঘষি করে তীব্র জামাইকান অ্যাকসেন্টে ধারাভাষ্য দিয়ে ক্রিকেটের মতো পুরোপুরি শ্বেতাঙ্গ-অধ্যুষিত খেলা শ্বেতাঙ্গ-নির্ধারিত ইংরেজি ভাষায় সম্প্রচার করছিলেন, সেই সাদা দুনিয়া তাঁকে একঘরে করে দিতে পারে, এই আশঙ্কায় নয় তো?

তাঁর বই-ই যে সোচ্চার, যাঁরা যাঁরা এমন করেছেন, কাউকেই ছাড়েনি কালো মানুষদের প্রতি সাদাদের তীব্র ঘৃণাজনিত বর্ণবিদ্বেষের বিষ!

শেষ

শেয়ার করুনঃ
আপনার মন্তব্য
আরও পড়ুন
×